বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময়: অনিয়ম জানাল ইউজিসি, ক্যাম্পাসের জন্য সময় বৃদ্ধির ইঙ্গিত মন্ত্রীর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিক ও উপাচার্যদের সামনে এগুলোর অধিকাংশের নানা অনিয়মের বিবরণ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরল। দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে চতুর্থ দফায় সময় বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব অনিয়ম ও দাবি তুলে ধরা হয়। ইউজিসি আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর বক্তব্য দেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস চালাচ্ছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই, কনিষ্ঠ পর্যায়ের শিক্ষক দিয়ে বেশির ভাগ কোর্স চালানো হচ্ছে। পূর্ণকালীন শিক্ষকের চেয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক বেশি। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষিত তহবিলের সিংহভাগই তুলে নিয়েছে।
আবদুল মান্নান বলেন, ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় নামমাত্র গবেষণা করেছে। ইউজিসি ও সরকার মনোনীত সদস্যদের সিন্ডিকেট সভায় আমন্ত্রণ জানায় না। আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্যদের কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড বরখাস্ত করছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ হয় না। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্যানেল প্রস্তাব পাঠায় না। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। বছরের পর বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেয় না।
ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, আইনানুযায়ী অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ৬ শতাংশ শিক্ষার্থীকে (৩ শতাংশ দরিদ্র ও ৩ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা) বিনা বেতনে পড়ায় না। কয়েকটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে। আবার বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষদের দ্বন্দ্বের কারণেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। ইউজিসির সীমিত ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘পুলিশগিরি করা আমাদের কাজ নয়। তালা-চাবিও আমাদের কাছে নেই। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে মন্ত্রণালয়।’
ইউজিসির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে সময় বৃদ্ধি, আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে বক্তব্য দেন মালিকদের সংগঠন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দূর্গাদাস ভট্টাচার্য, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অনুপম সেন প্রমুখ।
তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো শর্ত মেনে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি, তাদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবস্থা জানিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন ইউজিসির কাছে দিতে হবে। এরপর এই প্রতিবেদন দেখে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা অবিবেচক হব না।’
তৃতীয় দফার সময় অনুযায়ী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে ক্যাম্পাস করে কার্যক্রম চালানোর কথা। ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত পুরোনোগুলোর মধ্যে ১৭টি নিজস্ব ক্যাম্পাস করেছে। সাতটি ট্রাস্ট বা ফাউন্ডেশনের জমিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। নয়টি নির্মাণাধীন ভবনে আংশিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১৭টির প্রক্রিয়াধীন। তিনটি এখনো জমি কেনেনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব অনিয়ম ও দাবি তুলে ধরা হয়। ইউজিসি আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর বক্তব্য দেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস চালাচ্ছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই, কনিষ্ঠ পর্যায়ের শিক্ষক দিয়ে বেশির ভাগ কোর্স চালানো হচ্ছে। পূর্ণকালীন শিক্ষকের চেয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক বেশি। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষিত তহবিলের সিংহভাগই তুলে নিয়েছে।
আবদুল মান্নান বলেন, ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় নামমাত্র গবেষণা করেছে। ইউজিসি ও সরকার মনোনীত সদস্যদের সিন্ডিকেট সভায় আমন্ত্রণ জানায় না। আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্যদের কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড বরখাস্ত করছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ হয় না। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্যানেল প্রস্তাব পাঠায় না। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। বছরের পর বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেয় না।
ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, আইনানুযায়ী অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ৬ শতাংশ শিক্ষার্থীকে (৩ শতাংশ দরিদ্র ও ৩ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা) বিনা বেতনে পড়ায় না। কয়েকটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব হচ্ছে। আবার বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষদের দ্বন্দ্বের কারণেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। ইউজিসির সীমিত ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘পুলিশগিরি করা আমাদের কাজ নয়। তালা-চাবিও আমাদের কাছে নেই। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে মন্ত্রণালয়।’
ইউজিসির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে সময় বৃদ্ধি, আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে বক্তব্য দেন মালিকদের সংগঠন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দূর্গাদাস ভট্টাচার্য, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অনুপম সেন প্রমুখ।
তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো শর্ত মেনে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি, তাদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবস্থা জানিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন ইউজিসির কাছে দিতে হবে। এরপর এই প্রতিবেদন দেখে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা অবিবেচক হব না।’
তৃতীয় দফার সময় অনুযায়ী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে ক্যাম্পাস করে কার্যক্রম চালানোর কথা। ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত পুরোনোগুলোর মধ্যে ১৭টি নিজস্ব ক্যাম্পাস করেছে। সাতটি ট্রাস্ট বা ফাউন্ডেশনের জমিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। নয়টি নির্মাণাধীন ভবনে আংশিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১৭টির প্রক্রিয়াধীন। তিনটি এখনো জমি কেনেনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন।
No comments