সিরিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে ভয়ংকর ক্লাস্টার বোমা
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রথমবারের মতো সিরিয়ার সৈন্যদের ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের তথ্য পেয়েছিল এ বছর জুলাই মাসে। তখন তা চিহ্নিত হয়েছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে এবং খুব নিশ্চিতও করা যায়নি। কিন্তু এখন সংস্থাটি বলছে, সিরিয়ায় সরকারি বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণের যেসব ভিডিও অনলাইনে ছাড়া হচ্ছে- তাতে এই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে।
গত ১৮ মাসে ক্লাস্টার বোমা ফেলার অভিযোগ ছিল মাত্র তিনটি, কিন্তু গত এক সপ্তাহে এরকম খবর পাওয়া গেছে প্রায় ২০টি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাতিসংঘ সংক্রান্ত পরিচালক ফিলিপ বোলোপিওন বলছেন, সিরিয়ার মানুষের জীবনের প্রতি সে দেশের শাসকগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তা এতেই বোঝা যায়।
ফিলিপ বোলোপিওন আরো বলছেন, “সিরিয়ার সরকার যে তার নিজের নাগরিক ও শিশুদের জীবনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অবজ্ঞাসূচক ধারণা পোষণ করে- তার আর কোনো প্রমাণ যদি আপনার দরকার থেকে থাকে তাহলে এখানেই তা পাওয়া যাবে। কারণ আমরা এখন জানতে পারছি যে, সরকার জনবহুল এলাকার ওপর ক্লাস্টার বোমার মতো অস্ত্র ব্যবহার করছে।”
ক্লাস্টার বোমার বিপদ
ক্লাস্টার বোমা প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। এগুলো হচ্ছে এমন ধরনের বোমা যা বিমান থেকে ফেলার পর মাঝ আকাশে ভেঙে বা খুলে যায় এবং সেখান থেকে শত শত ছোট ছোট বোমা বেরিয়ে মাটিতে পড়তে থাকে।
এগুলো যদি মাটিতে পড়ে না-ও ফাটে , তা হলেও তা বহু দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে এবং মৃত্যুর কারণ হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, সর্বশেষ যেসব ক্লাস্টার বোমা ফেলার খবর তারা পেয়েছে সেগুলো রাশিয়ায় তৈরি আরবিকে-টু-ফাইভ-জিরো ধরনের এবং তাতে একটি বোমার মধ্যে ৪০টির বেশি ছোট ছোট বোমা থাকে।
ফিলিপ বোলোপিওন বলছেন, “আমাদের গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন যে ভিডিওগুলোতে যে বোমা ফেলতে দেখা যাচ্ছে তা আরবিকে-টু-ফাইভ-জিরো, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের যুগে তৈরি। যেহেতু এগুলো পুরনো তাই মাটিতে পড়ার পরপরই না ফাটলেও কয়েক সপ্তাহ, মাস, এমনকি বছর পর্যন্ত পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে এবং বেসামরিক লোক এবং শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।”
আলেপ্পোর কাছাকাছি একটি শহরের অধিবাসীরা বলেছেন, তারা হেলিকপ্টার থেকে এমন বোমা ফেলতে দেখেছেন যা আকাশে দু টুকরো হয়ে যায় এবং ছোট ছোট অনেকগুলো বোমা একটি জলপাই ক্ষেতের ওপর ছড়িয়ে পড়ে।
তবে সাম্প্রতিক ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপে কোনো বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায় নি।
এ পর্যন্ত একশটি দেশ ক্লাস্টার বোমা উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু সিরিয়া তাতে স্বাক্ষর করেনি।সূত্র: বিবিসি বাংলা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাতিসংঘ সংক্রান্ত পরিচালক ফিলিপ বোলোপিওন বলছেন, সিরিয়ার মানুষের জীবনের প্রতি সে দেশের শাসকগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তা এতেই বোঝা যায়।
ক্লাস্টার বোমার বিপদ
ক্লাস্টার বোমা প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। এগুলো হচ্ছে এমন ধরনের বোমা যা বিমান থেকে ফেলার পর মাঝ আকাশে ভেঙে বা খুলে যায় এবং সেখান থেকে শত শত ছোট ছোট বোমা বেরিয়ে মাটিতে পড়তে থাকে।
এগুলো যদি মাটিতে পড়ে না-ও ফাটে , তা হলেও তা বহু দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে এবং মৃত্যুর কারণ হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, সর্বশেষ যেসব ক্লাস্টার বোমা ফেলার খবর তারা পেয়েছে সেগুলো রাশিয়ায় তৈরি আরবিকে-টু-ফাইভ-জিরো ধরনের এবং তাতে একটি বোমার মধ্যে ৪০টির বেশি ছোট ছোট বোমা থাকে।
ফিলিপ বোলোপিওন বলছেন, “আমাদের গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন যে ভিডিওগুলোতে যে বোমা ফেলতে দেখা যাচ্ছে তা আরবিকে-টু-ফাইভ-জিরো, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের যুগে তৈরি। যেহেতু এগুলো পুরনো তাই মাটিতে পড়ার পরপরই না ফাটলেও কয়েক সপ্তাহ, মাস, এমনকি বছর পর্যন্ত পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে এবং বেসামরিক লোক এবং শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।”
আলেপ্পোর কাছাকাছি একটি শহরের অধিবাসীরা বলেছেন, তারা হেলিকপ্টার থেকে এমন বোমা ফেলতে দেখেছেন যা আকাশে দু টুকরো হয়ে যায় এবং ছোট ছোট অনেকগুলো বোমা একটি জলপাই ক্ষেতের ওপর ছড়িয়ে পড়ে।
তবে সাম্প্রতিক ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপে কোনো বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায় নি।
এ পর্যন্ত একশটি দেশ ক্লাস্টার বোমা উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু সিরিয়া তাতে স্বাক্ষর করেনি।সূত্র: বিবিসি বাংলা।
No comments