নরসিংদীর তদন্তকারীদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি : শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করবেন না : ওবায়দুল কাদের

রসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের নামে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। সরকারের সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অপরাধী যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে অভিযুক্ত হতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্যকে উত্ঘাটন করে অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘অপসংস্কৃতি রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।


ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারেপ্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানসরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী এবং এ হত্যাকাণ্ডে সরকারের অবস্থানও কঠোর। প্রকৃত হত্যাকারীকেই আইনের হাতে তুলে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে ৩-৪ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রবেশ করে পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সদর মডেল থানায় নিহতের ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু এবং মন্ত্রীর এপিএসসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো সম্প্রচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাদের বলেন, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো এখন আমেরিকা, লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রচারিত হলেও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত সম্প্রচার করছে না—যা বন্ধুত্বসুলভ আচরণ নয়। কারণ বন্ধুত্ব একতরফা হয় না। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের মধ্যে অবিশ্বাসের দেয়াল থাকা উচিত নয়। এ দেয়াল ভারত সরকারকেই ভাঙতে হবে। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাসের ভিত আরও মজবুত হবে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বেহাল দশার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র এখনও রয়ে গেছে এনালগ প্রক্রিয়াতেই। বাংলাদেশ টেলিভিশনেরও একই অবস্থা। এটা পাবলিক মিডিয়া না হয়ে সরকারের মিডিয়া হয়ে আছে।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিটিভি এখন নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করে উপস্থাপন করছে। কিন্তু সরকার বদলালে এ বিটিভিই জাতির জনককে উপস্থাপন করে নিন্দিতভাবে, এমনকি নিষিদ্ধও করে থাকে। এটা কেন হবে? এই অপরাজনীতিই বন্ধ করতে হবে। তা করতে পারলেই অপসংস্কৃতি দূর হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমাজসংঘ ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সাংস্কৃতিক পরিষদের যৌথ আয়োজনের এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল আলম।

No comments

Powered by Blogger.