দুই পক্ষ নিয়ে গ্রহণযোগ্য কমিটিই ইতিবাচক হবে

প্রশ্ন : হকির বর্তমান এ অবস্থার জন্য কাকে দায়ী করবেন?শামসুল বারী : আমাদের প্রশাসনিক ব্যর্থতা আছে। খেলোয়াড়দেরও উচিত হয়নি মাঠে ঢুকে এভাবে খেলা বন্ধ করে দেওয়া। মন্ত্রী নতুন একটা কমিটি করে দেবেন বলছেন। কিন্তু বিষয়টা আমার কাছে ধোঁয়াশাই মনে হচ্ছে। সব পক্ষের সঙ্গে বসে সমঝোতার একটা কমিটি যদি করে দিতেন, সেটাই বেশি ভালো হতো।


প্রশ্ন : আর পক্ষ কোথায় পাচ্ছেন, খেলোয়াড়দের আন্দোলনের মুখেই তো কমিটির সদস্যদের পদত্যাগ করতে বলেছেন মন্ত্রী।
বারী : খেলোয়াড়রা আন্দোলন করেছে ঠিক আছে। কিন্তু তাদের পেছনেও একটা পক্ষের সমর্থন তো আছেই। মনে করেন, যারা এখন কমিটির বাইরে আছে তারাই। তো এই পক্ষ ওই পক্ষ দুই পক্ষের লোকজনকে নিয়ে বসেই একটা সমঝোতায় যাওয়া যেত।
প্রশ্ন : তাহলেই কি মাঠে নিয়মিত খেলা হবে?
বারী : এক দিনে তো আর সব বদলে যাবে না। তবে তা হকির জন্য ইতিবাচক হবে। যেটা এত দিন ছিল না, অনেক ক্লাব অসযোগিতা করেছে।
প্রশ্ন : আপনি তো এই কমিটির সদস্য হিসেবেও ছিলেন, ক্লাবগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার পথে বাধা কী ছিল?
বারী : ফেডারেশনের প্রশাসনিক দুর্বলতা ছিল, অস্বীকার করব না। সেই সুযোগটাই তারা নিয়েছে। হকির স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থটাই এখানে বড় হয়ে গেছে। তা ছাড়া ক্রিকেট বা ফুটবলে যেমন ক্লাবগুলোকে বিভিন্ন সময়েই আর্থিকভাবে সহায়তা করে ফেডারেশন, হকি সেটা পারে না বলেই ক্লাবগুলোর ওপর তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই আমাদের।
প্রশ্ন : ক্লাব-ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের এই দ্বন্দ্বে খেলোয়াড়দের কী করণীয়?
বারী : শুনেছি খেলোয়াড়রা বলেছে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। তার পরও আমি বলব, অনূর্ধ্ব-১৮'র একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল বন্ধ করে দেওয়াটা ভালো দৃষ্টান্ত হয়নি। তারা ম্যাচ শেষে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বা কোনো একসময় সভাপতির কাছেও তাদের দাবি-দাওয়া জানাতে পারত।
প্রশ্ন : মাঠে খেলা নেই, এটা তো নতুন কোনো খবর নয়, কিন্তু ফেডারেশনের তো এ নিয়ে কোনো হেলদোল ছিল না।
বারী : ঠিক আছে, ফেডারেশন সব কিছু ঠিকঠাক করতে পারেনি। কিন্তু এটা অবশ্যই উচিত হয়নি তাদের, মাঠে ঢুকে খেলা বন্ধ করে দেওয়া।

No comments

Powered by Blogger.