জনসংখ্যা বৃদ্ধি কি কখনো থামবে?
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা এক হাজার কোটি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বর্তমানে নয়জনের মধ্যে ৬০ বা তদূর্ধ্ব রয়েছেন একজন।
কিন্তু ২০৫০ সাল নাগাদ এই হার কমে হবে পাঁচজনে একজন। ওই সময়ে ১৫ বছরের কম বয়সী মানুষের চেয়ে বয়স্ক লোকের সংখ্যা হবে বেশি।
জাতিসংঘ মনে করে, এই পরিসংখ্যানে ভালো-মন্দ দুটি দিকই রয়েছে। একদিকে দীর্ঘজীবী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে এই জনসংখ্যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করছে।
ইউএনএফপিএর প্রধান অ্যান পোলিস্কো বলেন, ‘২০৫০ সালে এই জনসংখ্যার ব্যাপারে আমরা একরকম নিশ্চিতই থাকতে পারি। কেননা, ওই সময়ে যেসব মানুষের বয়স হবে ৬০ বছর, তাঁরা এরই মধ্যে জন্ম নিয়েছে।’
অ্যান পোলিস্কো বলেন, ‘সাধারণত আমরা চারটি স্তরের কথা বলি। প্রথম স্তর হলো: উচ্চ জন্মহার ও উচ্চ মৃত্যুহার। দ্বিতীয় স্তর হলো: উচ্চ জন্মহার ও হ্রাসকৃত মৃত্যুহার। তৃতীয় স্তর হলো: হ্রাসকৃত জন্মহার ও তুলনামূলক নিম্ন মৃত্যুহার। আর এই স্তরকেই ধীরগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চতুর্থ স্তর হলো: নিম্ন জন্মহার ও নিম্ন মৃত্যুহার। এই পর্যায়ের পরিণতি হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া।’
অতএব দেখা যাচ্ছে, যেসব দেশ ধনী হচ্ছে, তাদের প্রজনন ক্ষমতার হার কমে যাচ্ছে। তা হলে ভবিষ্যতে কী ঘটবে? অনেক পরিসংখ্যানবিদের ধারণা, উন্নত দেশগুলোতে জনংখ্যা বৃদ্ধির হার কমই থাকবে। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য-প্রমাণাদি বলছে, তাঁদের এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে পারে।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেইন ফকিংহাম বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবেই ইউরোপে প্রজননক্ষমতা কমছে। কিন্তু আমরা অতি সম্প্রতি তাকালে দেখতে পাব, গত ১০ বছর অথবা তারও আগে থেকে বেশির ভাগ উন্নত দেশে প্রজননক্ষমতা বাড়ছে।’
বিশিষ্ট জনসংখ্যাতাত্ত্বিক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রান্সেসকো বিল্লারি বলেন, অনেকে ধারণা করেন, উন্নত বিশ্বে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে অভিবাসন। কিন্তু একমাত্র এই কারণেই যে এমনটি ঘটছে, তা নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয়দের মধ্যেও প্রজননক্ষমতা বাড়ছে।
ফ্রান্সেসকো বলেন, ‘আমরা জনসংখ্যাবিদেরা মনে করতাম, জনসংখ্যার হার নিয়ে পূর্বানুমান সহজ। কিন্তু বৈশ্বিক পর্যায়ে এখন আর সে অবস্থা নেই। এখন পরিবর্তিত অবস্থায় জনসংখ্যা নিয়ে অনুমান করা সবচেয়ে কঠিন কাজ।’ বিবিসি।
জাতিসংঘ মনে করে, এই পরিসংখ্যানে ভালো-মন্দ দুটি দিকই রয়েছে। একদিকে দীর্ঘজীবী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে এই জনসংখ্যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করছে।
ইউএনএফপিএর প্রধান অ্যান পোলিস্কো বলেন, ‘২০৫০ সালে এই জনসংখ্যার ব্যাপারে আমরা একরকম নিশ্চিতই থাকতে পারি। কেননা, ওই সময়ে যেসব মানুষের বয়স হবে ৬০ বছর, তাঁরা এরই মধ্যে জন্ম নিয়েছে।’
অ্যান পোলিস্কো বলেন, ‘সাধারণত আমরা চারটি স্তরের কথা বলি। প্রথম স্তর হলো: উচ্চ জন্মহার ও উচ্চ মৃত্যুহার। দ্বিতীয় স্তর হলো: উচ্চ জন্মহার ও হ্রাসকৃত মৃত্যুহার। তৃতীয় স্তর হলো: হ্রাসকৃত জন্মহার ও তুলনামূলক নিম্ন মৃত্যুহার। আর এই স্তরকেই ধীরগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চতুর্থ স্তর হলো: নিম্ন জন্মহার ও নিম্ন মৃত্যুহার। এই পর্যায়ের পরিণতি হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া।’
অতএব দেখা যাচ্ছে, যেসব দেশ ধনী হচ্ছে, তাদের প্রজনন ক্ষমতার হার কমে যাচ্ছে। তা হলে ভবিষ্যতে কী ঘটবে? অনেক পরিসংখ্যানবিদের ধারণা, উন্নত দেশগুলোতে জনংখ্যা বৃদ্ধির হার কমই থাকবে। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য-প্রমাণাদি বলছে, তাঁদের এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে পারে।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেইন ফকিংহাম বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবেই ইউরোপে প্রজননক্ষমতা কমছে। কিন্তু আমরা অতি সম্প্রতি তাকালে দেখতে পাব, গত ১০ বছর অথবা তারও আগে থেকে বেশির ভাগ উন্নত দেশে প্রজননক্ষমতা বাড়ছে।’
বিশিষ্ট জনসংখ্যাতাত্ত্বিক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রান্সেসকো বিল্লারি বলেন, অনেকে ধারণা করেন, উন্নত বিশ্বে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে অভিবাসন। কিন্তু একমাত্র এই কারণেই যে এমনটি ঘটছে, তা নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয়দের মধ্যেও প্রজননক্ষমতা বাড়ছে।
ফ্রান্সেসকো বলেন, ‘আমরা জনসংখ্যাবিদেরা মনে করতাম, জনসংখ্যার হার নিয়ে পূর্বানুমান সহজ। কিন্তু বৈশ্বিক পর্যায়ে এখন আর সে অবস্থা নেই। এখন পরিবর্তিত অবস্থায় জনসংখ্যা নিয়ে অনুমান করা সবচেয়ে কঠিন কাজ।’ বিবিসি।
No comments