নেপালে ‘যুগান্তকারী’ শান্তিচুক্তির বিষয়ে নেতাদের সমঝোতা
নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা যুগান্তকারী শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে গত মঙ্গলবার রাতে মতৈক্যে পৌঁছেছেন। প্রায় ১৯ হাজার সাবেক মাওবাদী যোদ্ধার এক-তৃতীয়াংশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে তাঁদের।
গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এসব যোদ্ধার ভবিষ্যৎ নিয়ে পাঁচ বছর ধরে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে বিতর্ক চলছিল। মঙ্গলবার রাতে এর অবসান ঘটেছে। যুদ্ধ শেষে মাওবাদী এসব যোদ্ধা বিভিন্ন শিবিরে অবস্থান নিয়েছিল।
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দরিদ্র দেশ নেপালে টানা ১০ বছর গৃহযুদ্ধ চলার পর ২০০৬ সালে এর অবসান ঘটে। গৃহযুদ্ধে ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০০৮ সালে দেশটিতে রাজতন্ত্রের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘটে।
নেপালের বর্তমান সাংবিধানিক পার্লামেন্টে মাওয়িস্ট পার্টি সবচেয়ে বড় দল হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের নেই। অন্য দলগুলোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তিন বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল তারা। অবশেষে তাদের এ চেষ্টা সফল হতে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কাঠমান্ডুভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত ঝা বলেন, এটি হবে সত্যিকারের ঐতিহাসিক চুক্তি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাইয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রায় ১৯ হাজার মাওবাদী যোদ্ধার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হবে। বাকি যোদ্ধাদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
যে চারটি রাজনৈতিক বড় দলের মধ্যে শান্তিচুক্তির বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে, সেগুলো হলো: মাওয়িস্ট পার্টি, দ্য নেপালি কংগ্রেস, দ্য কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট) ও দ্য মহাদেশি পিপলস রাইটস ফোরাম।
ওই চুক্তিবিষয়ক এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধ চলাকালে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। যেসব যোদ্ধা সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে না, তাদের পাঁচ থেকে আট লাখ নেপালি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
চার দলের নেতাদের মধ্যে আরও সমঝোতা হয়, এক মাসের মধ্যে একটি শান্তি ও সমন্বয় কমিশন গঠন করা হবে। এ কমিশনের কাছে অস্ত্র জমা দেবে মাওবাদী যোদ্ধারা। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংবিধান রচনা সম্পন্ন করার ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে।
গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এসব যোদ্ধার ভবিষ্যৎ নিয়ে পাঁচ বছর ধরে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে বিতর্ক চলছিল। মঙ্গলবার রাতে এর অবসান ঘটেছে। যুদ্ধ শেষে মাওবাদী এসব যোদ্ধা বিভিন্ন শিবিরে অবস্থান নিয়েছিল।
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দরিদ্র দেশ নেপালে টানা ১০ বছর গৃহযুদ্ধ চলার পর ২০০৬ সালে এর অবসান ঘটে। গৃহযুদ্ধে ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০০৮ সালে দেশটিতে রাজতন্ত্রের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘটে।
নেপালের বর্তমান সাংবিধানিক পার্লামেন্টে মাওয়িস্ট পার্টি সবচেয়ে বড় দল হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের নেই। অন্য দলগুলোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তিন বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল তারা। অবশেষে তাদের এ চেষ্টা সফল হতে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কাঠমান্ডুভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত ঝা বলেন, এটি হবে সত্যিকারের ঐতিহাসিক চুক্তি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাইয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রায় ১৯ হাজার মাওবাদী যোদ্ধার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হবে। বাকি যোদ্ধাদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
যে চারটি রাজনৈতিক বড় দলের মধ্যে শান্তিচুক্তির বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে, সেগুলো হলো: মাওয়িস্ট পার্টি, দ্য নেপালি কংগ্রেস, দ্য কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট) ও দ্য মহাদেশি পিপলস রাইটস ফোরাম।
ওই চুক্তিবিষয়ক এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধ চলাকালে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। যেসব যোদ্ধা সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে না, তাদের পাঁচ থেকে আট লাখ নেপালি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
চার দলের নেতাদের মধ্যে আরও সমঝোতা হয়, এক মাসের মধ্যে একটি শান্তি ও সমন্বয় কমিশন গঠন করা হবে। এ কমিশনের কাছে অস্ত্র জমা দেবে মাওবাদী যোদ্ধারা। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংবিধান রচনা সম্পন্ন করার ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে।
No comments