মাওয়া ১ নম্বর ফেরিঘাট হঠাৎ পদ্মায় বিলীন, নিখোঁজ ৫

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ১ নম্বর ফেরিঘাট গতকাল রোববার সন্ধ্যায় (সাতটা) হঠাৎ পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এতে তীরের পাঁচটি দোকান মালামালসহ নদীতে পড়ে গেছে। এ সময় পন্টুনে ও তীরে থাকা শতাধিক লোকের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিটকে নদীতে পড়ে যান। এঁদের মধ্যে পাঁচজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।


অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস তলব করা হয়েছে। বর্তমানে সচল একমাত্র ৩ নম্বর ফেরিঘাটটিও রয়েছে হুমকির মুখে। এই ফেরিঘাট দিয়েই ১৩টি ফেরি চলাচল করছে ঝুঁকির মধ্যে। তাই মাওয়া-কাওরাকান্দি ফেরি চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম আশিকুজ্জামান জানান, নদীভাঙনের কারণে ৯ অক্টোবর প্রথমে মাওয়া ২ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন কিছু অংশ ভেঙে পড়ায় এবং ফাটল দেখা দেওয়ায় ১ নম্বর ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। জরুরি মেরামত করে আট ঘণ্টা পর আবার ওই দিন রাতেই ফেরি চলাচল শুরু হয়। কিন্তু পাঁচ দিনের মাথায় পুরো ১ নম্বর ঘাটই বিলীন হয়ে গেল। এই সময় যমুনা নামের একটি ফেরি ঘাটে লোড (যানবাহন ভরা অবস্থায়) অবস্থায় ছিল। সেটিকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ফেরিটি কাওরাকান্দির উদ্দেশে মাওয়া ত্যাগ করে। তবে কোনো যানবাহন পন্টুনে ওঠা অবস্থায় এই ধস ঘটলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত। ফেরির পন্টুনটি ভেসে গেছে। ২ নম্বর ফেরিঘাট ছয় দিন ধরে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে ৪ নম্বর ঘাট তৈরির কাজ চলছে।
এর আগে পাশের নবনির্মিত পার্কিং ইয়ার্ড ও লঞ্চঘাটের একাংশ বিলীন হয়ে যায়। মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত খন্দকার খালিদ জানান, নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন টং দোকানি বাইরন মিয়া (৪৫) ও আবুল কাসেম (৪০)।
জেলা প্রশাসক মো. আজিজুল আলম জানান, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল এবং ফায়ার সার্ভিসকে তলব করা হয়েছে। ফেরি চলাচল সচল রাখতে সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার ও ঘাট সচল রাখার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.