যুক্তরাষ্ট্র 'বোধ-বুদ্ধি' হারিয়েছে : ইরান
পরমাণু অস্ত্রের দোহাই দিয়ে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ইরান। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বেগে ভোগায় যুক্তরাষ্ট্র তার 'বোধ-বুদ্ধি' হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে তারা। ইরানে হামলার ব্যাপারে অন্যান্য দেশের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে ইসরায়েল ও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ_এমন সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আবদুল্লাহ সালেহি গত বৃহস্পতিবার এসব মন্তব্য করেন।ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান গত বুধবার জানায়, তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় ইরানে সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা শুরু করেছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই ইরানে হামলার ব্যাপারে ব্রিটেনের সাহায্য চাইতে পারে বলেও ধারণা করছে তারা। হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্যের ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রিটেন।
এর আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানে হামলার ব্যাপারে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।
তবে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে আছে। এর চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যই নতুন সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার লিবিয়া সফরকালে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আবদুল্লাহ সালেহি বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা খুইয়েছে। অবশ্য আমরাও চরম খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছি। কিন্তু আমরা আশা করব, ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর আগে তারা বিষয়টি নিয়ে দুইবার চিন্তা করবে।' তুর্কি একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালেহি বলেন, 'আট বছর ধরে আমরা ইসরায়েলের হুমকি-ধমকি শুনে আসছি। এসব আমাদের কাছে নতুন না। ইরান ঐক্যবদ্ধ দেশ। আমরা নিজের দেশকে রক্ষা করতে পারব। যুদ্ধের জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।'
ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে সম্প্রতি ইরানকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি ইরান-মার্কিন বৈরী সম্পর্ককে আরো তিক্ত করে তোলে। যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রতি জানায়, ইরান তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে গম শহরের একটি সুরক্ষিত সামরিক ঘাঁটিতে পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপযোগী ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা এ সপ্তাহেই ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
তবে ইরানে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে ন্যাটো। ইরানের পরমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থাটি। ন্যাটো মহাসচিব অ্যান্ডারস ফগ রাসমুসেন বলেন, 'ইরানে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই ন্যাটোর। ইরান ইস্যুতে কোনো জোটের সঙ্গেও যুক্ত নই আমরা।' সূত্র : গার্ডিয়ান।
তবে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে আছে। এর চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যই নতুন সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার লিবিয়া সফরকালে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আবদুল্লাহ সালেহি বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা খুইয়েছে। অবশ্য আমরাও চরম খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছি। কিন্তু আমরা আশা করব, ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর আগে তারা বিষয়টি নিয়ে দুইবার চিন্তা করবে।' তুর্কি একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালেহি বলেন, 'আট বছর ধরে আমরা ইসরায়েলের হুমকি-ধমকি শুনে আসছি। এসব আমাদের কাছে নতুন না। ইরান ঐক্যবদ্ধ দেশ। আমরা নিজের দেশকে রক্ষা করতে পারব। যুদ্ধের জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।'
ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে সম্প্রতি ইরানকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি ইরান-মার্কিন বৈরী সম্পর্ককে আরো তিক্ত করে তোলে। যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রতি জানায়, ইরান তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে গম শহরের একটি সুরক্ষিত সামরিক ঘাঁটিতে পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপযোগী ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা এ সপ্তাহেই ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
তবে ইরানে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে ন্যাটো। ইরানের পরমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন সংস্থাটি। ন্যাটো মহাসচিব অ্যান্ডারস ফগ রাসমুসেন বলেন, 'ইরানে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই ন্যাটোর। ইরান ইস্যুতে কোনো জোটের সঙ্গেও যুক্ত নই আমরা।' সূত্র : গার্ডিয়ান।
No comments