চীনে মোদির চা-কূটনীতি
এশিয়ার
দুই শক্তিধর দেশ ভারত ও চীন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক যতই ভালো থাকুক ভেতরে
ভেতরে প্রতিটি বিষয়েই নীরব লড়াই চলছে। তা হলো আঞ্চলিক প্রাধান্য বিস্তার
নিয়ে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব দরবারেও কে কার চেয়ে এগিয়ে, কার প্রভাব বেশি তা
প্রমাণে, তা প্রতিষ্ঠা করতে তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে কখনো প্রকাশ্যে, কখনো
গোপনে ভীষণ তৎপর। দোকলাম নিয়ে তো দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধই বেধে যাওয়ার
উপক্রম হয়েছিল। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগ করে
ভারতকে টপকাতে চাইছে চীন। সেই চীন সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার তাকে ইস্ট লেকের পাড়ে দেখা গেছে চীনা প্রেসিডেন্ট
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। তাদের হাতে চায়ের কাপ। চা পান করতে করতে হাঁটছেন
প্রচ্ছদের আঁকা ছবির মতো সেই লেকের পাড়ে। আর তারা আলোচনা করছেন। একে
নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিংয়ের চা-কূটনীতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ভারতের
অনলাইন জি-নিউজ। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার এ দুই নেতাকে ওই লেকের পাড়ে দেখা
গেছে নিরুদ্বিগ্ন হয়ে হাঁটতে। এ সময় তারা যে আলোচনা করেছেন বা কথা বলেছেন
তা ছিল অনানুষ্ঠানিক। হয়তো তারা আলোচনার একটি ওয়ার্মআপ সেরে নিয়েছেন। এ
আলোচনায় উঠে এসেছে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার বিষয়। আরো উঠে
এসেছে দুই দেশের জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়। ভারতের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভিশ কুমার দুই নেতার গতকালের বেশ কিছু
ছবি টুইটে প্রকাশ করেছেন। ওই দিন দুই নেতা একে অন্যকে টেকসই বন্ধন গড়ে
তোমার জন্য নিশ্চয়তা দিয়েছেন। শুক্রবারের এ আলোচনাকে নরেন্দ্র মোদি
ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, শুক্রবার তাদের মধ্যে মূল যে
আলোচনা হয়েছে তাতে পাঁচটি মূল পয়েন্ট ছিল। তাহলো অভিন্ন চিন্তাভাবনা,
অভিন্ন সম্পর্ক, অভিন্ন সহযোগিতা, অভিন্ন উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও অভিন্ন স্বপ্ন।
এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। ওইদিন রাতে দুই
নেতা একটি সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে চীনা মিউজিশিয়ানরা বলিউডের
সংগীতের মূর্ছনা তোলেন।
No comments