সংশ্লিষ্ট আইনেই সীমাবদ্ধতা

সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতা, প্রার্থী হিসেবে তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যপদ বাতিল হওয়া-সংক্রান্ত 'গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২' এবং 'গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) আইন, ২০০৯' রয়েছে।


তবে এসব আইনে অনেক সীমাবদ্ধতা এবং কিছু ক্ষেত্রে স্ববিরোধিতা আছে বলে টিআইবি জানায়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন থাকলেও সেসব আইনি বিধি-বিধানে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন আর্থিক ও স্বার্থের দ্বন্দ্বসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক হলেও সংসদ সদস্য হিসেবে তা বাধ্যতামূলক নয়। সংসদে সদস্যদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে শাস্তির ব্যবস্থা থাকলেও তাদের জন্য প্রযোজ্য কোনো আচরণবিধি নেই। উপজেলা পরিষদে সংসদ সদস্যদের ক্ষমতা আইনগতভাবে নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দলের বিপক্ষে ভোট দিলে বা দলের পক্ষে ভোটদানে বিরত থাকলে সংসদের সদস্যপদ বাতিল হবে। অথচ জনগণের কাছে সংসদ সদস্যদের জবাবদিহি করার কোনো ব্যবস্থা নেই।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সংসদ অধিবেশনে সর্বোচ্চ ৮৯ কার্যদিবস পর্যন্ত অনুপস্থিতির বিষয়টি অনুমোদিত হলেও স্থায়ী কমিটিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ফলে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে বটে, তবে অভাব রয়েছে শাস্তির ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যতার। নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বিল, কর ও ঋণসংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনে প্রদান করা বাধ্যতামূলক যা নির্বাচন কমিশন জনগণের কাছে প্রকাশ করবে, কিন্তু কালো টাকা সাদা করেছেন কি না এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক নয়। নির্বাচনের পরে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক যা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করার কথা কিন্তু দাখিলকৃত হিসাব যাচাই-বাছাইয়ের বাধ্যবাধকতা ও ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া ফৌজদারি মামলাসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক হলেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তা জানানো বাধ্যতামূলক নয়।

No comments

Powered by Blogger.