পঞ্চম সপ্তাহে গাজা বিক্ষোভ: ইসরাইলের গুলিতে ৪ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত ৯৫০
ফিলিস্তিনের
গাজা উপত্যকায় ইসরাইল সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ
অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার বিক্ষোভের পঞ্চম সপ্তাহ শুরু হয়েছে। সপ্তাহের
প্রথম দিনেই ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৪ বিক্ষোভকারী। আর আহত
হয়েছেন সাড়ে ৯শ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার আবারো বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইল। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৭৮ জন সরাসরি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অন্যরা টিয়ার গ্যাস ও রাবারের তৈরি গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। নিজেদের ভূমির অধিকার ফিরে পেতে পাঁচ সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছে ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নিহত
হয়েছে। আহত হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। অপর পক্ষে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের কোনো নিরাপত্তাকর্মী বা নাগরিক হতাহত হয়নি। শুক্রবার নতুন করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজার ইসরাইল সীমান্তের কাছে জড়ো হয়। এদিন তারা ইসরাইলের সীমান্ত বেড়ার একেবারেই গোড়ায় পৌঁছে যান। ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা বলেন, গাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সেন্ট্রাল গাজার আল বুরেজি শরণার্থী শিবিরের একটি মেডিকেল সেন্টারে গ্যাস হামলা করেছে। এতে সেখানে চিকিৎসাধীনরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। ইসরাইল ও মিসরের অবরোধের কারণে গাজা এক দশক ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘উন্মুক্ত কারাগারে’ পরিণত হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, তাদের ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে গেছে। মানুষ এখন আর কিছুতেই আতঙ্কিত হয় না। বছরের পর বছর গাজার অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মানে অবনতি ঘটছে। ৬০ শতাংশ যুবক বেকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় মাত্র ৪ ঘণ্টা। গাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে মিলছে না মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা। ফলে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে মারা যাচ্ছেন অনেক রোগী। এমনকি অবরোধের কারণে তারা অন্য কোনো জায়গায় উন্নত চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, মানুষ এখন কিছুতেই আর ভয় পায় না। এজন্যই তারা ইসরাইলের অব্যাহত গোলাবর্ষণ সত্ত্বেও সীমান্ত বেড়ার কাছে সপ্তাহের পর সপ্তাহ বিক্ষোভ করছেন। তবে ইসরাইলের দাবি, বিক্ষোভকারীদের উস্কে দিচ্ছে হামাস।
এদিকে, গাজার উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ইসরাইলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এজন্য সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ করেছে। এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বলেছে, বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে ইসরাইল উচ্চ-মাত্রার সামরিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। ফিলিস্তিনিরা কোনো ধরনের আক্রমণ না করা সত্ত্বেও ইসরাইল গুলিবর্ষণ করছে। বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার জন্য ইসরাইল বেপরোয়া আচরণ করছে। এটা জেনেভা কনভেনশনের মৌলিক নীতির বিরোধী। একই সঙ্গে এটি পরিষ্কার যুদ্ধাপরাধ। এর আগে শুক্রবার সকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রা’দ আল হোসেন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ইসরাইলে নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে নিজেদের ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে পৈত্রিক নিবাসে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু ইসরাইল এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ফিলিস্তিনিদের এই বিক্ষোভ ১৫ই মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হলে নির্ধারিত তারিখের পরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তারা।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার আবারো বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরাইল। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৭৮ জন সরাসরি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অন্যরা টিয়ার গ্যাস ও রাবারের তৈরি গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। নিজেদের ভূমির অধিকার ফিরে পেতে পাঁচ সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছে ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নিহত
হয়েছে। আহত হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। অপর পক্ষে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের কোনো নিরাপত্তাকর্মী বা নাগরিক হতাহত হয়নি। শুক্রবার নতুন করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজার ইসরাইল সীমান্তের কাছে জড়ো হয়। এদিন তারা ইসরাইলের সীমান্ত বেড়ার একেবারেই গোড়ায় পৌঁছে যান। ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা বলেন, গাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সেন্ট্রাল গাজার আল বুরেজি শরণার্থী শিবিরের একটি মেডিকেল সেন্টারে গ্যাস হামলা করেছে। এতে সেখানে চিকিৎসাধীনরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। ইসরাইল ও মিসরের অবরোধের কারণে গাজা এক দশক ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘উন্মুক্ত কারাগারে’ পরিণত হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, তাদের ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে গেছে। মানুষ এখন আর কিছুতেই আতঙ্কিত হয় না। বছরের পর বছর গাজার অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মানে অবনতি ঘটছে। ৬০ শতাংশ যুবক বেকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় মাত্র ৪ ঘণ্টা। গাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে মিলছে না মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা। ফলে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে মারা যাচ্ছেন অনেক রোগী। এমনকি অবরোধের কারণে তারা অন্য কোনো জায়গায় উন্নত চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, মানুষ এখন কিছুতেই আর ভয় পায় না। এজন্যই তারা ইসরাইলের অব্যাহত গোলাবর্ষণ সত্ত্বেও সীমান্ত বেড়ার কাছে সপ্তাহের পর সপ্তাহ বিক্ষোভ করছেন। তবে ইসরাইলের দাবি, বিক্ষোভকারীদের উস্কে দিচ্ছে হামাস।
এদিকে, গাজার উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ইসরাইলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এজন্য সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ করেছে। এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বলেছে, বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে ইসরাইল উচ্চ-মাত্রার সামরিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। ফিলিস্তিনিরা কোনো ধরনের আক্রমণ না করা সত্ত্বেও ইসরাইল গুলিবর্ষণ করছে। বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার জন্য ইসরাইল বেপরোয়া আচরণ করছে। এটা জেনেভা কনভেনশনের মৌলিক নীতির বিরোধী। একই সঙ্গে এটি পরিষ্কার যুদ্ধাপরাধ। এর আগে শুক্রবার সকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রা’দ আল হোসেন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ইসরাইলে নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে নিজেদের ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে পৈত্রিক নিবাসে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু ইসরাইল এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ফিলিস্তিনিদের এই বিক্ষোভ ১৫ই মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হলে নির্ধারিত তারিখের পরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তারা।
No comments