তারেক রহমানের প্রত্যর্পণ ব্রিটিশ আইনে জটিল by অদিতি খান্না
বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া প্রায় অসম্ভব। এরইমধ্যে তাকে
সাময়িকভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার জীবনের
জন্য হুমকি বিবেচনায় নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক কনভেনশনের অধীনে তাকে এ অনুমতি
দেওয়া হয়। পরে মানবাধিকার ইস্যু বিবেচনায় এই সাময়িক অনুমতি যুক্তরাজ্যে
অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার অনুমতিতে (আইএলআর) পরিণত হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই
অনুমতিকে রাজনৈতিক আশ্রয় হিসেবে উল্লেখ করা যায়, যদি যুক্তরাজ্যের হোম
অফিসে জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়, রাজনৈতিক কারণে তার জীবন বিপন্ন হওয়ার
ঝুঁকি রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের একজন নামকরা আইনজীবী এবং ইউকে এক্সট্রাডিশন লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জাসভিন্দর নাখওয়াল। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘মৌলিক শর্তাবলী অনুযায়ী, রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর করা হয়েছে এমন কাউকে সুনির্দিষ্ট কোনও রেফারেন্স ছাড়া হস্তান্তর করা যাবে না। জীবনের ঝুঁকির মতো কিছু বিষয় স্বীকার করে নিয়েই আশ্রয় বা শরণার্থীর মর্যাদা আসে।’
আইনজীবী জাসভিন্দর নাখওয়াল অবশ্য এটাও উল্লেখ করেন যে, এর অর্থ এই নয় যে, কোনও রাষ্ট্র কাউকে তার নিজ দেশে ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার আইনি প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, কোনও রাষ্ট্র কারও প্রত্যবাসনের জন্য চেষ্টা করতে পারে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তারপর আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। যদিও সেখানেই বিষয়টির পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে।’
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে লন্ডনের দক্ষিণ-পশ্চিমের কিংস্টনে বসবাস করছেন ৫৩ বছরের তারেক রহমান। দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসার অনুমতি পান তারেক রহমান। এরপর থেকেই লন্ডনে বাস করছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হন। তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর তারেক রহমানকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের (সিএইচওজিএম) বৈঠকে অংশ নিতে চলতি মাসের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্য সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় লন্ডনে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। অবশ্যই একদিন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ সরকারেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ। এটা সত্যি যে, যে কোনও ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারেন। তবে তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে পারি না, একজন দন্ডিত ব্যক্তিকে কিভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অবশ্যই তাকে দ্রুত ফেরত পাঠানো উচিত।’
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তালিকায় ক্যাটাগরি দুই-এর আওতায় পড়েছে। এ ক্যাটাগরির দেশগুলোতে প্রত্যর্পণের বেলায় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে।
তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার অনুমতির সঙ্গে মানবাধিকারের বিষয়টি যুক্ত রয়েছে। এটি এ ধরনের প্রত্যপর্ণের প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তোলে।
এদিকে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র তার জাতীয়তা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। তারা বলছেন, এমন বিতর্ক ভিত্তিহীন।
সূত্রটি জানায়, ‘এমনকি কারও পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলেও এতে তার জাতীয়তায় কোনও প্রভাব পড়ে না। পাসপোর্ট হচ্ছে একটি ট্রাভেল ডকুমেন্ট। কারও জাতীয়তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’
সূত্রের কাছ থেকে পাল্টা যুক্তি আসে, বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ রয়েছেন। তবে তাদের সবার পাসপোর্ট নেই। এটি তাদের কোনও অংশে ক্ষুদ্রতর বাংলাদেশিতে পরিণত করেনি।
যুক্তরাজ্যের একজন নামকরা আইনজীবী এবং ইউকে এক্সট্রাডিশন লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জাসভিন্দর নাখওয়াল। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘মৌলিক শর্তাবলী অনুযায়ী, রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর করা হয়েছে এমন কাউকে সুনির্দিষ্ট কোনও রেফারেন্স ছাড়া হস্তান্তর করা যাবে না। জীবনের ঝুঁকির মতো কিছু বিষয় স্বীকার করে নিয়েই আশ্রয় বা শরণার্থীর মর্যাদা আসে।’
আইনজীবী জাসভিন্দর নাখওয়াল অবশ্য এটাও উল্লেখ করেন যে, এর অর্থ এই নয় যে, কোনও রাষ্ট্র কাউকে তার নিজ দেশে ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার আইনি প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, কোনও রাষ্ট্র কারও প্রত্যবাসনের জন্য চেষ্টা করতে পারে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তারপর আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। যদিও সেখানেই বিষয়টির পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে।’
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে লন্ডনের দক্ষিণ-পশ্চিমের কিংস্টনে বসবাস করছেন ৫৩ বছরের তারেক রহমান। দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসার অনুমতি পান তারেক রহমান। এরপর থেকেই লন্ডনে বাস করছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হন। তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর তারেক রহমানকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের (সিএইচওজিএম) বৈঠকে অংশ নিতে চলতি মাসের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্য সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় লন্ডনে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। অবশ্যই একদিন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ সরকারেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ। এটা সত্যি যে, যে কোনও ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারেন। তবে তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে পারি না, একজন দন্ডিত ব্যক্তিকে কিভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অবশ্যই তাকে দ্রুত ফেরত পাঠানো উচিত।’
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তালিকায় ক্যাটাগরি দুই-এর আওতায় পড়েছে। এ ক্যাটাগরির দেশগুলোতে প্রত্যর্পণের বেলায় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে।
তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার অনুমতির সঙ্গে মানবাধিকারের বিষয়টি যুক্ত রয়েছে। এটি এ ধরনের প্রত্যপর্ণের প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তোলে।
এদিকে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র তার জাতীয়তা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। তারা বলছেন, এমন বিতর্ক ভিত্তিহীন।
সূত্রটি জানায়, ‘এমনকি কারও পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলেও এতে তার জাতীয়তায় কোনও প্রভাব পড়ে না। পাসপোর্ট হচ্ছে একটি ট্রাভেল ডকুমেন্ট। কারও জাতীয়তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’
সূত্রের কাছ থেকে পাল্টা যুক্তি আসে, বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ রয়েছেন। তবে তাদের সবার পাসপোর্ট নেই। এটি তাদের কোনও অংশে ক্ষুদ্রতর বাংলাদেশিতে পরিণত করেনি।
No comments