যেভাবে প্রকাশিত হলো ম্যান্ডেলার সেই বই
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার আত্মজীবনীমূলক বই দ্য লং ওয়াক টু ফ্রিডম আন্তর্জাতিকভাবে সর্বাধিক বিক্রি হওয়া অন্যতম বই। বর্তমানে বইটি অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে। তবে তিনজন ব্যক্তির সাহসী ভূমিকা না থাকলে এ বইটি হয়তো কখনো আলোর মুখই দেখত না।
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার দায়ে এ তিন ব্যক্তি রোবেন আইল্যান্ডে ম্যান্ডেলার সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে কারাভোগ করেন। তাঁরা হলেন: ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্রনাথ রঘুনানান ওরফে ‘ম্যাক’ মহারাজ এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের দুই বিশিষ্ট বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকর্মী আহমেদ কাদরাদা ও ওয়াল্টার সিসুলু। আলোচিত ‘রিভোনিয়া বিচারের’ পর বর্ণবাদী সরকার তাঁদের কারাগারে নিক্ষেপ করে।
‘ম্যাক’ মহারাজ ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। তিনি ম্যান্ডেলার আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
বইটির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ‘ম্যাক’ মহারাজ সম্প্রতি বলেন, ‘আলাদা কারাকক্ষে রাখা হয়েছিল আমাদের। প্রতিটি কক্ষে করিডরমুখী জানালা ছিল। রক্ষীরা দিনরাত আমাদের পাহারা দিত। ২৪ ঘণ্টাই আলো জ্বলত।’ তিনি বলেন, ‘প্রতি রাতেই লিখতেন ম্যান্ডেলা। লেখার জন্য যৎকিঞ্চিৎ যে সুযোগ, তা কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ পৃষ্ঠা করে লিখতেন তিনি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে ও স্মৃতি হাতড়ে লেখার কাজ চালাতেন তিনি।’
৭৬ বছর বয়সী ম্যাক মহারাজ আরও বলেন, ‘লেখা শেষ হলে পরদিন এসব কাগজ কাদরাদা ও সিসুলুর কাছে যেত। তাঁরা লেখা পড়ে মতামত দিতেন। পরে আমি অনুলিপির কাজ করতাম। রাতে আবার ১০-১৫ পৃষ্ঠা লিখে ফেলতেন ম্যান্ডেলা।’
ম্যান্ডেলার সহযোগীরা মাঝেমধ্যে অসুস্থ হওয়ার ভান করে পড়ে থাকতেন। তখন তাঁদের শুয়ে থাকার সুযোগ হতো। এতে তাঁরা রক্ষীদের নজর এড়িয়ে ম্যান্ডেলার লেখার কাজে সহযোগিতা করতে পারতেন।
লেখার জন্য রুলটানা এ-ফোর আকারের কাগজ ব্যবহার করতেন ম্যান্ডেলা। কারাগারের চৌহদ্দির ভেতর একটি মনিহারি দোকানে পাওয়া যেত এই কাগজ। অনেক কারাবন্দী পড়াশোনা করতেন। তাঁদের জন্য প্রয়োজন হতো এসবের।
লেখার কাজ শেষ হলে মূল পাণ্ডুলিপি একটি টিনের পাত্রে ভরে সবজিবাগানে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। এদিকে মহারাজ অনুলিপির ৬০ পৃষ্ঠা একটি হাতে তৈরি ফাইলে লুকিয়ে ফেলেন। পরিসংখ্যানবিষয়ক নকশা বহন করা হতো ওই ফাইলে। কিছু পৃষ্ঠা ভরা হয় আপাত নির্দোষ বইয়ের ভেতরে। অনেক বাঁধাবিঘ্ন পেরিয়ে ১৯৭৬ সালে এই সহযোগীরা গোপনে কারাগারের বাইরে পাঠাতে সক্ষম হন ম্যান্ডেলার পাণ্ডুলিপি। একদিন এটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার দায়ে এ তিন ব্যক্তি রোবেন আইল্যান্ডে ম্যান্ডেলার সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে কারাভোগ করেন। তাঁরা হলেন: ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্রনাথ রঘুনানান ওরফে ‘ম্যাক’ মহারাজ এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের দুই বিশিষ্ট বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকর্মী আহমেদ কাদরাদা ও ওয়াল্টার সিসুলু। আলোচিত ‘রিভোনিয়া বিচারের’ পর বর্ণবাদী সরকার তাঁদের কারাগারে নিক্ষেপ করে।
‘ম্যাক’ মহারাজ ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। তিনি ম্যান্ডেলার আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
বইটির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ‘ম্যাক’ মহারাজ সম্প্রতি বলেন, ‘আলাদা কারাকক্ষে রাখা হয়েছিল আমাদের। প্রতিটি কক্ষে করিডরমুখী জানালা ছিল। রক্ষীরা দিনরাত আমাদের পাহারা দিত। ২৪ ঘণ্টাই আলো জ্বলত।’ তিনি বলেন, ‘প্রতি রাতেই লিখতেন ম্যান্ডেলা। লেখার জন্য যৎকিঞ্চিৎ যে সুযোগ, তা কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ পৃষ্ঠা করে লিখতেন তিনি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে ও স্মৃতি হাতড়ে লেখার কাজ চালাতেন তিনি।’
৭৬ বছর বয়সী ম্যাক মহারাজ আরও বলেন, ‘লেখা শেষ হলে পরদিন এসব কাগজ কাদরাদা ও সিসুলুর কাছে যেত। তাঁরা লেখা পড়ে মতামত দিতেন। পরে আমি অনুলিপির কাজ করতাম। রাতে আবার ১০-১৫ পৃষ্ঠা লিখে ফেলতেন ম্যান্ডেলা।’
ম্যান্ডেলার সহযোগীরা মাঝেমধ্যে অসুস্থ হওয়ার ভান করে পড়ে থাকতেন। তখন তাঁদের শুয়ে থাকার সুযোগ হতো। এতে তাঁরা রক্ষীদের নজর এড়িয়ে ম্যান্ডেলার লেখার কাজে সহযোগিতা করতে পারতেন।
লেখার জন্য রুলটানা এ-ফোর আকারের কাগজ ব্যবহার করতেন ম্যান্ডেলা। কারাগারের চৌহদ্দির ভেতর একটি মনিহারি দোকানে পাওয়া যেত এই কাগজ। অনেক কারাবন্দী পড়াশোনা করতেন। তাঁদের জন্য প্রয়োজন হতো এসবের।
লেখার কাজ শেষ হলে মূল পাণ্ডুলিপি একটি টিনের পাত্রে ভরে সবজিবাগানে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। এদিকে মহারাজ অনুলিপির ৬০ পৃষ্ঠা একটি হাতে তৈরি ফাইলে লুকিয়ে ফেলেন। পরিসংখ্যানবিষয়ক নকশা বহন করা হতো ওই ফাইলে। কিছু পৃষ্ঠা ভরা হয় আপাত নির্দোষ বইয়ের ভেতরে। অনেক বাঁধাবিঘ্ন পেরিয়ে ১৯৭৬ সালে এই সহযোগীরা গোপনে কারাগারের বাইরে পাঠাতে সক্ষম হন ম্যান্ডেলার পাণ্ডুলিপি। একদিন এটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
No comments