কী হবে যদি ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান ট্রাম্প?
তিন
দিনের ওয়াশিংটন সফর শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁন অনুমান
করছেন, ‘ঘরোয়া কারণে’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরান পারমাণবিক
চুক্তি থেকে বের হয়ে যাবেন। ২০১৫ সালে পাঁচ বিশ্বশক্তির করা ওই চুক্তি থেকে
আগামী মাসেই প্রস্থানের ঘোষণা দিতে পারেন ট্রাম্প। সত্যিই যদি
যুক্তরাষ্ট্র তা করে, তাহলে কী ঘটতে পারে? লন্ডন-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য
ইকোনমিস্ট এই উত্তরই দেয়ার চেষ্টা করেছে।
ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণীতে বলা হয়, তাত্ত্বিক দিক থেকে বলতে গেলে পূর্বসূরী বারাক ওবামার করে যাওয়া এই চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা ট্রাম্পের নেই। এই চুক্তি ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তি তথা বৃটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সন্ধি। এই চুক্তি অনুযায়ী ইরানের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত যত আন্তর্জাতিক ও আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রত্যাহার করা হয়। বিনিময়ে ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত করা বা মজুদ করা থেকে বিরত থাকার কথা ইরানের। ইরান সত্যি সত্যি তা করছে কি না সেটি যাচাই করার সুযোগও চুক্তিতে রাখা হয়েছে।
চীন, রাশিয়াসহ ইউরোপিয়ান সরকারগুলো স্পষ্ট করেছে যে, তারা এই চুক্তিকে বাধ্যতামূলক মনে করে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও বলছেন, ইরান চুক্তির শর্ত ঠিকভাবে মেনে চলছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি চুক্তির শর্ত অমান্য করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে, তাহলে কার্যত চুক্তি মাঠে মারা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপের ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইরানের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না। ট্রাম্প এই চুক্তিতে ‘সর্বকালের নিকৃষ্ট’ চুক্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকদিন ধরেই এই চুক্তি বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন তিনি। এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার অনেক সুযোগ আছে তার। এর একটি হলো কংগ্রেসের বেঁধে দেয়া সময়সীমা। নিষেধাজ্ঞা স্থগিত থাকবে না কি পুনর্বহাল করা হবে, তা আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে প্রতি কয়েক মাস অন্তর অন্তর এটি পর্যালোচনা করতে হয়। পরবর্তী সময়সীমা হলো ১২ই মে। তবে, এখনো ট্রাম্প সুস্পষ্টভাবে বলেননি তিনি ১২ই মে চুক্তি থেকে সরে আসবেন।
২৪শে এপ্রিল এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেন এই কারণে যে, তিনি ইরানকে সীমিত করতে বিদ্যমান চুক্তির ভিত্তিতে নতুন বহুজাতিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন। এর ফলে পারমাণবিক চুক্তির পরিধি অনেক বিস্তৃত হবে। কিন্তু তারপরও মূল চুক্তিকে ‘পাগলামি’ বলে নিন্দা জানানো অব্যাহত রেখেছেন ট্রাম্প।
১২ই মে’র ওই সময়সীমা একেবারে চূড়ান্ত কিছু নয়। ওইদিন যেসব নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প পর্যালোচনা করবেন, তার আওতায় মূলত রয়েছে কেবল ইরানের তেল রপ্তানি ও ডলার-ভিত্তিক অন্যান্য বাণিজ্য। এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয় ইরানের ব্যাংকসমূহ ও তাদের সঙ্গে লেনদেনকারীদের টার্গেট করার মাধ্যমে। আগামী মধ্য-জুলাইয়ে আরেক ডেডলাইন আসছে। এই সময়সীমার মধ্যে ট্রাম্পকে অবশ্যই কিছু নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞার পরিধি অনেক বিস্তৃত। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ইরানের শিপিং থেকে বিমান পরিচালনার মতো খাতসমূহ।
ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, আমেরিকা যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে, তাহলে দেশটি চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। একটি সম্ভাবনা হলো যে, ইরানের কট্টরপন্থিরা ট্রাম্পের হুমকি অগ্রাহ্য করে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের কাজ ফের আরম্ভ করবে। এটি হবে সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্রকল্প। আরেকটি সম্ভাবনা হলো, ইরান হয়তো আমেরিকার প্রস্থান সত্ত্বেও চুক্তিতে রয়ে যাবে। চেষ্টা করবে অন্য আংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করার। তবে সেক্ষেত্রেও, বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ আমেরিকার বাজারে নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কায় থাকবে। সবচেয়ে ভালো হবে যদি ট্রাম্প ইউরোপিয়দের সঙ্গে মিলে পার্শ্বচুক্তি তৈরিতে কাজ করেন। মূল চুক্তিতে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, এই পার্শ্বচুক্তির আওতায় থাকতে পারে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প। আরো থাকতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নাক গলানো বন্ধ করার রূপরেখা। এ ছাড়া নতুন চুক্তিতে ইরানের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ১০-১৫ বছরের নিষেধাজ্ঞাকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞায় রূপান্তর করা যেতে পারে। কিন্তু মূল চুক্তিকে যদি ভিত্তি হিসেবে না রাখা হয়, তাহলে পার্শ্বচুক্তিসমূহ যেকোনো সময় সাধারণ কারণেও ভেস্তে যেতে পারে।
ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণীতে বলা হয়, তাত্ত্বিক দিক থেকে বলতে গেলে পূর্বসূরী বারাক ওবামার করে যাওয়া এই চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা ট্রাম্পের নেই। এই চুক্তি ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তি তথা বৃটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সন্ধি। এই চুক্তি অনুযায়ী ইরানের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত যত আন্তর্জাতিক ও আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রত্যাহার করা হয়। বিনিময়ে ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত করা বা মজুদ করা থেকে বিরত থাকার কথা ইরানের। ইরান সত্যি সত্যি তা করছে কি না সেটি যাচাই করার সুযোগও চুক্তিতে রাখা হয়েছে।
চীন, রাশিয়াসহ ইউরোপিয়ান সরকারগুলো স্পষ্ট করেছে যে, তারা এই চুক্তিকে বাধ্যতামূলক মনে করে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও বলছেন, ইরান চুক্তির শর্ত ঠিকভাবে মেনে চলছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি চুক্তির শর্ত অমান্য করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে, তাহলে কার্যত চুক্তি মাঠে মারা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপের ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইরানের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না। ট্রাম্প এই চুক্তিতে ‘সর্বকালের নিকৃষ্ট’ চুক্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকদিন ধরেই এই চুক্তি বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন তিনি। এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার অনেক সুযোগ আছে তার। এর একটি হলো কংগ্রেসের বেঁধে দেয়া সময়সীমা। নিষেধাজ্ঞা স্থগিত থাকবে না কি পুনর্বহাল করা হবে, তা আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে প্রতি কয়েক মাস অন্তর অন্তর এটি পর্যালোচনা করতে হয়। পরবর্তী সময়সীমা হলো ১২ই মে। তবে, এখনো ট্রাম্প সুস্পষ্টভাবে বলেননি তিনি ১২ই মে চুক্তি থেকে সরে আসবেন।
২৪শে এপ্রিল এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেন এই কারণে যে, তিনি ইরানকে সীমিত করতে বিদ্যমান চুক্তির ভিত্তিতে নতুন বহুজাতিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন। এর ফলে পারমাণবিক চুক্তির পরিধি অনেক বিস্তৃত হবে। কিন্তু তারপরও মূল চুক্তিকে ‘পাগলামি’ বলে নিন্দা জানানো অব্যাহত রেখেছেন ট্রাম্প।
১২ই মে’র ওই সময়সীমা একেবারে চূড়ান্ত কিছু নয়। ওইদিন যেসব নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প পর্যালোচনা করবেন, তার আওতায় মূলত রয়েছে কেবল ইরানের তেল রপ্তানি ও ডলার-ভিত্তিক অন্যান্য বাণিজ্য। এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয় ইরানের ব্যাংকসমূহ ও তাদের সঙ্গে লেনদেনকারীদের টার্গেট করার মাধ্যমে। আগামী মধ্য-জুলাইয়ে আরেক ডেডলাইন আসছে। এই সময়সীমার মধ্যে ট্রাম্পকে অবশ্যই কিছু নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞার পরিধি অনেক বিস্তৃত। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ইরানের শিপিং থেকে বিমান পরিচালনার মতো খাতসমূহ।
ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, আমেরিকা যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে, তাহলে দেশটি চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। একটি সম্ভাবনা হলো যে, ইরানের কট্টরপন্থিরা ট্রাম্পের হুমকি অগ্রাহ্য করে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের কাজ ফের আরম্ভ করবে। এটি হবে সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্রকল্প। আরেকটি সম্ভাবনা হলো, ইরান হয়তো আমেরিকার প্রস্থান সত্ত্বেও চুক্তিতে রয়ে যাবে। চেষ্টা করবে অন্য আংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করার। তবে সেক্ষেত্রেও, বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ আমেরিকার বাজারে নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কায় থাকবে। সবচেয়ে ভালো হবে যদি ট্রাম্প ইউরোপিয়দের সঙ্গে মিলে পার্শ্বচুক্তি তৈরিতে কাজ করেন। মূল চুক্তিতে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, এই পার্শ্বচুক্তির আওতায় থাকতে পারে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প। আরো থাকতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নাক গলানো বন্ধ করার রূপরেখা। এ ছাড়া নতুন চুক্তিতে ইরানের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ১০-১৫ বছরের নিষেধাজ্ঞাকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞায় রূপান্তর করা যেতে পারে। কিন্তু মূল চুক্তিকে যদি ভিত্তি হিসেবে না রাখা হয়, তাহলে পার্শ্বচুক্তিসমূহ যেকোনো সময় সাধারণ কারণেও ভেস্তে যেতে পারে।
No comments