আফগানিস্তান থেকে ইরান পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের চিন্তা ভারতের
আফগানিস্তানের খনিজ সমৃদ্ধ হাজিগাক এলাকা থেকে ইরানের শাবাহার বন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে ভারত। বাণিজ্যের ব্যাপারে ইসলামাবাদের ওপর কাবুলের নির্ভরতা কমাতে ভারত এ পরিকল্পনা নিয়েছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গত বুধবার ভারত এ পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করে। বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এটা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রেলপথ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানায়, রেললাইন স্থাপন নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানায়, রেললাইন স্থাপন নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে আলোচনা চলছে।
তবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে আফগানিস্তানে লৌহ আকরিকের বড় খনির সন্ধান মেলায় ভারত বিষয়টিতে জোর দিচ্ছে। আফগানিস্তানে খনিজ পদার্থ উত্তোলনের কাজ পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিযোগিতারত ২২টি কম্পানির মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভারতের। ভারত প্রথমে কেবল ইরানের রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের রেল সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল। তবে এখন তা বাড়ানোর পরিকল্পনা হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাবুলের উত্তর-পশ্চিমে বামিয়ান প্রদেশের কেন্দ্রস্থল হাজিগাক থেকে ইরানের বাম ও ফারাজ শহর হয়ে দক্ষিণে ওমান উপসাগরের তীরবর্তী শাবাহার বন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র, রেল, নৌ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে আগামী মাসে আফগানিস্তানে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আফগানিস্তান থেকে মালবাহী জাহাজ সরাসরি গুজরাটের সুরাট, মুম্বাই বা পশ্চিমাঞ্চলীয় অন্য যেকোনো বন্দরে পেঁৗছতে পারবে। এখনো পাকিস্তানের ওয়াগাহ (লাহোর ও ভারতের অমৃতসরের মধ্যে অবস্থিত) সীমান্ত দিয়েই কেবল আফগান পণ্য ভারতে যেতে পারে। আর ভারত থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে পণ্য রপ্তানি নেই বললেই চলে।
আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে নতুন একটি 'সিল্ক রোড' স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে রাজনৈতিক সম্পর্ক ও রাজনীতিনির্ভর সীমিত বাণিজ্যিক সম্পর্কেও উন্নতি হবে বলে ধারণা তাদের। তবে নতুন পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র বাধা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ভারত। কারণ প্রস্তাবিত রেলপথটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার ইরানের সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
ভারতের পররাষ্ট্র, রেল, নৌ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে আগামী মাসে আফগানিস্তানে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আফগানিস্তান থেকে মালবাহী জাহাজ সরাসরি গুজরাটের সুরাট, মুম্বাই বা পশ্চিমাঞ্চলীয় অন্য যেকোনো বন্দরে পেঁৗছতে পারবে। এখনো পাকিস্তানের ওয়াগাহ (লাহোর ও ভারতের অমৃতসরের মধ্যে অবস্থিত) সীমান্ত দিয়েই কেবল আফগান পণ্য ভারতে যেতে পারে। আর ভারত থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে পণ্য রপ্তানি নেই বললেই চলে।
আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে নতুন একটি 'সিল্ক রোড' স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে রাজনৈতিক সম্পর্ক ও রাজনীতিনির্ভর সীমিত বাণিজ্যিক সম্পর্কেও উন্নতি হবে বলে ধারণা তাদের। তবে নতুন পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র বাধা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ভারত। কারণ প্রস্তাবিত রেলপথটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার ইরানের সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments