এবার বাস চাপায় পা হারালেন রাসেল
রাজধানীতে
এবার বাসচাপায় পা হারিয়েছেন এক যুবক। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে। গতকাল মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ধোলাইপাড় ঢালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার
পর গ্রিন লাইন পরিবহনের বাস ও চালককে আটক করেছে পুলিশ। বাসের চাপায়
প্রাইভেট কারচালক রাসেলের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ২৬ বছর বয়সী রাসেল
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক। রাসেলকে উদ্ধারকারী ইমতিয়াজ জানান,
শনিবার কেরানীগঞ্জে দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার সময় যাত্রাবাড়ীতে গ্রিন লাইন
বাসটি তার প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। পরে গাড়ি থামিয়ে বাসের সামনে গিয়ে
বাসচালককে নামতে বলেন রাসেল। কিন্তু চালক বাস না থামিয়ে উল্টো বাস চালানো
শুরু করেন। তখন রাসেল সরতে গেলে ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে আটকে যান। সেখানে
বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তার বাঁ-পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাসেলের আরেক
উদ্ধারকারী আরিফ জানান, ঘটনার পরপরই সোহাগ নামে এক পথচারী রাসেলকে দুপুর
সোয়া ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা
শেষে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার্থে রাসেলকে বিকাল ৬টার
দিকে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত রাসেলের গ্রামের বাড়ি
গাইবান্ধার পার্বতীপুরে। ঢাকার মোহাম্মদপুরের আদাবরে সুনিবিড় হাউজিংয়ের ১০
নং রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। তার বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। ঘটনার
পরপরই রাসেলের স্ত্রী, বাবা, ভাই হাসপাতালে ছুটে যান। তার দুই বছর বয়সী
একটি ছেলে রয়েছে।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় শাহবাগ থানা এলাকার কদম ফোয়ারার সামনে থেকে ঘাতক গ্রিন লাইন বাস ও এর চালক কবির হোসেনকে আটক করা হয়। কবিরের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। গাড়ি ও চালক উভয়কে যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মিজান জানান, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে ধরতে মোটরসাইকেল চালক মাশরুর ও আরোহী সোহাগ ধাওয়া করেন। শেষ পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সামনে এসে বাস থামাতে পেরেছেন তারা। পরে বাস ও এর চালককে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গত ৩রা এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন দুই বাসের রেষারেষিতে চাপা পড়ে ডান হাত হারান। ১৩ দিন পর ১৬ই এপ্রিল তিনি মারা যান। ২০শে এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে বিআরটিসির বাস চাপায় পা হারান রোজিনা আক্তার নামে এক গৃহকর্মী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় শাহবাগ থানা এলাকার কদম ফোয়ারার সামনে থেকে ঘাতক গ্রিন লাইন বাস ও এর চালক কবির হোসেনকে আটক করা হয়। কবিরের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। গাড়ি ও চালক উভয়কে যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মিজান জানান, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে ধরতে মোটরসাইকেল চালক মাশরুর ও আরোহী সোহাগ ধাওয়া করেন। শেষ পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সামনে এসে বাস থামাতে পেরেছেন তারা। পরে বাস ও এর চালককে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গত ৩রা এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন দুই বাসের রেষারেষিতে চাপা পড়ে ডান হাত হারান। ১৩ দিন পর ১৬ই এপ্রিল তিনি মারা যান। ২০শে এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে বিআরটিসির বাস চাপায় পা হারান রোজিনা আক্তার নামে এক গৃহকর্মী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
No comments