রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা
ইস্যুতে ঢাকার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার
প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। শনিবার অস্ট্রেলিয়া সফররত প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
টার্নবুলের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার
প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার
তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে
ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
আশ্বস্ত করেন। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয় দেয়া
সম্পর্কে ঢাকার গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়টি টার্নবুলকে অবহিত করেন এবং
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত এসব রোহিঙ্গার জন্য তার সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার
কথা ব্যক্ত করেন। ইহসানুল করিম আরো জানান, বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয়
বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা
বৃদ্ধি করার যথোপযুক্ত উপায় খুঁজে বের করতে উভয়ে সম্মত হন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি (ডব্লিউএসইউ)
পরিদর্শনকালে পরমাত্তা সাউথ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
অস্ট্রেলিয়ার সেরা জ্ঞান আহরণের সুযোগ গ্রহণের জন্য সেদেশে অধ্যয়নরত
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশি
শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া একটি প্রিয় গন্তব্যস্থল।
প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। তিনি
বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের মাধ্যমে উন্নয়নের পরবর্তী
পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, আমাদের আরও বেশি মানবিক ক্ষমতা দরকার।
অস্ট্রেলিয়া এক্ষেত্রে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দান এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে অবদান রাখতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সভাপতি প্রফেসর বার্নি গ্লোভার, শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ডব্লিউএসইউ বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের বিচার ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য প্রশিক্ষণদান কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করছে। বাংলাদেশ উদ্ভাবনী অর্থায়ন, উন্নততর প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত, আন্তঃখাত অংশীদারি জোরদার এবং অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণমুখী নীল অর্থনীতির উন্নয়নের সামর্থ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। তিনি মেরিন অ্যাকুয়া কালচারের উন্নয়নে কারিগরি সহযোগিতা এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের জন্য শিক্ষক আদান-প্রদানের সহযোগিতার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, তার জন্য এই ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণ খুবই আনন্দদায়ক হয়েছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তি স্থাপিত হয়েছে দেখে তিনি অভিভূত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খুবই মৌলিক দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্কের শুরু তখন থেকেই; কারণ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ।’ প্রধানমন্ত্রীর এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতিগঠনের প্রারম্ভিক দিনগুলোতে সহায়তা প্রদানকারী হিসেবে সাবেক অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যাডোয়ার্ড গফ হোয়াইটলাম এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি অনুষ্ঠান আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং অনুষদ সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউএসইউ ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে, আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক জিওফ্রে স্ট্রোকস-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। অধ্যাপক জিওফ্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে এর সুব্যবহার নিশ্চিত করা সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ‘মাইগ্র্যান্ট ফ্যামিলি মোটিভেশন ইনিশিয়েটিভ’ (এমএফএমআই)-এর ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে খোকসা, শিবালয়া, বালিয়াকান্দি ও ফুলপুর উপজেলায়। যেখানে অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের জন্য রেমিটেন্স আয়ের আরও যথাযথ ব্যবহার এবং বেকারদের বিশেষ করে প্রবাসীদের পরিবারের নারীদের উৎপাদনশীল মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি প্লাটফর্ম তৈরির জন্য এই গবেষণা করা হয়েছে। আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুপ্রিয়া সিং, অধ্যাপক সাদাত খান এবং অধ্যাপক গ্রাহাম এইরি এবং সেন্ট্রাল কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আলম প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্র সচিব মো.শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা খানম এবং অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. সুফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া এক্ষেত্রে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দান এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে অবদান রাখতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সভাপতি প্রফেসর বার্নি গ্লোভার, শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ডব্লিউএসইউ বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের বিচার ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য প্রশিক্ষণদান কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করছে। বাংলাদেশ উদ্ভাবনী অর্থায়ন, উন্নততর প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত, আন্তঃখাত অংশীদারি জোরদার এবং অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণমুখী নীল অর্থনীতির উন্নয়নের সামর্থ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। তিনি মেরিন অ্যাকুয়া কালচারের উন্নয়নে কারিগরি সহযোগিতা এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের জন্য শিক্ষক আদান-প্রদানের সহযোগিতার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, তার জন্য এই ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণ খুবই আনন্দদায়ক হয়েছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তি স্থাপিত হয়েছে দেখে তিনি অভিভূত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খুবই মৌলিক দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্কের শুরু তখন থেকেই; কারণ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ।’ প্রধানমন্ত্রীর এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতিগঠনের প্রারম্ভিক দিনগুলোতে সহায়তা প্রদানকারী হিসেবে সাবেক অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যাডোয়ার্ড গফ হোয়াইটলাম এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি অনুষ্ঠান আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং অনুষদ সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউএসইউ ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে, আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক জিওফ্রে স্ট্রোকস-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। অধ্যাপক জিওফ্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে এর সুব্যবহার নিশ্চিত করা সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ‘মাইগ্র্যান্ট ফ্যামিলি মোটিভেশন ইনিশিয়েটিভ’ (এমএফএমআই)-এর ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে খোকসা, শিবালয়া, বালিয়াকান্দি ও ফুলপুর উপজেলায়। যেখানে অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের জন্য রেমিটেন্স আয়ের আরও যথাযথ ব্যবহার এবং বেকারদের বিশেষ করে প্রবাসীদের পরিবারের নারীদের উৎপাদনশীল মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি প্লাটফর্ম তৈরির জন্য এই গবেষণা করা হয়েছে। আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুপ্রিয়া সিং, অধ্যাপক সাদাত খান এবং অধ্যাপক গ্রাহাম এইরি এবং সেন্ট্রাল কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আলম প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্র সচিব মো.শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা খানম এবং অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. সুফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
No comments