স্বাস্থ্যের ক্ষতি ভূমিকম্পেই বেশি
প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ মুহূর্তেই সব কিছু এলোমেলো করে দেয়। প্রতিবছর কোনো না কোনো প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলায় অসংখ্য প্রাণহানি ঘটছে। বেঁচে থাকা মানুষদের যাপন করতে হচ্ছে দুর্বিষহ জীবন।সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যগত দিক থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন_বন্যা, হ্যারিকেন, ভূমিকম্প, সুনামি, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদির মধ্যে ভূমিকম্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানান, ভূমিকম্পের ফলে সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গেছে। কেউ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, কেউ ভয়াবহ জখম নিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছে।
কারণ ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা এতটায় ভয়াবহ যে ভুক্তভোগী মানুষজন আর তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে না। এদের মধ্যে শিশুরা রয়েছে সবচেয়ে করুণ অবস্থায়। গবেষকরা জানান, গত দশকে দেখা গেছে ভূমিকম্পের কারণে সাত লাখ ৮০ হাজার জন মারা গেছে, যা সব প্রাকৃতিক দুর্যোগে মোট মৃতের ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পড়ে প্রায় ৭২ শতাংশ মানুষ বিষাদগ্রস্ত হয়।
গবেষকরা এক পরিসংখ্যানে দেখেছেন, ১৯৯৯ সালে তুরস্ক ভূমিকম্পে ওই দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১৭ শতাংশ মানুষ আত্মঘাতী হওয়ার চিন্তা করেছিল। আর এদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্কদের চেয়ে বড় ধরনের ঝুঁকিতে ছিল শিশুরায় বেশি। আবার ২০১০ সালে হাইতি ভূমিকম্পের পর ৫৩ শতাংশ ভুক্তভোগীর মধ্যে ২০ বছরের তরুণের চেয়ে পাঁচ বছরের নিচে শিশুরা ছিল ২৫ শতাংশ।
গবেষণা দলের প্রধান ও বোস্টনের মানবাধিকার কর্মী ড. সুসান বারটেল জানান, ভূমিকম্পের প্রভাবে বিশেষ করে নগর এলাকার দুর্বল ভবনগুলোয় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
গবেষকরা এক পরিসংখ্যানে দেখেছেন, ১৯৯৯ সালে তুরস্ক ভূমিকম্পে ওই দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১৭ শতাংশ মানুষ আত্মঘাতী হওয়ার চিন্তা করেছিল। আর এদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্কদের চেয়ে বড় ধরনের ঝুঁকিতে ছিল শিশুরায় বেশি। আবার ২০১০ সালে হাইতি ভূমিকম্পের পর ৫৩ শতাংশ ভুক্তভোগীর মধ্যে ২০ বছরের তরুণের চেয়ে পাঁচ বছরের নিচে শিশুরা ছিল ২৫ শতাংশ।
গবেষণা দলের প্রধান ও বোস্টনের মানবাধিকার কর্মী ড. সুসান বারটেল জানান, ভূমিকম্পের প্রভাবে বিশেষ করে নগর এলাকার দুর্বল ভবনগুলোয় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
No comments