ভুয়া সনদধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-মুক্তিযোদ্ধার চাকরির বয়সসীমা
মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ ঠেকাতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। যদিও এর সফলতা নিয়ে সংশয়ও কম নয়। ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংস্থাপনসচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করার পর এ সুবিধা নিতে অনেকেই ভুল
ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সনদ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ব্যক্তিগত সুবিধা লাভের জন্য যাঁরা ভুয়া সনদ নিয়েছেন, তাঁরা অপরাধী। সেই সঙ্গে সনদ প্রদানকারীরাও দায় এড়াতে পারেন না। মুক্তিযোদ্ধা নামের গৌরবকে এভাবে ভূলুণ্ঠিত করা যাবে না।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী হিসেবে বিবেচনা করতে হলে মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য চারটি মানদণ্ড বেঁধে দেওয়া হয়েছে—চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন কি না, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মুখপত্র মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত হয়েছে কি না, গেজেটে নাম ছাপা হয়েছে কি না অথবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই করা সনদ নিয়েছেন কি না। মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের। তারা কাজটি ঠিকমতো করলে এ ধরনের নির্দেশনার প্রয়োজন হতো না।
গতকাল প্রথম আলোর প্রধান শিরোনামের খবরে জানা যায়, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়িয়ে দেওয়ায় নতুন করে সনদ নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। যাঁরা গত ৩৯ বছরে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেননি, তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধা সেজে চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে নিতে তৎপর। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সনদ নিয়ে চাকরির বয়সসীমা বাড়ালে আপত্তির কিছু নেই। যদিও স্বাধীনতার এত বছর পর এ ধরনের উদ্যোগের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
একাত্তরে যাঁরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধার জন্য লড়াই করেননি। তাঁরা লড়েছিলেন দেশের স্বাধীনতা ও গণমানুষের মুক্তির জন্য। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পর আট হাজার ৭১৭ জন কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁদের বয়স ১৭ বছরের কম ছিল, তাঁরাই কেবল বর্ধিত সময়ের সুযোগ নিতে পারবেন। কিন্তু যাঁদের বয়স ১৭ বছরের বেশি, ইতিমধ্যে তাঁদের অবসরে যাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে তাঁরা কোনোভাবেই এ সুযোগ পেতে পারেন না। ১৭ বছরের কম বয়সী এত বেশিসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরি নিয়েছিলেন—এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। মুক্তিযোদ্ধা সনদ বিতরণে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে, সেটি মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনা করা হয়েছে। মন্ত্রীদের ডিও দেখে পাইকারি সনদ না দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙিয়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ শুধু অনৈতিক নয়, অমার্জনীয় অপরাধও। আশা করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ভুয়া সনদধারীদের শনাক্ত করবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। একজন অমুক্তিযোদ্ধাও যাতে অসাধু উপায়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা না নিতে পারেন, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বদলের প্রতিযোগিতাও বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারী হিসেবে বিবেচনা করতে হলে মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য চারটি মানদণ্ড বেঁধে দেওয়া হয়েছে—চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন কি না, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মুখপত্র মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত হয়েছে কি না, গেজেটে নাম ছাপা হয়েছে কি না অথবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই করা সনদ নিয়েছেন কি না। মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের। তারা কাজটি ঠিকমতো করলে এ ধরনের নির্দেশনার প্রয়োজন হতো না।
গতকাল প্রথম আলোর প্রধান শিরোনামের খবরে জানা যায়, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়িয়ে দেওয়ায় নতুন করে সনদ নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। যাঁরা গত ৩৯ বছরে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেননি, তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধা সেজে চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে নিতে তৎপর। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সনদ নিয়ে চাকরির বয়সসীমা বাড়ালে আপত্তির কিছু নেই। যদিও স্বাধীনতার এত বছর পর এ ধরনের উদ্যোগের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
একাত্তরে যাঁরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধার জন্য লড়াই করেননি। তাঁরা লড়েছিলেন দেশের স্বাধীনতা ও গণমানুষের মুক্তির জন্য। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পর আট হাজার ৭১৭ জন কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁদের বয়স ১৭ বছরের কম ছিল, তাঁরাই কেবল বর্ধিত সময়ের সুযোগ নিতে পারবেন। কিন্তু যাঁদের বয়স ১৭ বছরের বেশি, ইতিমধ্যে তাঁদের অবসরে যাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে তাঁরা কোনোভাবেই এ সুযোগ পেতে পারেন না। ১৭ বছরের কম বয়সী এত বেশিসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরি নিয়েছিলেন—এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। মুক্তিযোদ্ধা সনদ বিতরণে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে, সেটি মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনা করা হয়েছে। মন্ত্রীদের ডিও দেখে পাইকারি সনদ না দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙিয়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ শুধু অনৈতিক নয়, অমার্জনীয় অপরাধও। আশা করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ভুয়া সনদধারীদের শনাক্ত করবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। একজন অমুক্তিযোদ্ধাও যাতে অসাধু উপায়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা না নিতে পারেন, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বদলের প্রতিযোগিতাও বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
No comments