শেয়ারবাজারে বছর শেষে লেনদেনে মন্দা
বছরের
শেষ সময়ে শেয়ারবাজারে লেনদেনে মন্দা চলছে। মঙ্গলবার দেশের দুই শেয়ারবাজার
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) মিলে
৩৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭১ কোটি টাকা
এবং সিএসইতে ২৩ কোটি টাকা। অথচ এক মাস আগেও শুধু ঢাকার শেয়ারবাজারেই হাজার
কোটি টাকার বেশি লেনদেন হতো। তবে উভয় শেয়ারবাজারে এদিন মূল্যসূচক ও
বাজারমূলধন কিছুটা বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে- ডিএসইতে এদিন ৩৩৫টি
কোম্পানির ৯ কোটি ৮৭ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
যার মোট মূল্য ৩৭১ কোটি ৪১
লাখ টাকা। ডিএসইর ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬
হাজার ১৬৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ১৩ দশমিক ৮৭
পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৪৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক
৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭২ দশমিক ২ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। এরমধ্যে
দাম বেড়েছে ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের, কমেছে ১৭৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে
৫৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে বেড়ে ৪
লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। শীর্ষ দশ কোম্পানি : এদিন ডিএসইতে
যে সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হল- ইসলামী ব্যাংক,
সিটি ব্যাংক, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, স্কয়ার ফার্মা, শাহজালাল ব্যাংক,
লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক, নাহী অ্যালুমিনিয়াম, পদ্মা লাইফ
ইন্স্যুরেন্স এবং ন্যাশনাল টিউবস। ডিএসইতে মঙ্গলবার যেসব প্রতিষ্ঠানের
শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হল- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, আলিফ
ম্যানুফ্যাকারিং, বিডি ল্যাম্পস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, রূপালী
ব্যাংক, আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইটিসি, বেঙ্গল
উইন্সডোর, ইসলামী ব্যাংক এবং বিডি থাই। অন্যদিকে যে সব প্রতিষ্ঠানের
শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হল- এমারেল্ড অয়েল, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক,
বিচ হ্যাচারি, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স,
গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার, ন্যাশনাল টিউবস এবং ইস্টার্ন
কেবলস।
No comments