রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে পরিবহনব্যবস্থা -ব্র্যাকের গবেষণা
গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য গণমাধ্যমে চালকদের দায়ী করা হয়। কিন্তু চলাচলকারী যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, সড়কগুলো মেরামত না হওয়া এবং মহাসড়কে চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টিকারী অবকাঠামো থাকার কারণেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনের মিলনায়তনে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ও সোশ্যাল চেঞ্জ বিভাগের একটি গবেষণার ফলাফল তুলে ধরতে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরার পর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দেশের পরিবহনব্যবস্থার মধ্যে যদি শুধু চাঁদাবাজির সমস্যা থাকত, তাহলে না হয় কিছুটা হলেও মানা যেত। কিন্তু এখন এমন অবস্থা হয়েছে, দেশের প্রতিটি জেলায় পরিবহনব্যবস্থা রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, সেখানে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ আর নেই। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে যে ফিটনেস পাওয়ার যোগ্য নয় এমন যান তা পেয়ে রাস্তায় নামছে। এ কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসব দুর্ঘটনা দূর করতে ফিটনেস সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে সড়ক নিরাপত্তার প্রতিটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে।
ব্র্যাকের ‘প্রোমোটিং সেফ রোড কোড’ প্রকল্পের আওতায় করা গবেষণাটিতে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে দেশে মোট ১ হাজার ৮১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে ২ হাজার ৩৫১ জন। এর আগের বছর ২০১৩ সালে ১ হাজার ৩১৩টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৪৫ জন মারা যায়।
২০১৪ সালের দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১ হাজার ৭০৫ জন পুরুষ, ৩১৪ জন নারী ও ৩৩২টি শিশু। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৫ হাজার ৪০৮ জন। দেশের শীর্ষ তিনটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণ করে করা ওই গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন ব্র্যাকের প্রিসিলা রাজ ও এম এম মামুনুর রশিদ।
গবেষণাটিতে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে ঘটা দুর্ঘটনাগুলোর ৮০টি মহাসড়কে ঘটেছে। সরকারি পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। সংস্থাটির বাস সর্বোচ্চ ১৯ বার দুর্ঘটনায় পড়েছে। এর পরেই রয়েছে শ্যামলী পরিবহন নয়বার; হানিফ পরিবহন সাতবার; এনা পরিবহন পাঁচবার; সোহাগ পরিবহন ও বলাকা পরিবহন চারবার করে; সাকুরা, ঈগল ও দিবানিশি পরিবহন তিনবার করে দুর্ঘটনায় পড়েছে।
গবেষণা অনুযায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পিকনিকের বাস ছয়বার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দুবার, অন্যান্য শিক্ষার্থী পরিবহনকারী বাস দুবার, কর্মচারী পরিবহনকারী বাস দুবার ও পুলিশ বাহিনীর একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
এ ছাড়া, ২০১৪ সালে ৩৩৮টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ৪২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৩২ জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার সবচেয়ে বেশি ঘটেছে আন্ত-উপজেলা সড়কে। ৫২৫ জন পথচারী দুর্ঘটনায় মারা গেছে। সাতটি অ্যাম্বুলেন্সও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, বারডেমের অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ শিল্প বণিক সমিতির সাবেক পরিচালক আবদুল হক, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রকল্পের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনের মিলনায়তনে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ও সোশ্যাল চেঞ্জ বিভাগের একটি গবেষণার ফলাফল তুলে ধরতে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরার পর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দেশের পরিবহনব্যবস্থার মধ্যে যদি শুধু চাঁদাবাজির সমস্যা থাকত, তাহলে না হয় কিছুটা হলেও মানা যেত। কিন্তু এখন এমন অবস্থা হয়েছে, দেশের প্রতিটি জেলায় পরিবহনব্যবস্থা রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, সেখানে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ আর নেই। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে যে ফিটনেস পাওয়ার যোগ্য নয় এমন যান তা পেয়ে রাস্তায় নামছে। এ কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসব দুর্ঘটনা দূর করতে ফিটনেস সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে সড়ক নিরাপত্তার প্রতিটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে।
ব্র্যাকের ‘প্রোমোটিং সেফ রোড কোড’ প্রকল্পের আওতায় করা গবেষণাটিতে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে দেশে মোট ১ হাজার ৮১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে ২ হাজার ৩৫১ জন। এর আগের বছর ২০১৩ সালে ১ হাজার ৩১৩টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৪৫ জন মারা যায়।
২০১৪ সালের দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১ হাজার ৭০৫ জন পুরুষ, ৩১৪ জন নারী ও ৩৩২টি শিশু। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৫ হাজার ৪০৮ জন। দেশের শীর্ষ তিনটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণ করে করা ওই গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন ব্র্যাকের প্রিসিলা রাজ ও এম এম মামুনুর রশিদ।
গবেষণাটিতে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে ঘটা দুর্ঘটনাগুলোর ৮০টি মহাসড়কে ঘটেছে। সরকারি পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। সংস্থাটির বাস সর্বোচ্চ ১৯ বার দুর্ঘটনায় পড়েছে। এর পরেই রয়েছে শ্যামলী পরিবহন নয়বার; হানিফ পরিবহন সাতবার; এনা পরিবহন পাঁচবার; সোহাগ পরিবহন ও বলাকা পরিবহন চারবার করে; সাকুরা, ঈগল ও দিবানিশি পরিবহন তিনবার করে দুর্ঘটনায় পড়েছে।
গবেষণা অনুযায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পিকনিকের বাস ছয়বার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দুবার, অন্যান্য শিক্ষার্থী পরিবহনকারী বাস দুবার, কর্মচারী পরিবহনকারী বাস দুবার ও পুলিশ বাহিনীর একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
এ ছাড়া, ২০১৪ সালে ৩৩৮টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ৪২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৩২ জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার সবচেয়ে বেশি ঘটেছে আন্ত-উপজেলা সড়কে। ৫২৫ জন পথচারী দুর্ঘটনায় মারা গেছে। সাতটি অ্যাম্বুলেন্সও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, বারডেমের অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ শিল্প বণিক সমিতির সাবেক পরিচালক আবদুল হক, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রকল্পের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হোসেন।
No comments