প্রচারণার মাঠে ২০ দলের নেতারা by কাফি কামাল
গাজীপুর
ও খুলনা সিটি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে বিএনপি ও
জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারণায় নেমেছেন। খুলনায় ২৫শে এপ্রিল ও
গাজীপুরে ২৭শে এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের এ আনুষ্ঠানিক
প্রচারণা। খুলনায় গণসংযোগের জন্য স্থায়ী কমিটি থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের
সমন্বয়ে ৭০ জনের একটি বিশেষ তালিকা করেছে বিএনপি। তাদের নেতৃত্বে অন্তত
৩০টি কমিটি সেখানে প্রচারণা ও গণসংযোগে অংশ নেবে। অন্যদিকে গাজীপুরে
প্রচারণার জন্য ৫৭টি টিম গঠন করা হয়েছে। ২৪শে এপ্রিল গুলশানে বিএনপি’র
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতাদের এক বৈঠকে এসব কমিটি গঠন করা
হয়। এ টিমগুলো করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী কাজ, গণসংযোগ ও
প্রচার-প্রচারণা চালাবে। জোটের মাঝারির সারির নেতারা ইতিমধ্যে প্রচারণায়
যুক্ত হলেও শীর্ষ নেতারা গণসংযোগে নামবেন ৬-৭ মে’র পর। বিএনপি ও জোট
নেতাদের পাশাপাশি দুই সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা ও
গণসংযোগের জন্য টিম গঠন করেছে অঙ্গসংগঠনগুলো। গাজীপুর ও খুলনা সিটি
কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী
প্রচার-প্রচারণার জন্য ১৫টি কমিটি গঠন করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক
দল।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ১৯শে এপ্রিল তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার কাজ শুরু করেন। সেদিন প্রার্থীর টঙ্গীর বাসভবনে গাজীপুর জেলা নেতাদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় করে কিছু নির্দেশনা দেন। দ্বিতীয়দিনের মতো আজ রোববার গাজীপুরে প্রচারণা চালাবেন তিনি। সকাল ১০টায় টঙ্গী থানা বিএনপি কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি গাজীপুরের শিমুলতলী যাবেন। সেখানে ১২টায় পথসভা শেষে বিকাল ৩টায় হাড়িনালে গণসংযোগ ও ৪টায় সামন্তপুর আরেকটি পথসভায় অংশ নেবেন। এদিকে ২৭শে এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নানা ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সিটি নির্বাচনে জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এবং শনিবার বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন আলম ও রফিক সিকদার প্রমুখ। গতকাল সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিমারা এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে হলুদ কার্ড দেখাতে চাই। আর আগামী সংসদ নির্বাচনে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে হটানো হবে। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গতকাল প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় একটি টিম। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে টিমে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজোয়ানুল হক রিয়াজ প্রমুখ গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। গাজীপুর সাবেক পৌর শাখার সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী কেন্দ্রীয় নেতাদের গাজীপুরে গণসংযোগের সমন্বয় করছেন।
গাজীপুর নির্বাচনে জোটের সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন এলডিপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে জোটের নেতারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় আমরা বিএনপি প্রার্থীর তরফে বৈষয়িক কোন সহযোগিতা নিচ্ছি না। জোটের শরিক দলের রাজনৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিজ নিজ খরচে প্রচারণা চালাচ্ছি। রোববার (আজ) জোট নেতাদের মধ্যে- মোস্তফা জামাল হায়দার, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, আজহারুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ ও সাইফুদ্দিন মনি গণসংযোগ যাবেন। টঙ্গী থেকে কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে তারা গণসংযোগ করবেন। আগামী ৭-৮ তারিখের দিকে জোটের দলগুলোর সভাপতি ও চেয়ারম্যানরা নির্বাচনী প্রচারণায় যাবেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণার ব্যাপারে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিটি নির্বাচনে মিডিয়া সমন্বয়ক ডা. মাজহারুল আলম বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই বিএনপি, অঙ্গদল ও জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা গণসংযোগ করছেন। মে মাসের প্রথম দিন থেকেই এ গণসংযোগ নতুন মাত্রা পাবে বলে আশা করছি।
এদিকে খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ২৪শে এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার কাজ শুরু করেছেন তিনি। প্রথমদিনই তিনি দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও ২০দলীয় ঐক্যজোটের নেতাদের দুইটি সমন্বয় সভা করেছেন। সে সভায় নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ২৫ থেকে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিনই সকাল ও বিকাল দুই বেলায় খুলনা ও আশপাশের জেলা বিএনপি নেতাদের নিয়ে ৪-৫টি ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে সিটি কলেজ মোড়, রয়্যাল মোড়, সাত রাস্তার মোড়, ২১ নম্বর ওয়ার্ড, ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডসহ জেলা আইনজীবী সমিতিতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার তিনটি মন্দিরে হিন্দু সমপ্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান।
দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা ও গণসংযোগের ব্যাপারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৪শে এপ্রিল থেকে খুলনায় অবস্থান করে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি নিজেই নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কাজী আলাউদ্দিন, শেখ রবিউল আলম রবি, জোট নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, বিজেপি সভাপতি এডভোকেট লতিফুল রহমান লাবু, বিএনপি নেতা এসএম শফিকুল আলম মনা, সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমানসহ খুলনা ও আশপাশের জেলা বিএনপি ও অঙ্গদল এবং জোটের নেতাকর্মীরা গণসংযোগ করছেন। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারণায় অংশ নিতে আসবেন। আশপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতারা প্রচারণায় আসবেন। আমরা খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ড ও ২৮৯টি কেন্দ্রের প্রতিটিতেই একাধিকবার গণসংযোগের টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। গয়েশ্বর রায় বলেন, আমরা যেখানেই যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হলে, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত। আমরা প্রচারণার পাশাপাশি ভোটারদের নির্বাচনের দিন সবধরনের ভয়-ভীতিকে পাশ কাটিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্যও উৎসাহিত করছি।
খুলনা সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন এনপিপি’র চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে জোটের একটি সমন্বয় কমিটি করেছি। ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে জোটের মাঝারি সারির নেতারা প্রচারণা শুরু করেছেন। রোববার এনপিপি’র একটি টিম যাচ্ছে। আগামী ৩রা মে থেকে আমি নিজে নির্বাচন পর্যন্ত খুলনায় অবস্থান করব। সে সময় প্রতিটি দলের সিনিয়র নেতারা খুলনায় যাবেন। তিনি বলেন, খুলনায় জোটের প্রতিটি দল সিরিয়াসলি প্রচারণার মাঠে নেমেছেন। গাজীপুরে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী সরে দাঁড়িয়ে বিএনপিকে সমর্থন করায় তাদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে। শুক্রবার গাজীপুর জেলা আমীরসহ জামায়াতের ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এটা জামায়াত নেতাকর্মীদের নির্বাচনে কাজে আরও সক্রিয় করে তুলবে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ১৯শে এপ্রিল তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার কাজ শুরু করেন। সেদিন প্রার্থীর টঙ্গীর বাসভবনে গাজীপুর জেলা নেতাদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় করে কিছু নির্দেশনা দেন। দ্বিতীয়দিনের মতো আজ রোববার গাজীপুরে প্রচারণা চালাবেন তিনি। সকাল ১০টায় টঙ্গী থানা বিএনপি কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি গাজীপুরের শিমুলতলী যাবেন। সেখানে ১২টায় পথসভা শেষে বিকাল ৩টায় হাড়িনালে গণসংযোগ ও ৪টায় সামন্তপুর আরেকটি পথসভায় অংশ নেবেন। এদিকে ২৭শে এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নানা ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সিটি নির্বাচনে জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এবং শনিবার বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন আলম ও রফিক সিকদার প্রমুখ। গতকাল সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিমারা এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে হলুদ কার্ড দেখাতে চাই। আর আগামী সংসদ নির্বাচনে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে হটানো হবে। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গতকাল প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় একটি টিম। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে টিমে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজোয়ানুল হক রিয়াজ প্রমুখ গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। গাজীপুর সাবেক পৌর শাখার সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী কেন্দ্রীয় নেতাদের গাজীপুরে গণসংযোগের সমন্বয় করছেন।
গাজীপুর নির্বাচনে জোটের সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন এলডিপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে জোটের নেতারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় আমরা বিএনপি প্রার্থীর তরফে বৈষয়িক কোন সহযোগিতা নিচ্ছি না। জোটের শরিক দলের রাজনৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিজ নিজ খরচে প্রচারণা চালাচ্ছি। রোববার (আজ) জোট নেতাদের মধ্যে- মোস্তফা জামাল হায়দার, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, আজহারুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ ও সাইফুদ্দিন মনি গণসংযোগ যাবেন। টঙ্গী থেকে কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে তারা গণসংযোগ করবেন। আগামী ৭-৮ তারিখের দিকে জোটের দলগুলোর সভাপতি ও চেয়ারম্যানরা নির্বাচনী প্রচারণায় যাবেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণার ব্যাপারে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিটি নির্বাচনে মিডিয়া সমন্বয়ক ডা. মাজহারুল আলম বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই বিএনপি, অঙ্গদল ও জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা গণসংযোগ করছেন। মে মাসের প্রথম দিন থেকেই এ গণসংযোগ নতুন মাত্রা পাবে বলে আশা করছি।
এদিকে খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ২৪শে এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার কাজ শুরু করেছেন তিনি। প্রথমদিনই তিনি দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও ২০দলীয় ঐক্যজোটের নেতাদের দুইটি সমন্বয় সভা করেছেন। সে সভায় নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ২৫ থেকে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিনই সকাল ও বিকাল দুই বেলায় খুলনা ও আশপাশের জেলা বিএনপি নেতাদের নিয়ে ৪-৫টি ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে সিটি কলেজ মোড়, রয়্যাল মোড়, সাত রাস্তার মোড়, ২১ নম্বর ওয়ার্ড, ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডসহ জেলা আইনজীবী সমিতিতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার তিনটি মন্দিরে হিন্দু সমপ্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান।
দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা ও গণসংযোগের ব্যাপারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৪শে এপ্রিল থেকে খুলনায় অবস্থান করে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি নিজেই নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কাজী আলাউদ্দিন, শেখ রবিউল আলম রবি, জোট নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, বিজেপি সভাপতি এডভোকেট লতিফুল রহমান লাবু, বিএনপি নেতা এসএম শফিকুল আলম মনা, সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমানসহ খুলনা ও আশপাশের জেলা বিএনপি ও অঙ্গদল এবং জোটের নেতাকর্মীরা গণসংযোগ করছেন। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারণায় অংশ নিতে আসবেন। আশপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতারা প্রচারণায় আসবেন। আমরা খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ড ও ২৮৯টি কেন্দ্রের প্রতিটিতেই একাধিকবার গণসংযোগের টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। গয়েশ্বর রায় বলেন, আমরা যেখানেই যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হলে, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত। আমরা প্রচারণার পাশাপাশি ভোটারদের নির্বাচনের দিন সবধরনের ভয়-ভীতিকে পাশ কাটিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্যও উৎসাহিত করছি।
খুলনা সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন এনপিপি’র চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে জোটের একটি সমন্বয় কমিটি করেছি। ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে জোটের মাঝারি সারির নেতারা প্রচারণা শুরু করেছেন। রোববার এনপিপি’র একটি টিম যাচ্ছে। আগামী ৩রা মে থেকে আমি নিজে নির্বাচন পর্যন্ত খুলনায় অবস্থান করব। সে সময় প্রতিটি দলের সিনিয়র নেতারা খুলনায় যাবেন। তিনি বলেন, খুলনায় জোটের প্রতিটি দল সিরিয়াসলি প্রচারণার মাঠে নেমেছেন। গাজীপুরে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী সরে দাঁড়িয়ে বিএনপিকে সমর্থন করায় তাদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে। শুক্রবার গাজীপুর জেলা আমীরসহ জামায়াতের ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এটা জামায়াত নেতাকর্মীদের নির্বাচনে কাজে আরও সক্রিয় করে তুলবে।
No comments