ব্যাংকিং খাতে দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ বাতিল করুন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতায়ন
সোনালী ব্যাংকে হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর সবাই স্বীকার করেছেন যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণনিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা দরকার। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এটা চায় না। রোববার প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতপার্থক্য রয়েছে।
বিশ্বের সব দেশেই ব্যাংকিং খাতের একক নিয়ন্ত্রণ থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর। বাংলাদেশে কেন এর ব্যতিক্রম হবে, তা বোধগম্য নয়। ব্যাংকিং খাতের একটি বড় অংশের ওপর মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার এই ব্যবস্থা আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা বজায় রাখার পথে বড় বাধা। এটা দূর করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রভাব বিস্তারের প্রবণতা দেখা যায়। অনেকে দলীয় স্বার্থে ঋণ অনুমোদনের সুযোগ পায়। এতে আর্থিক খাতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ডেকে আনার প্রাথমিক শর্ত সৃষ্টি হয়। এটা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়। ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী পদে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও ব্যর্থতা রয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তা যুক্তিসংগত হতো যদি সোনালী ব্যাংকের ওপর পূর্ণনিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকত। সীমিত ক্ষমতা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যতটুকু নজরদারি করেছে, তাতে ঘাটতি থাকতে পারে। কিন্তু মূল দায় তো বরং মন্ত্রণালয়ের ওপরই বর্তায়। কারণ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য নীতিনির্ধারণী স্তরের কর্মকর্তা নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাই প্রধান। হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ব্যর্থতার দায় মূলত এই কর্মকর্তাদের ওপরই বর্তায়। এরা জানে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ে মন্ত্রণালয়ের খবরদারির জোর বেশি। সুতরাং সেখানে বড় ধরনের ব্যর্থতার দায় সোনালী ব্যাংক ও মন্ত্রণালয় এড়িয়ে যেতে পারে না।
অন্যদিকে হলমার্ক কেলেঙ্কারি উদ্ঘাটনে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকই। দেরিতে হলেও তারা এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে—এই বাস্তবতা অস্বীকার করা যায় না।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ওপর নিয়ন্ত্রণ অক্ষুণ্ন রাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে আমলাতান্ত্রিক প্রভাব বিস্তারের যে বিধানটি প্রথম থেকে চলে আসছে, তা পরিবর্তনের জন্য এর আগেও দাবি উঠেছে। কিন্তু প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগটি ১৯৯৮ সালে বিলুপ্ত করে এর পরিবর্তে অনুবিভাগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে আবার বিভাগ প্রবর্তন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকিং খাতে দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যার ফাঁকফোকর দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগটি অবিলম্বে বিলুপ্ত করা দরকার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রধান দায়িত্ব মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও পরিচালনা। সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতি কমে এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি সুফল দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যাতে সার্বিক স্বাধীনতা নিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারে, অর্থ মন্ত্রণালয়কেই তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রভাব বিস্তারের প্রবণতা দেখা যায়। অনেকে দলীয় স্বার্থে ঋণ অনুমোদনের সুযোগ পায়। এতে আর্থিক খাতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ডেকে আনার প্রাথমিক শর্ত সৃষ্টি হয়। এটা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়। ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী পদে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও ব্যর্থতা রয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তা যুক্তিসংগত হতো যদি সোনালী ব্যাংকের ওপর পূর্ণনিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকত। সীমিত ক্ষমতা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যতটুকু নজরদারি করেছে, তাতে ঘাটতি থাকতে পারে। কিন্তু মূল দায় তো বরং মন্ত্রণালয়ের ওপরই বর্তায়। কারণ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য নীতিনির্ধারণী স্তরের কর্মকর্তা নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাই প্রধান। হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ব্যর্থতার দায় মূলত এই কর্মকর্তাদের ওপরই বর্তায়। এরা জানে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ে মন্ত্রণালয়ের খবরদারির জোর বেশি। সুতরাং সেখানে বড় ধরনের ব্যর্থতার দায় সোনালী ব্যাংক ও মন্ত্রণালয় এড়িয়ে যেতে পারে না।
অন্যদিকে হলমার্ক কেলেঙ্কারি উদ্ঘাটনে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকই। দেরিতে হলেও তারা এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে—এই বাস্তবতা অস্বীকার করা যায় না।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ওপর নিয়ন্ত্রণ অক্ষুণ্ন রাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে আমলাতান্ত্রিক প্রভাব বিস্তারের যে বিধানটি প্রথম থেকে চলে আসছে, তা পরিবর্তনের জন্য এর আগেও দাবি উঠেছে। কিন্তু প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগটি ১৯৯৮ সালে বিলুপ্ত করে এর পরিবর্তে অনুবিভাগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে আবার বিভাগ প্রবর্তন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকিং খাতে দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যার ফাঁকফোকর দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগটি অবিলম্বে বিলুপ্ত করা দরকার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রধান দায়িত্ব মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও পরিচালনা। সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতি কমে এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি সুফল দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যাতে সার্বিক স্বাধীনতা নিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারে, অর্থ মন্ত্রণালয়কেই তা নিশ্চিত করতে হবে।
No comments