পীরগাছায় চার শতাধিক বসতভিটা ঘাঘটে বিলীন
ঘাঘট নদের ভাঙনে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের চার কিলোমিটার এলাকার ১০টি গ্রামের চার শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও ৫০০ একর আবাদি জমিসহ অসংখ্য গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া সৈয়দপুর-পারুল রাস্তার তিন কিলোমিটার অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।
ভাংনিটারী গ্রামের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘নদী হামার সউগ শ্যাষ করি দেছে। ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি নদীর প্যাটত গেইছে। এখন হামরা কোনটে যামো আর কী খামো জানি না বাহে!’
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘নদের পানি অনেক কমেছে। কিন্তু পানির স্রোত কিনারায় আঘাত করায় নদের পাড় ভাঙছে। ভাঙনের কবলে পড়ায় অনেকে ঘর ভেঙে ও বাড়ির গাছগাছড়া কেটে সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত। রাস্তা না থাকায় মানুষ জমির আইল দিয়ে এসব নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০ দিনের ভাঙনে ১০টি গ্রামের চার শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও আবাদি জমিসহ অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া সৈয়দপুর-পারুল রাস্তার প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ এবং কোনাপাড়ার ঈদগাহ মাঠসহ দুটি মসজিদ নদের পেটে চলে গেছে। ভাঙনকবলিত গ্রামগুলো হলো পারুল ইউনিয়নের সৈয়দপুর, পারুল, পূর্ব পারুল, দক্ষিণ পারুল, ভাংনিটারী ও জোলাপাড়া, পীরগাছা ইউনিয়নের তালুক ঈসাদ ও পিয়ারপাড়া এবং কৈকুড়ী ইউনিয়নের ওমর খাঁ ও মোংলাকুটি।
পারুল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ (পাউবো) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।’
রংপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস শহীদ বলেন, ‘বরাদ্দ না থাকায় ঘাঘট নদের ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘নদের পানি অনেক কমেছে। কিন্তু পানির স্রোত কিনারায় আঘাত করায় নদের পাড় ভাঙছে। ভাঙনের কবলে পড়ায় অনেকে ঘর ভেঙে ও বাড়ির গাছগাছড়া কেটে সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত। রাস্তা না থাকায় মানুষ জমির আইল দিয়ে এসব নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০ দিনের ভাঙনে ১০টি গ্রামের চার শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও আবাদি জমিসহ অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া সৈয়দপুর-পারুল রাস্তার প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ এবং কোনাপাড়ার ঈদগাহ মাঠসহ দুটি মসজিদ নদের পেটে চলে গেছে। ভাঙনকবলিত গ্রামগুলো হলো পারুল ইউনিয়নের সৈয়দপুর, পারুল, পূর্ব পারুল, দক্ষিণ পারুল, ভাংনিটারী ও জোলাপাড়া, পীরগাছা ইউনিয়নের তালুক ঈসাদ ও পিয়ারপাড়া এবং কৈকুড়ী ইউনিয়নের ওমর খাঁ ও মোংলাকুটি।
পারুল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ (পাউবো) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।’
রংপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস শহীদ বলেন, ‘বরাদ্দ না থাকায় ঘাঘট নদের ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
No comments