জাতীয় গ্রিডে সমস্যা- বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে লোডশেডিং বেড়েছে

বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের সমস্যা, বিতরণ ব্যবস্থায় বিভ্রাট ও লোডশেডিং বেড়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের হরিপুর-ঢাকা অংশ বেলা তিনটার দিকে বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে সিদ্ধিরগঞ্জ, মানিকনগর, নারিন্দা ও বঙ্গভবন উপকেন্দ্রের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।


পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সূত্র জানায়, অত্যধিক চাহিদা বৃদ্ধি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় উন্নয়ন না হওয়া এবং চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন কম হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
গত সপ্তাহেও একই দিনে জাতীয় গ্রিডের সমস্যার কারণে সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ ঢাকার কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে পিডিবি, ডিপিডিসি ও ডেসকোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল সকালে আদালতে হাজির হয়ে ওই কর্মকর্তারা বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে। জাতীয় গ্রিড পরিচালনা করে পিজিসিবি।
এরপর আদালত পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। বিকেলে তিনি হাজির হয়ে আদালতের সামনে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আদালত সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে অব্যাহতি দেন।
গ্রিডের সমস্যার পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলেছে। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। সাতমসজিদ রোডে ডিপিডিসির উপকেন্দ্রে সৃষ্ট কারিগরি ত্রুটির কারণে এই অবস্থা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক, শিয়া মসজিদ, লালবাগ, নারিন্দা, কল্যাণপুর, কারওয়ান বাজারসহ অনেক এলাকা থেকেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। বিতরণ ব্যবস্থা ‘ওভারলোডেড’ (যেটুকু বিতরণ করার ক্ষমতা তার চেয়ে বেশি চাহিদা) হওয়াই বিভ্রাটের কারণ।
বিভ্রাটের পাশাপাশি চলছে লোডশেডিংও। ঢাকায় এখন এলাকাভেদে দিনের বেলা দু-তিনবার এবং রাতে এক-দুবার লোডশেডিং হচ্ছে। আর ঢাকার বাইরে এখনো আট-দশ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পিডিবি জানায়, এখন চাহিদা প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে। দিনের বেলা চার হাজার ২০০ এবং রাতে প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.