ফিলিস্তিনকে চাপ দিতে আরও বাড়ি নির্মাণ করবে ইসরায়েল
ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপন আরও জোরদার করা হবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই অন্তত দুই হাজার ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হবে। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্ত নেয়।
ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো) পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা করলে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর ধারাবাহিকতায়ই মঙ্গলবার দেশটি ইহুদি বসতি স্থাপন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ঘোষণা দেয়।
এর মাত্র এক দিন আগে গত সোমবার ইউনেসকোর পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে ফিলিস্তিন। ওই দিনই জাতিসংঘ সংস্থাটিকে প্রদেয় ছয় কোটি ডলারের চাঁদা দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে ওয়াশিংটন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগাল পালমর বিবিসিকে বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ কিংবা অন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির একতরফা চেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় এটি করা হচ্ছে। এসবে সময় নষ্ট না করে ফিলিস্তিনের বরং উচিত হবে সমঝোতা আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।
ফিলিস্তিনের অধিকৃত এলাকায় অন্তত পাঁচ লাখ ইহুদি বসবাস করে।
ইসরায়েল সাময়িকভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে তহবিল হস্তান্তর বন্ধ রাখবে বলেও ঘোষণা করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঙ্গলবারই ইসরায়েল সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনের পক্ষে যে অর্থ সংগ্রহ করে সরকার তা সাময়িকভাবে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অর্থের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি বন্দর হয়ে ফিলিস্তিনে আমদানি করা পণ্যের শুল্ক।
ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনকে সংকেত পাঠাতে চায় যে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ মাসের ভোটাভুটিতে অংশ নিলে আরও ভয়াবহ পরিণতি হবে ফিলিস্তিনের।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা বলেন, দ্রুত বসতি নির্মাণের এই সিদ্ধান্ত শান্তি-প্রক্রিয়াকেও দ্রুত ধ্বংস করবে। তহবিল বন্ধের ইসরায়েলি ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তিনি মন্তব্য করেন, এটি ফিলিস্তিনিদের অর্থ চুরির শামিল।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলে আসছেন, শান্তি আলোচনা চালিয়ে যেতে হলে ইসরায়েলকে আগে বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। কিন্তু দেশটি এতে রাজি না হওয়ায় প্রায় এক বছর আগে শান্তি-প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ান আব্বাস। পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন তিনি। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় ওই অঞ্চলগুলো দখল করে নেয় ইসরায়েল। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের বলে দাবি করে ইসরায়েল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল তা স্বীকৃতি দেয়নি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেন মাহমুদ আব্বাস। এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে এ মাসেই ভোটাভুটি হবে।
ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো) পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা করলে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর ধারাবাহিকতায়ই মঙ্গলবার দেশটি ইহুদি বসতি স্থাপন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ঘোষণা দেয়।
এর মাত্র এক দিন আগে গত সোমবার ইউনেসকোর পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে ফিলিস্তিন। ওই দিনই জাতিসংঘ সংস্থাটিকে প্রদেয় ছয় কোটি ডলারের চাঁদা দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে ওয়াশিংটন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগাল পালমর বিবিসিকে বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ কিংবা অন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির একতরফা চেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় এটি করা হচ্ছে। এসবে সময় নষ্ট না করে ফিলিস্তিনের বরং উচিত হবে সমঝোতা আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।
ফিলিস্তিনের অধিকৃত এলাকায় অন্তত পাঁচ লাখ ইহুদি বসবাস করে।
ইসরায়েল সাময়িকভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে তহবিল হস্তান্তর বন্ধ রাখবে বলেও ঘোষণা করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঙ্গলবারই ইসরায়েল সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনের পক্ষে যে অর্থ সংগ্রহ করে সরকার তা সাময়িকভাবে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অর্থের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি বন্দর হয়ে ফিলিস্তিনে আমদানি করা পণ্যের শুল্ক।
ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনকে সংকেত পাঠাতে চায় যে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ মাসের ভোটাভুটিতে অংশ নিলে আরও ভয়াবহ পরিণতি হবে ফিলিস্তিনের।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা বলেন, দ্রুত বসতি নির্মাণের এই সিদ্ধান্ত শান্তি-প্রক্রিয়াকেও দ্রুত ধ্বংস করবে। তহবিল বন্ধের ইসরায়েলি ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তিনি মন্তব্য করেন, এটি ফিলিস্তিনিদের অর্থ চুরির শামিল।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলে আসছেন, শান্তি আলোচনা চালিয়ে যেতে হলে ইসরায়েলকে আগে বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। কিন্তু দেশটি এতে রাজি না হওয়ায় প্রায় এক বছর আগে শান্তি-প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ান আব্বাস। পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন তিনি। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় ওই অঞ্চলগুলো দখল করে নেয় ইসরায়েল। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের বলে দাবি করে ইসরায়েল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল তা স্বীকৃতি দেয়নি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেন মাহমুদ আব্বাস। এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে এ মাসেই ভোটাভুটি হবে।
No comments