জনশক্তি রফতানিতে সমস্যার দায় অসাধু ব্যবসায়ীদের
জনশক্তি রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে পাঠকরা টেলিফোনে মতামত জানিয়েছেন। গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক নেছার আহমেদ সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় লোকজনকে বিভ্রান্ত করার জন্যই কি সমকাল প্রশ্নটা করেছে?
গতকাল পর্যন্তও তো আমাদের জনশক্তি রফতানি বাড়তি ছিল। এ বিষয়টি দুঃখজনক।
মো. জামান
এনজিওকর্মী, ঢাকা
একটি অসাধু চক্র জাল ভিসা করে লোক পাঠায়। এরা বিভিন্ন দেশে ধরা পড়ায় সেদেশের সরকার শ্রমিক নিতে আগ্রহী হয় না। এর সঙ্গে সরকারের অফিসও জড়িত।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
সরকারের উচিত নিজ দায়িত্বে অন্য দেশে শ্রমিক পাঠানো। দালালদের মাধ্যমে নয়। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা উচিত।
মইনুল ইসলাম মইন
ব্যবসায়ী, ফেনী
কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় ঘটেছে।
ফিরোজ আলম
ব্যবসায়ী, পল্টন, ঢাকা
সরকার যখন মালয়েশিয়ার সঙ্গে লোক পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি করছিল, সেখানে বায়রা আন্দোলন করেছে। বায়রাই আসলে জনশক্তি রফতানি বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে বিপর্যয়ের কারণ, সেখানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু অপপ্রচার। সরকারের উচিত বায়রার সঙ্গে আলোচনা করে কিছু করা।
মতিউর রহমান
ইঞ্জিনিয়ার, ঢাকা
বাংলাদেশে তো আসলে এখনও জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় ঘটেনি।
নুরুল ইসলাম
চাকরিজীবী, ঢাকা
জনশক্তিতে আসলে বিপর্যয় ঘটেনি। বিপর্যয় ঘটেছে বায়রার ব্যবসায়ীদের।
মো. নজরুল ইসলাম সোহেল
শিক্ষার্থী, শ্রীমঙ্গল
যারা আদম পাচারের সঙ্গে জড়িত তারা দায়ী। তারা অবৈধভাবে লোক পাঠায়। এতে দেশের মর্যাদাহানি হয়।
মোহাম্মদ ইব্রাহীম
বিদেশ ফেরত, ঢাকা
জনশক্তি রফতানি ট্রেন্ড দেখাচ্ছে, জনশক্তি রফতানি বাড়ছে। এখানে বিপর্যয় বা ধস তো নামেনি।
ড. মো. আশফাকুল ইসলাম
উপসচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়
আমাদের তো জনশক্তিতে বিপর্যয় ঘটেনি। ২০১১ থেকে ২০১২ সালে ২৮ ভাগ রফতানি বেড়েছে। সম্প্রতি আরব আমিরাতে যে ঘটনাটা ঘটল সেটা বিচ্ছিন্ন বিষয়। শ্রমিকদের নিজেদের কারণেই এটা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে অসাধু উপায়ে লোক পাঠাচ্ছে, সেটা একটা কারণ। তবে আমাদের অনুরোধ থাকবে, অপানারা তথ্য দেখেন এবং আমরা খুশি হবো যদি আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চান এবং ভালো রিপোর্ট করেন।
অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন
আইনজীবী, জজকোর্ট, ঢাকা
সরকার বলছে, জনশক্তি রফতানি বেড়ে চলেছে, আপনারা বলছেন বিপর্যয় ঘটেছে। আসলে কী ঘটেছে জনগণ জানতে চায়।
রেজাউল করিম
সরকারি চাকরিজীবী, ঢাকা
জনশক্তি রফতানির ট্রেন্ড তো খুব ভালো। বিগত বছরের ডাটাগুলো দেখলে বুঝবেন এবং আমাদের দেশে রেমিট্যান্সের হার প্রতিবছর বেড়েই চলেছে।
সুধাকর দত্ত
সরকারি চাকরিজীবী, সচিবালয়, ঢাকা
আমাদের তো জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় ঘটেনি। আপনারা যেভাবে বলছেন সেটাতে তো জনগণের মাঝে খারাপ ইমপ্রেশন হবে।
মিজান
চাকরিজীবী, ঢাকা
সরকার তো মালয়েশিয়ায় নতুন করে লোক নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগে বায়রার মাধ্যমে লোক যেত, এখন সরকার যেহেতু উদ্যোগ নিয়েছে আপনাদের সাধুবাদ জানানো উচিত।
আবদুল লতিফ
কারখানা শ্রমিক, ডেমরা, ঢাকা
আমরা তো মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সরকারের মাধ্যমে চেষ্টা করছি। সরকার যেন ভালোভাবে উদ্যোগ নেয়।
নূরুল আমিন
দোকানদার, নরসিংদী
সরকার মুসলিম দেশগুলোতে ভালো সম্পর্ক গড়তে পারেনি।
মো. আলমগীর কবির
চাকরিজীবী, ঢাকা
আমরা চাই সরকারের মাধ্যমে যেন বিদেশে লোক নেওয়া হয়। বেসরকারি রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলোই এ বিপর্যয়ে দায়ী।
ফুয়াদ
ব্যবসায়ী, ফরিদপুর
আমরা জানি না জনশক্তিতে কোনো বিপর্যয় ঘটেছে কিনা। এ বিষয়টা নির্ধারণ করা আপনাদের ঠিক হয়নি।
শামসুন নাহার
ডিজি, বিএমইডি
জনশক্তিতে বিপর্যয় কোথায় ঘটল? বিপর্যয়ের কী দেখল সমকাল। যেখানে বিপর্যয়ই ঘটল না, সেখানে কী মতামত দেব?
মো. মোরশেদ আলম
ব্যবসায়ী, গাজীপুর
বিপর্যয়ের জন্য দায়ী দালালচক্র। সরকারের উচিত এর জন্য নিজ থেকে উদ্যোগ
নিয়ে জনগণকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করা।
মো. সেলিম
ব্যবসায়ী, বনশ্রী, ঢাকা
আমার ছোট ভাই তো বিদেশে গেছে। ধস বা বিপর্যয় নামল কোথায়?
শাহ আলম
চাকরিজীবী, কুমিল্লা
সরকারই এর জন্য দায়ী।
মঞ্জুর হোসেন
ব্যবসায়ী, ইস্কাটন, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে কোনো ধস-বিপর্যয় কিছুই নামেনি।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ
এর জন্য সরকার দায়ী নয়। বিরোধী মহল এর জন্য দায়ী। প্রধানমন্ত্রী বিপর্যয় রক্ষার চেষ্টা করছেন।
বাশার
বায়রার সাবেক সভাপতি, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে কবে বিপর্যয় ঘটল আমাদের একটু বলেন দেখি?
আল মামুন
গার্মেন্ট কর্মী, নারায়ণগঞ্জ
রিত্রুক্রটিং এজেন্সিরা বেশি টাকা করে নেয় বলে বিদেশে গিয়ে শ্রমিকরা অবৈধ উপার্জন করতে গিয়ে ধরা পড়ে।
বাবু
চাকরিজীবী, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে ধস নামেনি। তবে দালালদের কারণে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।
সোহেল রানা
বিদেশ ফেরত শ্রমিক, মিরপুর, ঢাকা
সরকারই এর জন্য দায়ী।
আবদুল মান্নান
লিবিয়া ফেরত,ফেনী
আমরা লিবিয়া থেকে আসার পরও সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তারা আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে গেছে অথচ এখনও কোনো সুফল পাইনি।
নাহিদা পারভীন
ফার্মাসিস্ট, ঢাকা
জনশক্তিতে বিপর্যয় ঘটেনি।
মোস্তাফিজ
চাকরিজীবী, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়
২০১২ সালে এ পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় ২৯ ভাগ বেড়েছে। বিপর্যয় ঘটেনি।
আজাদ
ব্যবসায়ী, গোরান, খিলগাঁও
জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয়ের জন্য দায়ী রিত্রুক্রটিং এজেন্সি।
আক্কাছ শেখ
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
জনশক্তি আমাদের দেশের মূলশক্তি। সরকারি বা বেসরকারি যে সিন্ডিকেট থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ তারা বিভিন্ন লোকের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন।
সমরেন
বেকার, মাগুরা, আলোকদার বাজার
এ জন্য দায়ী সরকার। আর সরকার যদি জনগণকে বিকল্পভাবে নিয়ে যেতে পারে তাহলে জনগণ সরকারকে দায়ী করবে না।
সাজ্জাদ হোসেন সাজু
ব্যবসায়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা
অসাধু রিত্রুক্রটিং এজেন্সি দায়ী। কারণ তারা বিভিন্নভাবে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতারণা করে।
সাখাওয়াত হোসেন কবির
ব্যবসায়ী, মতিঝিল, ঢাকা
শুধু রিত্রুক্রটিং এজেন্সিদের দায়ী করব না।
মো. খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয়ের জন্য রিত্রুক্রটিং এজেন্সিরাই দায়ী।
আশ্রাফুল আলম
ব্যবসায়ী, শান্তিনগর, ঢাকা
রফতানি আগের তুলনায় একটু বেড়েছে। কারণ দেশের লোক যখন বিদেশে যায় তখন তাদের ৩ লাখ টাকা খরচ হয় রিত্রুক্রটিং এজেন্সির মাধ্যমে। এই টাকা উদ্ধারের জন্য তারা বিভিন্ন কাজে যোগ দেয় আর যদি সরকারিভাবে যায় তাহলে তারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ত না। তারা তাদের টাকা মেয়াদের আগে তুলে ফেলতে পারত।
মোখলেছুর রহমান চৌধুরী
ব্যবসায়ী, মাদারটেক, বাসাবো
রিত্রুক্রটিং এজেন্সি প্রচুর লাভ করে নেয়। এ জন্য তারাই দায়ী।
শেখ আবদুল কাদের
সংস্কৃতিকর্মী, ডেমরা, ঢাকা
জনশক্তি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায় রয়েছে। অন্য দেশে যখন কোনো শ্রমিক বিপর্যয়ে পড়ে তখন তারা দেখে না।
মো. তারিকুজ্জামান
ব্যবসায়ী, খুলনা, আলাসপুর
দায়ী বায়রা এবং রিত্রুক্রটিং এজেন্সি।
আবদুর রাজ্জাক
চাকরিজীবী, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
রিত্রুক্রটিং এজেন্সি বা বায়রা দায়ী।
হেলাল উদ্দিন
ব্যবসায়ী, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে এখনও ধস নামেনি।
নাসরীন
গৃহিণী, কল্যাণপুর, ঢাকা
রিত্রুক্রটিং এজেন্সি এ জন্য দায়ী।
আবদুর রাজ্জাক
চাকরিজীবী, উত্তরখান, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে সম্পূর্ণ দায়ী রিত্রুক্রটিং এজেন্সি। আর এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
আবদুর রউফ
চাকরিজীবী, ইস্কাটন, ঢাকা
বিভিন্ন টক শোতে আমাদের এমপি, মন্ত্রীদের কথাবার্তায় সাধারণ জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়।
মো. আবদুর রহিম
সহকারী শিক্ষক, পিরোজপুর
প্রবাসীরা দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করে না বলেই বিদেশিরা এই দেশের জনশক্তির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। সরকার, বিরোধী দল এবং বিদেশি দূতাবাসগুলো কিছুটা হলেও দায়ী।
আক্কাছ আলী
চাকরিজীবী, লালবাগ, ঢাকা
দালাল এবং রিত্রুক্রটিং এজেন্সিরাই দায়ী।
শাজাহান
মুদি দোকানদার, মিরপুর, ঢাকা
রিত্রুক্রটিং এজেন্সিরাই বিভিন্ন চক্র হয়ে কাজ করে আর জনগণকে খেসারত দিতে হয়।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
যেসব দেশে ইতিমধ্যে জনশক্তি রফতানি কমে গেছে অথবা রফতানি করতে গিয়ে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, সেখানে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় মন্ত্রীকে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
বদরুন নাহার
চাকরিজীবী, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
জনশক্তি বিপর্যয়মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
জাহাঙ্গীর
চাকরিজীবী, কাকরাইল, ঢাকা
জনশক্তি বিপর্যয় যেন না ঘটে সে জন্য সরকারকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
মো. নেসার উদ্দিন
ব্যবসায়ী, গুলশান, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় ঘটেনি। সরকার প্রতিনিয়ত বিদেশে লোক পাঠাচ্ছে। তবে রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলোতে কিছুটা বিপর্যয় ঘটেছে।
মো. ইব্রাহীম খলিল বাবলু
ব্যবসায়ী, লক্ষ্মীপুর
জনশক্তি রফতানি বিপর্যয়ে সরকার দায়ী।
মো. মিলন
মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক, ফরিদপুর
সরকার কম টাকায় মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলেছে। নেবে তো?
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনসংখ্যা রফতানি আশানুরূপ হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সমস্যা আছে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মো. আবুল বাশার
ব্যবসায়ী, লক্ষ্মীপুর
আমরা সরকারকে দোষ দিচ্ছি, এর-ওর দোষ দিচ্ছি। আমি মনে করি, আমরা যারা বিদেশি আছি তাদের কারণে ভিসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি দুই বছর বিদেশে ছিলাম।
মাহমুদ হাসান
চাকরিজীবী, শেওড়াপাড়া, ঢাকা
কোনো বিপর্যয় দেখতে পাচ্ছি না। গত দুই বছর ধরে ৮-৯ লাখ লোক মধ্যপ্রাচ্যে গেছে। সৌদি আরবের বিষয়টা ভিন্ন। আরব আমিরাতের বিষয়টা সাময়িক।
মহসীন
ব্যবসায়ী, মিরপুর, ঢাকা
রিত্রুক্রটিং এজেন্সি বায়রা দায়ী। তাদের দালালচক্র কাজ করে। দালালরাই প্রতারণা করে বেশি টাকা নেয়।
মামুন
শিক্ষার্থী, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও কোথাও শ্রমিক রফতানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্ট হচ্ছে। সরকারের উচিত এখনই ব্যবস্থা নেওয়া।
মিজানুর রহমান
বেকার, কুমিল্লা
সরকার এবং বায়রা বিষয়টা নিয়ে টানাটানি করে সংকট বাড়াচ্ছে।
মনির আহমেদ
এনজিওকর্মী, বাগেরহাট
প্রথমত দায়ী সরকার। সরকারের অন্তর্গত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দায়ী। আমাদের রাষ্ট্রদূতরা প্রবাসী শ্রমিকদের কোনো খোঁজখবর নেন না।
আরিফ আহমেদ বাবু
পিপল্স ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ, ঢাকা
যারা জীবনের তাগিদে দেশ ছেড়ে বিদেশে যায় তখন পাসপোর্ট থেকে শুরু করে ভিসা এসব কাগজপত্র দেখার জন্য সরকারের পক্ষে যেসব কর্মকর্তা আছেন তারা নানাভাবে হয়রানি করেন। তারা কিছু টাকার বিনিময়ে ভুয়া কাগজ দেখেও বিদেশ যেতে সহায়তা করে। পরে যে ব্যক্তি বিদেশে যায় তার কাগজপত্র চেক করার সময় সে দেশের প্রশাসনিক লোকজন মনে করেন, তারা নিয়মবহির্ভূতভাবে এসেছে। তাই দুর্নীতি দূর করতে পারলে জনশক্তি কেন, সবক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারব।
প্রবীর বিশ্বাস
সাংবাদিক, বরিশাল
সরকার ও বায়রা এর জন্য দায়ী। বায়রার জন্যই ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।
মো. আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
দালালচক্র এর জন্য দায়ী। দালালরা যেসব কথা বলে টাকা নেয়, বিদেশে গিয়ে তার সঙ্গে মিল পাওয়া যায় না। অনেকেই বিদেশে গিয়ে কাজ পায় না। ফলে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
হারুনুর রশিদ শাহীন
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
দীর্ঘদিন পরে হলেও বিদেশে কর্মী রফতানি শুরু হচ্ছে। আগামী ৫ বছরে শুধু মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫ লাখ কর্মী রফতানির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমবাজার বেশ প্রসারিত। এখানকার কয়েকটি দেশে গণতন্ত্রের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় এ বাজার বেশ হুমকির মুখে। তাছাড়া বায়রার নেতৃবৃন্দের দুর্নীতির কারণে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রেও নেতিবাচক ভূমিকা পড়ছে। কূটনৈতিক তৎপরতাও তেমন জোরালো নয়। শুধু জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া ছাড়া তেমন কোনো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সর্বোপরি সরকারকেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে এ সমস্যাগুলো দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে।
অমিত বণিক
উন্নয়নকর্মী, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ
সরকারকে জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মো. জামান
এনজিওকর্মী, ঢাকা
একটি অসাধু চক্র জাল ভিসা করে লোক পাঠায়। এরা বিভিন্ন দেশে ধরা পড়ায় সেদেশের সরকার শ্রমিক নিতে আগ্রহী হয় না। এর সঙ্গে সরকারের অফিসও জড়িত।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
সরকারের উচিত নিজ দায়িত্বে অন্য দেশে শ্রমিক পাঠানো। দালালদের মাধ্যমে নয়। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা উচিত।
মইনুল ইসলাম মইন
ব্যবসায়ী, ফেনী
কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় ঘটেছে।
ফিরোজ আলম
ব্যবসায়ী, পল্টন, ঢাকা
সরকার যখন মালয়েশিয়ার সঙ্গে লোক পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি করছিল, সেখানে বায়রা আন্দোলন করেছে। বায়রাই আসলে জনশক্তি রফতানি বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে বিপর্যয়ের কারণ, সেখানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু অপপ্রচার। সরকারের উচিত বায়রার সঙ্গে আলোচনা করে কিছু করা।
মতিউর রহমান
ইঞ্জিনিয়ার, ঢাকা
বাংলাদেশে তো আসলে এখনও জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় ঘটেনি।
নুরুল ইসলাম
চাকরিজীবী, ঢাকা
জনশক্তিতে আসলে বিপর্যয় ঘটেনি। বিপর্যয় ঘটেছে বায়রার ব্যবসায়ীদের।
মো. নজরুল ইসলাম সোহেল
শিক্ষার্থী, শ্রীমঙ্গল
যারা আদম পাচারের সঙ্গে জড়িত তারা দায়ী। তারা অবৈধভাবে লোক পাঠায়। এতে দেশের মর্যাদাহানি হয়।
মোহাম্মদ ইব্রাহীম
বিদেশ ফেরত, ঢাকা
জনশক্তি রফতানি ট্রেন্ড দেখাচ্ছে, জনশক্তি রফতানি বাড়ছে। এখানে বিপর্যয় বা ধস তো নামেনি।
ড. মো. আশফাকুল ইসলাম
উপসচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়
আমাদের তো জনশক্তিতে বিপর্যয় ঘটেনি। ২০১১ থেকে ২০১২ সালে ২৮ ভাগ রফতানি বেড়েছে। সম্প্রতি আরব আমিরাতে যে ঘটনাটা ঘটল সেটা বিচ্ছিন্ন বিষয়। শ্রমিকদের নিজেদের কারণেই এটা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে অসাধু উপায়ে লোক পাঠাচ্ছে, সেটা একটা কারণ। তবে আমাদের অনুরোধ থাকবে, অপানারা তথ্য দেখেন এবং আমরা খুশি হবো যদি আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চান এবং ভালো রিপোর্ট করেন।
অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন
আইনজীবী, জজকোর্ট, ঢাকা
সরকার বলছে, জনশক্তি রফতানি বেড়ে চলেছে, আপনারা বলছেন বিপর্যয় ঘটেছে। আসলে কী ঘটেছে জনগণ জানতে চায়।
রেজাউল করিম
সরকারি চাকরিজীবী, ঢাকা
জনশক্তি রফতানির ট্রেন্ড তো খুব ভালো। বিগত বছরের ডাটাগুলো দেখলে বুঝবেন এবং আমাদের দেশে রেমিট্যান্সের হার প্রতিবছর বেড়েই চলেছে।
সুধাকর দত্ত
সরকারি চাকরিজীবী, সচিবালয়, ঢাকা
আমাদের তো জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় ঘটেনি। আপনারা যেভাবে বলছেন সেটাতে তো জনগণের মাঝে খারাপ ইমপ্রেশন হবে।
মিজান
চাকরিজীবী, ঢাকা
সরকার তো মালয়েশিয়ায় নতুন করে লোক নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগে বায়রার মাধ্যমে লোক যেত, এখন সরকার যেহেতু উদ্যোগ নিয়েছে আপনাদের সাধুবাদ জানানো উচিত।
আবদুল লতিফ
কারখানা শ্রমিক, ডেমরা, ঢাকা
আমরা তো মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সরকারের মাধ্যমে চেষ্টা করছি। সরকার যেন ভালোভাবে উদ্যোগ নেয়।
নূরুল আমিন
দোকানদার, নরসিংদী
সরকার মুসলিম দেশগুলোতে ভালো সম্পর্ক গড়তে পারেনি।
মো. আলমগীর কবির
চাকরিজীবী, ঢাকা
আমরা চাই সরকারের মাধ্যমে যেন বিদেশে লোক নেওয়া হয়। বেসরকারি রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলোই এ বিপর্যয়ে দায়ী।
ফুয়াদ
ব্যবসায়ী, ফরিদপুর
আমরা জানি না জনশক্তিতে কোনো বিপর্যয় ঘটেছে কিনা। এ বিষয়টা নির্ধারণ করা আপনাদের ঠিক হয়নি।
শামসুন নাহার
ডিজি, বিএমইডি
জনশক্তিতে বিপর্যয় কোথায় ঘটল? বিপর্যয়ের কী দেখল সমকাল। যেখানে বিপর্যয়ই ঘটল না, সেখানে কী মতামত দেব?
মো. মোরশেদ আলম
ব্যবসায়ী, গাজীপুর
বিপর্যয়ের জন্য দায়ী দালালচক্র। সরকারের উচিত এর জন্য নিজ থেকে উদ্যোগ
নিয়ে জনগণকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করা।
মো. সেলিম
ব্যবসায়ী, বনশ্রী, ঢাকা
আমার ছোট ভাই তো বিদেশে গেছে। ধস বা বিপর্যয় নামল কোথায়?
শাহ আলম
চাকরিজীবী, কুমিল্লা
সরকারই এর জন্য দায়ী।
মঞ্জুর হোসেন
ব্যবসায়ী, ইস্কাটন, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে কোনো ধস-বিপর্যয় কিছুই নামেনি।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ
এর জন্য সরকার দায়ী নয়। বিরোধী মহল এর জন্য দায়ী। প্রধানমন্ত্রী বিপর্যয় রক্ষার চেষ্টা করছেন।
বাশার
বায়রার সাবেক সভাপতি, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে কবে বিপর্যয় ঘটল আমাদের একটু বলেন দেখি?
আল মামুন
গার্মেন্ট কর্মী, নারায়ণগঞ্জ
রিত্রুক্রটিং এজেন্সিরা বেশি টাকা করে নেয় বলে বিদেশে গিয়ে শ্রমিকরা অবৈধ উপার্জন করতে গিয়ে ধরা পড়ে।
বাবু
চাকরিজীবী, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে ধস নামেনি। তবে দালালদের কারণে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।
সোহেল রানা
বিদেশ ফেরত শ্রমিক, মিরপুর, ঢাকা
সরকারই এর জন্য দায়ী।
আবদুল মান্নান
লিবিয়া ফেরত,ফেনী
আমরা লিবিয়া থেকে আসার পরও সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তারা আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে গেছে অথচ এখনও কোনো সুফল পাইনি।
নাহিদা পারভীন
ফার্মাসিস্ট, ঢাকা
জনশক্তিতে বিপর্যয় ঘটেনি।
মোস্তাফিজ
চাকরিজীবী, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়
২০১২ সালে এ পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় ২৯ ভাগ বেড়েছে। বিপর্যয় ঘটেনি।
আজাদ
ব্যবসায়ী, গোরান, খিলগাঁও
জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয়ের জন্য দায়ী রিত্রুক্রটিং এজেন্সি।
আক্কাছ শেখ
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
জনশক্তি আমাদের দেশের মূলশক্তি। সরকারি বা বেসরকারি যে সিন্ডিকেট থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ তারা বিভিন্ন লোকের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন।
সমরেন
বেকার, মাগুরা, আলোকদার বাজার
এ জন্য দায়ী সরকার। আর সরকার যদি জনগণকে বিকল্পভাবে নিয়ে যেতে পারে তাহলে জনগণ সরকারকে দায়ী করবে না।
সাজ্জাদ হোসেন সাজু
ব্যবসায়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা
অসাধু রিত্রুক্রটিং এজেন্সি দায়ী। কারণ তারা বিভিন্নভাবে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতারণা করে।
সাখাওয়াত হোসেন কবির
ব্যবসায়ী, মতিঝিল, ঢাকা
শুধু রিত্রুক্রটিং এজেন্সিদের দায়ী করব না।
মো. খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয়ের জন্য রিত্রুক্রটিং এজেন্সিরাই দায়ী।
আশ্রাফুল আলম
ব্যবসায়ী, শান্তিনগর, ঢাকা
রফতানি আগের তুলনায় একটু বেড়েছে। কারণ দেশের লোক যখন বিদেশে যায় তখন তাদের ৩ লাখ টাকা খরচ হয় রিত্রুক্রটিং এজেন্সির মাধ্যমে। এই টাকা উদ্ধারের জন্য তারা বিভিন্ন কাজে যোগ দেয় আর যদি সরকারিভাবে যায় তাহলে তারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ত না। তারা তাদের টাকা মেয়াদের আগে তুলে ফেলতে পারত।
মোখলেছুর রহমান চৌধুরী
ব্যবসায়ী, মাদারটেক, বাসাবো
রিত্রুক্রটিং এজেন্সি প্রচুর লাভ করে নেয়। এ জন্য তারাই দায়ী।
শেখ আবদুল কাদের
সংস্কৃতিকর্মী, ডেমরা, ঢাকা
জনশক্তি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায় রয়েছে। অন্য দেশে যখন কোনো শ্রমিক বিপর্যয়ে পড়ে তখন তারা দেখে না।
মো. তারিকুজ্জামান
ব্যবসায়ী, খুলনা, আলাসপুর
দায়ী বায়রা এবং রিত্রুক্রটিং এজেন্সি।
আবদুর রাজ্জাক
চাকরিজীবী, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
রিত্রুক্রটিং এজেন্সি বা বায়রা দায়ী।
হেলাল উদ্দিন
ব্যবসায়ী, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে এখনও ধস নামেনি।
নাসরীন
গৃহিণী, কল্যাণপুর, ঢাকা
রিত্রুক্রটিং এজেন্সি এ জন্য দায়ী।
আবদুর রাজ্জাক
চাকরিজীবী, উত্তরখান, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে সম্পূর্ণ দায়ী রিত্রুক্রটিং এজেন্সি। আর এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
আবদুর রউফ
চাকরিজীবী, ইস্কাটন, ঢাকা
বিভিন্ন টক শোতে আমাদের এমপি, মন্ত্রীদের কথাবার্তায় সাধারণ জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়।
মো. আবদুর রহিম
সহকারী শিক্ষক, পিরোজপুর
প্রবাসীরা দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করে না বলেই বিদেশিরা এই দেশের জনশক্তির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। সরকার, বিরোধী দল এবং বিদেশি দূতাবাসগুলো কিছুটা হলেও দায়ী।
আক্কাছ আলী
চাকরিজীবী, লালবাগ, ঢাকা
দালাল এবং রিত্রুক্রটিং এজেন্সিরাই দায়ী।
শাজাহান
মুদি দোকানদার, মিরপুর, ঢাকা
রিত্রুক্রটিং এজেন্সিরাই বিভিন্ন চক্র হয়ে কাজ করে আর জনগণকে খেসারত দিতে হয়।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
যেসব দেশে ইতিমধ্যে জনশক্তি রফতানি কমে গেছে অথবা রফতানি করতে গিয়ে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, সেখানে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় মন্ত্রীকে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
বদরুন নাহার
চাকরিজীবী, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
জনশক্তি বিপর্যয়মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
জাহাঙ্গীর
চাকরিজীবী, কাকরাইল, ঢাকা
জনশক্তি বিপর্যয় যেন না ঘটে সে জন্য সরকারকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
মো. নেসার উদ্দিন
ব্যবসায়ী, গুলশান, ঢাকা
জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় ঘটেনি। সরকার প্রতিনিয়ত বিদেশে লোক পাঠাচ্ছে। তবে রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলোতে কিছুটা বিপর্যয় ঘটেছে।
মো. ইব্রাহীম খলিল বাবলু
ব্যবসায়ী, লক্ষ্মীপুর
জনশক্তি রফতানি বিপর্যয়ে সরকার দায়ী।
মো. মিলন
মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক, ফরিদপুর
সরকার কম টাকায় মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলেছে। নেবে তো?
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনসংখ্যা রফতানি আশানুরূপ হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো সমস্যা আছে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মো. আবুল বাশার
ব্যবসায়ী, লক্ষ্মীপুর
আমরা সরকারকে দোষ দিচ্ছি, এর-ওর দোষ দিচ্ছি। আমি মনে করি, আমরা যারা বিদেশি আছি তাদের কারণে ভিসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি দুই বছর বিদেশে ছিলাম।
মাহমুদ হাসান
চাকরিজীবী, শেওড়াপাড়া, ঢাকা
কোনো বিপর্যয় দেখতে পাচ্ছি না। গত দুই বছর ধরে ৮-৯ লাখ লোক মধ্যপ্রাচ্যে গেছে। সৌদি আরবের বিষয়টা ভিন্ন। আরব আমিরাতের বিষয়টা সাময়িক।
মহসীন
ব্যবসায়ী, মিরপুর, ঢাকা
রিত্রুক্রটিং এজেন্সি বায়রা দায়ী। তাদের দালালচক্র কাজ করে। দালালরাই প্রতারণা করে বেশি টাকা নেয়।
মামুন
শিক্ষার্থী, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও কোথাও শ্রমিক রফতানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্ট হচ্ছে। সরকারের উচিত এখনই ব্যবস্থা নেওয়া।
মিজানুর রহমান
বেকার, কুমিল্লা
সরকার এবং বায়রা বিষয়টা নিয়ে টানাটানি করে সংকট বাড়াচ্ছে।
মনির আহমেদ
এনজিওকর্মী, বাগেরহাট
প্রথমত দায়ী সরকার। সরকারের অন্তর্গত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দায়ী। আমাদের রাষ্ট্রদূতরা প্রবাসী শ্রমিকদের কোনো খোঁজখবর নেন না।
আরিফ আহমেদ বাবু
পিপল্স ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ, ঢাকা
যারা জীবনের তাগিদে দেশ ছেড়ে বিদেশে যায় তখন পাসপোর্ট থেকে শুরু করে ভিসা এসব কাগজপত্র দেখার জন্য সরকারের পক্ষে যেসব কর্মকর্তা আছেন তারা নানাভাবে হয়রানি করেন। তারা কিছু টাকার বিনিময়ে ভুয়া কাগজ দেখেও বিদেশ যেতে সহায়তা করে। পরে যে ব্যক্তি বিদেশে যায় তার কাগজপত্র চেক করার সময় সে দেশের প্রশাসনিক লোকজন মনে করেন, তারা নিয়মবহির্ভূতভাবে এসেছে। তাই দুর্নীতি দূর করতে পারলে জনশক্তি কেন, সবক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারব।
প্রবীর বিশ্বাস
সাংবাদিক, বরিশাল
সরকার ও বায়রা এর জন্য দায়ী। বায়রার জন্যই ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।
মো. আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
দালালচক্র এর জন্য দায়ী। দালালরা যেসব কথা বলে টাকা নেয়, বিদেশে গিয়ে তার সঙ্গে মিল পাওয়া যায় না। অনেকেই বিদেশে গিয়ে কাজ পায় না। ফলে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
হারুনুর রশিদ শাহীন
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
দীর্ঘদিন পরে হলেও বিদেশে কর্মী রফতানি শুরু হচ্ছে। আগামী ৫ বছরে শুধু মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫ লাখ কর্মী রফতানির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমবাজার বেশ প্রসারিত। এখানকার কয়েকটি দেশে গণতন্ত্রের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় এ বাজার বেশ হুমকির মুখে। তাছাড়া বায়রার নেতৃবৃন্দের দুর্নীতির কারণে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রেও নেতিবাচক ভূমিকা পড়ছে। কূটনৈতিক তৎপরতাও তেমন জোরালো নয়। শুধু জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া ছাড়া তেমন কোনো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সর্বোপরি সরকারকেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে এ সমস্যাগুলো দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে।
অমিত বণিক
উন্নয়নকর্মী, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ
সরকারকে জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments