কাশ্মিরে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় কমান্ডো হামলা, ৩ পাকিস্তানি সেনা নিহত
কাশ্মিরে
ক্রস বর্ডার সার্জিক্যাল অপারেশন চালিয়েছে ভারতীয় সেনারা। এ ঘটনায় তিন
পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার
রাওয়ালকোট সেক্টরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি
এ খবর জানিয়েছে। তবে ডনের খবরে ক্রস বর্ডার সার্জিক্যাল অপারেশন চালানোর
কথা উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ভারতীয়
বাহিনীর ঘাতক ব্যাটালিয়নের পাঁচ কমান্ডো জম্মু ও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখার
পুঞ্চ সেক্টর অতিক্রম করে আজাদ কাশ্মিরের কমপক্ষে ৩০০ মিটার ভিতরে ঢুকে
টহলরত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা চালায় এবং পাকিস্তানের তিন সেনাকে
হত্যা করে। এর আগে শনিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্ডার অ্যাকশন টিম রাজৌরি
সেক্টরে হামলা চালিয়ে চার ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে। এ ঘটনার প্রতিশোধ
নেয়ার হুমকি দিয়েছিল ভারত। এর তিন দিনের মাথায় তাদের কমান্ডোদের হামলায় তিন
পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। এ ঘটনাকে ‘লোকালাইজড ট্যাক্টিক্যাল লেভেল
অপারেশন’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতীয় বাহিনী। ওই এলাকায় মোতায়েন একজন ভারতীয়
আর্মি কমান্ডারের অধীনে পরিচালিত হয় ওই অভিযান। ৪৫ মিনিটের ওই অভিযানকে
সার্জিক্যাল অপারেশন (সীমান্ত অতিক্রম করে নির্দিষ্ট পোস্টে হামলা) বলে
বর্ণনা করতে নারাজ তারা। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণে নির্দিষ্ট
লক্ষ্যবস্তুতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সূত্রগুলো।
এ অভিযানের সময় ভারতের কোনো সেনা হতাহত হয়নি। তবে অভিযানের বিস্তারিত বিষয়
সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এক
বিবৃতিতে বলেছে, স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় আজাদ কাশ্মিরের
রাওয়ালকোটের রুখ চাকরি সেক্টরে হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। নিহত
পাকিস্তানি সেনারা হলেন সাজ্জাদ, আবদুর রহমান ও এম উসমান। আহত হয়েছেন এ
হুসেন নামের এক সেনা। রোববার রাতে কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি
সেনাদের গুলিতে তিন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিল। শনিবার সকালের দিকে রাজৌরি
সেক্টরে পাকিস্তানের গুলিতে নিহত হয়েছিল চার ভারতীয় সেনা। ভারতীয়
সেনাবাহিনী দাবি করে, পাকিস্তানি সেনারা ইচ্ছাকৃত গোলাগুলি শুরু করে। সেই
ঘটনারই পাল্টা জবাব দিতে ক্রস বর্ডার রেড করল ভারত।
জইশ-ই-মোহাম্মদ কমান্ডার নিহত
এ দিকে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে মঙ্গলবার এক ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) শীর্ষ কমান্ডার নূর মোহাম্মদ তান্ত্রে নিহত হয়েছেন। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, কাশ্মিরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর থেকে ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পুলওয়ামা জেলার শ্যামবুরা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। জম্মু ও কাশ্মিরে পুলওয়ামা জেলার শ্যামবুরা এলাকায় একটি বাড়িতে জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) দুই সদস্যকে ঘিরে ফেলে ভারতীয় পুলিশ। পুলিশের অভিযানে জেইএমের কমান্ডার নূর মোহাম্মদ তান্ত্রে নিহত হন। ২০১৫ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ফেরার হন তিনি। এ বছরের প্রথম দিকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে হামলার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। পুলওয়ামা জেলার একজন ভারতীয় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনা ও পুলিশের এ যৌথ বাহিনীর সাথে রাতভর বন্দুকযুদ্ধে জইশ-ই-মোহাম্মদের শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন।’ ভারতীয় পুলিশের দাবি, নিহত তান্ত্রে ছিলেন সংগঠনটির আঞ্চলিক কমান্ডার।
জইশ-ই-মোহাম্মদ কমান্ডার নিহত
এ দিকে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে মঙ্গলবার এক ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) শীর্ষ কমান্ডার নূর মোহাম্মদ তান্ত্রে নিহত হয়েছেন। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, কাশ্মিরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর থেকে ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পুলওয়ামা জেলার শ্যামবুরা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। জম্মু ও কাশ্মিরে পুলওয়ামা জেলার শ্যামবুরা এলাকায় একটি বাড়িতে জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) দুই সদস্যকে ঘিরে ফেলে ভারতীয় পুলিশ। পুলিশের অভিযানে জেইএমের কমান্ডার নূর মোহাম্মদ তান্ত্রে নিহত হন। ২০১৫ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ফেরার হন তিনি। এ বছরের প্রথম দিকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে হামলার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। পুলওয়ামা জেলার একজন ভারতীয় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনা ও পুলিশের এ যৌথ বাহিনীর সাথে রাতভর বন্দুকযুদ্ধে জইশ-ই-মোহাম্মদের শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন।’ ভারতীয় পুলিশের দাবি, নিহত তান্ত্রে ছিলেন সংগঠনটির আঞ্চলিক কমান্ডার।
No comments