বিচার হয় না বলেই হত্যা করা হচ্ছে শিশুদের -সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আলোচনায় বক্তারা
দেশে অপরাধের বিচার হয় না। সে জন্য অপরাধীরা একের পর এক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হত্যাকাণ্ড থেকে রাজন, রাকিব, রবিউলের মতো শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সম্মিলিত নাগরিক সমাজ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকেরা এসব কথা বলেছেন। ‘পৈশাচিকতা বন্ধে নাগরিক দায়িত্ব’ শিরোনামের এই আলোচনা গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভর করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। রপ্তানি আয় ও প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। কিন্তু নেই জীবনের নিরাপত্তা। কিছু বর্বর পৈশাচিকভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তমনা মানুষ ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এর কারণ সমাজে মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে ঘাটতি ও অপরাধীদের বিচার না হওয়া।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, দেশের মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। মেধার চেয়ে আনুগত্য প্রাধান্য পাচ্ছে। মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না। আইনের শাসন ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। সে জন্য মানুষ দিন দিন হিংস্র হয়ে উঠছে। এ জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব দায়ী। অপরাধ প্রমাণের পরও তাদের বিচারের আওতায় নেওয়া হচ্ছে না। এতে প্রমাণিত হয়, রাজনৈতিক আশ্রয় থাকলে কোনো অপরাধীকেই আইন স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতেই হবে। তা না হলে হত্যাকারীরা আরও উৎসাহী হয়ে উঠবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক আবদুর রশিদ বলেন, দেশে যখন শিশুমৃত্যুর হার কমছে, তখন নরপিশাচেরা শিশুদের হত্যা করে যাচ্ছে। শিশুমৃত্যুর হার কমার বিষয়টি দেশের অর্জন। কিন্তু পিশাচেরা শিশুদের হত্যা করে সেই অর্জনে কালিমা মেখে দিচ্ছে। নাগরিক সমাজ দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে ব্যস্ত। কিন্তু দেশে যে মানবিক মূল্যবোধের বিপর্যয় ঘটেছে, সেই দিকে তাঁদের লক্ষ্য নেই। তাই এখন রাজনীতি বাদ দিয়ে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের মানবিক মূল্যবোধকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বিদেশি অপশক্তির সাহায্য নিয়ে জঙ্গিরা ব্লগার ও মুক্তমনা মানুষকে হত্যা করে যাচ্ছে। কিন্তু বিচার হচ্ছে না। তাতে অপরাধীরা উৎসাহী হয়ে শিশুদের হত্যা করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতায় এসব ঘটে যাচ্ছে। এর জন্য সরকারও দায়ী। তারা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিচ্ছে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, দেশে সরকারি দলের জনপ্রতিনিধিদের একটি বড় অংশ জামায়াতে ইসলামীর হয়ে কাজ করছে। গত কয়েক বছরে চার হাজার মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। একই সময়ে এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের সংখ্যা মাত্র ৭০০টি। রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে প্রতিদিন ছয়-সাত শ পত্রিকা বের হয়। আট-দশজন লোক মিলে অনলাইন থেকে সংবাদ নিয়ে রাতে এসব পত্রিকা বের করে। তারা এখন প্রেসক্লাবের সদস্য হতে চায়। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অপসংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আজিজুর রহমান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নওয়াজেশ আলী খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমান প্রমুখ।
সম্মিলিত নাগরিক সমাজ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকেরা এসব কথা বলেছেন। ‘পৈশাচিকতা বন্ধে নাগরিক দায়িত্ব’ শিরোনামের এই আলোচনা গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভর করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। রপ্তানি আয় ও প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। কিন্তু নেই জীবনের নিরাপত্তা। কিছু বর্বর পৈশাচিকভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তমনা মানুষ ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এর কারণ সমাজে মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে ঘাটতি ও অপরাধীদের বিচার না হওয়া।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, দেশের মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। মেধার চেয়ে আনুগত্য প্রাধান্য পাচ্ছে। মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না। আইনের শাসন ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। সে জন্য মানুষ দিন দিন হিংস্র হয়ে উঠছে। এ জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব দায়ী। অপরাধ প্রমাণের পরও তাদের বিচারের আওতায় নেওয়া হচ্ছে না। এতে প্রমাণিত হয়, রাজনৈতিক আশ্রয় থাকলে কোনো অপরাধীকেই আইন স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতেই হবে। তা না হলে হত্যাকারীরা আরও উৎসাহী হয়ে উঠবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক আবদুর রশিদ বলেন, দেশে যখন শিশুমৃত্যুর হার কমছে, তখন নরপিশাচেরা শিশুদের হত্যা করে যাচ্ছে। শিশুমৃত্যুর হার কমার বিষয়টি দেশের অর্জন। কিন্তু পিশাচেরা শিশুদের হত্যা করে সেই অর্জনে কালিমা মেখে দিচ্ছে। নাগরিক সমাজ দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে ব্যস্ত। কিন্তু দেশে যে মানবিক মূল্যবোধের বিপর্যয় ঘটেছে, সেই দিকে তাঁদের লক্ষ্য নেই। তাই এখন রাজনীতি বাদ দিয়ে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের মানবিক মূল্যবোধকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বিদেশি অপশক্তির সাহায্য নিয়ে জঙ্গিরা ব্লগার ও মুক্তমনা মানুষকে হত্যা করে যাচ্ছে। কিন্তু বিচার হচ্ছে না। তাতে অপরাধীরা উৎসাহী হয়ে শিশুদের হত্যা করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতায় এসব ঘটে যাচ্ছে। এর জন্য সরকারও দায়ী। তারা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিচ্ছে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, দেশে সরকারি দলের জনপ্রতিনিধিদের একটি বড় অংশ জামায়াতে ইসলামীর হয়ে কাজ করছে। গত কয়েক বছরে চার হাজার মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। একই সময়ে এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের সংখ্যা মাত্র ৭০০টি। রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে প্রতিদিন ছয়-সাত শ পত্রিকা বের হয়। আট-দশজন লোক মিলে অনলাইন থেকে সংবাদ নিয়ে রাতে এসব পত্রিকা বের করে। তারা এখন প্রেসক্লাবের সদস্য হতে চায়। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অপসংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আজিজুর রহমান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নওয়াজেশ আলী খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমান প্রমুখ।
No comments