ললিত বিতর্ক কংগ্রেস আমলেই তৈরি করা -লোকসভায় ললিত মোদি নিয়ে বিতর্কে সুষমা স্বরাজ
গতকাল লোকসভায় সুষমাl ছবি: আইএএনএস |
ভারতের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গত বুধবার লোকসভায় বললেন, আইপিএলের সাবেক
কমিশনার ললিত মোদির কাছ থেকে তিনি ও তাঁর পরিবার কোনো সাহায্য নেননি।
ললিতকে নিয়ে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, তা কংগ্রেস আমলেরই সৃষ্টি করা। সে
জন্য প্রধানত দায়ী সাবেক কংগ্রেস অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
ললিত কেলেঙ্কারি নিয়ে সুষমা স্বরাজ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং ব্যপম কেলেঙ্কারিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের পদত্যাগের দাবিতে সংসদের অধিবেশন এত দিন স্বাভাবিকভাবে চলতে দেয়নি কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, আগে পদত্যাগ, পরে আলোচনা। অথচ অধিবেশন শেষ হওয়ার আগের দিন গতকাল সেই দাবি থেকে সরে এসে কংগ্রেস মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় রাজি হলো। তা সত্ত্বেও অবশ্য সুষমার বক্তব্য না শুনে হইচই করে সভা বানচালের চেষ্টা করেন দলটির সাংসদেরা। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সভা থেকে ওয়াক আউট করে।
শুরুটা অবশ্য বেশ নাটকীয়। আলোচনা শুরুর কিছু পরেই বিজেপির এক সাংসদ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কিছু ‘কু মন্তব্য’ করলে ক্ষুব্ধ সোনিয়া প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। সভাও মুলতবি হয়ে যায়। পরে সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ও স্পিকার জানান, কোনো কিছুই সভার কার্যবিবরণীতে নেই। থাকলে তা বাদ দেওয়া হবে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলোর জবাব দেন। তিনি আবারও বলেন, একজন অসুস্থ মহিলার চিকিৎসার জন্য তিনি সাহায্য করেছেন, যিনি কি না ভারতীয়। যিনি অপরাধী নন এবং যাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এটা অপরাধ হয়ে থাকলে সেই অপরাধ তিনি বারবার করবেন। দ্বিতীয়ত সুষমা দাবি করেন, ললিত মোদিকে পর্তুগাল যাওয়ার সুযোগ করে দিতে তিনি যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করেননি। শুধু বলেছিলেন, তাঁরা যদি তা করেন তা হলে ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্কে কোনো চিড় ধরবে না। তৃতীয়ত, ললিত মোদির হয়ে মামলায় লড়তে তাঁর স্বামী ও কন্যা কোনো টাকা নেননি। চতুর্থত, ললিতের সঙ্গে তাঁর দেওয়া-নেওয়ার কোনো সম্পর্ক কখনো ছিল না।
সুষমা পাল্টা আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বরং চার বছর ধরে কোনো ব্যবস্থা ললিত মোদির বিরুদ্ধে নেননি। ললিতকে ফেরত পেতে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের কাছে আবেদনও জানানো হয়নি। সাবেক আইপিএল কমিশনারের কাছ থেকে সুষমা কত টাকা পেয়েছেন জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুলের উদ্দেশে সুষমা বলেন, বরং তিনিই তাঁর মাকে জিজ্ঞেস করুন, বোফোর্স মামলায় কোয়াত্রোচির (ইতালীয় মধ্যস্থতাকারী) কাছ থেকে কত টাকা তিনি পেয়েছিলেন।
সুষমার বক্তব্যের জবাবে রাহুল কটাক্ষ করে বলেন, ‘উনি এমন মানবিক, যিনি সব গোপনে করেন। সংসদ ভবনে মঙ্গলবার তিনি আমার হাত ধরে বলেছিলেন, বেটা আমি কী খারাপ করলাম? রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দুর্নীতি বরদাশত করবেন না। অথচ আমি তা নিয়ে বলতে গেলে ওঁর দল চুপ করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস চুপ থাকবে না।’
ললিত কেলেঙ্কারি নিয়ে সুষমা স্বরাজ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং ব্যপম কেলেঙ্কারিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের পদত্যাগের দাবিতে সংসদের অধিবেশন এত দিন স্বাভাবিকভাবে চলতে দেয়নি কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, আগে পদত্যাগ, পরে আলোচনা। অথচ অধিবেশন শেষ হওয়ার আগের দিন গতকাল সেই দাবি থেকে সরে এসে কংগ্রেস মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় রাজি হলো। তা সত্ত্বেও অবশ্য সুষমার বক্তব্য না শুনে হইচই করে সভা বানচালের চেষ্টা করেন দলটির সাংসদেরা। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সভা থেকে ওয়াক আউট করে।
শুরুটা অবশ্য বেশ নাটকীয়। আলোচনা শুরুর কিছু পরেই বিজেপির এক সাংসদ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কিছু ‘কু মন্তব্য’ করলে ক্ষুব্ধ সোনিয়া প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। সভাও মুলতবি হয়ে যায়। পরে সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ও স্পিকার জানান, কোনো কিছুই সভার কার্যবিবরণীতে নেই। থাকলে তা বাদ দেওয়া হবে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলোর জবাব দেন। তিনি আবারও বলেন, একজন অসুস্থ মহিলার চিকিৎসার জন্য তিনি সাহায্য করেছেন, যিনি কি না ভারতীয়। যিনি অপরাধী নন এবং যাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এটা অপরাধ হয়ে থাকলে সেই অপরাধ তিনি বারবার করবেন। দ্বিতীয়ত সুষমা দাবি করেন, ললিত মোদিকে পর্তুগাল যাওয়ার সুযোগ করে দিতে তিনি যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করেননি। শুধু বলেছিলেন, তাঁরা যদি তা করেন তা হলে ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্কে কোনো চিড় ধরবে না। তৃতীয়ত, ললিত মোদির হয়ে মামলায় লড়তে তাঁর স্বামী ও কন্যা কোনো টাকা নেননি। চতুর্থত, ললিতের সঙ্গে তাঁর দেওয়া-নেওয়ার কোনো সম্পর্ক কখনো ছিল না।
সুষমা পাল্টা আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বরং চার বছর ধরে কোনো ব্যবস্থা ললিত মোদির বিরুদ্ধে নেননি। ললিতকে ফেরত পেতে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের কাছে আবেদনও জানানো হয়নি। সাবেক আইপিএল কমিশনারের কাছ থেকে সুষমা কত টাকা পেয়েছেন জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুলের উদ্দেশে সুষমা বলেন, বরং তিনিই তাঁর মাকে জিজ্ঞেস করুন, বোফোর্স মামলায় কোয়াত্রোচির (ইতালীয় মধ্যস্থতাকারী) কাছ থেকে কত টাকা তিনি পেয়েছিলেন।
সুষমার বক্তব্যের জবাবে রাহুল কটাক্ষ করে বলেন, ‘উনি এমন মানবিক, যিনি সব গোপনে করেন। সংসদ ভবনে মঙ্গলবার তিনি আমার হাত ধরে বলেছিলেন, বেটা আমি কী খারাপ করলাম? রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দুর্নীতি বরদাশত করবেন না। অথচ আমি তা নিয়ে বলতে গেলে ওঁর দল চুপ করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস চুপ থাকবে না।’
No comments