পাথরঘাটায় তিন দিনে ১৮ শিক্ষার্থী অজ্ঞান
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারসহ তিন দিনে ১৮ জন শিক্ষার্থীর হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ দুপুরে স্থানীয় হাড়িটানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চার দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে তিন দিনে ১৬ শিক্ষার্থী অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটে। আজ সকালেও তিনজন অজ্ঞান হয়।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, উপজেলার হাড়িটানা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাবেয়া, সপ্তম শ্রেণির নিলুফা ও লামিয়ার হাত-পায়ে খিঁচুনি দেখা দেয় এবং তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে একই বিদ্যালয়ে আটজন ও মঙ্গলবার পাঁচ শিক্ষার্থী অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা শহরের তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমির আরও তিন শিক্ষার্থী একইভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসব শিক্ষার্থীকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আজ দুপুর পর্যন্ত ১৩ জন চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরে গেছে।
হাড়িটানা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল কুমার মিত্রের ভাষ্যমতে, তিন দিনে তাঁর বিদ্যালয়ে ১৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরা হলো ষষ্ঠ শ্রেণির রাবেয়া ও কারিমা আক্তার, সপ্তম শ্রেণির রুমানা আক্তার, নিলুফা, লামিয়া আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌসী ও সানজিদা আক্তার, অষ্টম শ্রেণির নাহিদা আক্তার, মাইমুনা আক্তার ও মুন্নি আক্তার, নবম শ্রেণির আফরোজা আক্তার, কানিজ ফাতিমা ও দশম শ্রেণির নাদিরা আক্তার।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণমনস্তাত্ত্বিক (হিস্টিরিয়া) জনিত কারণে এসব শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছি। অতিরিক্ত পড়াশোনা, মানসিক চাপ, শারীরিক দুর্বলতার কারণে এমনটা হতে পারে।’
হাড়িটানা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস খান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক দূর করতে আজ দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় এক জরুরি সভায় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত তিন দিনে এসব শিক্ষার্থী গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। মানসিক অবসাদ, আতঙ্ক, দুর্বলতার কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। এসব শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আরও কোনো শিক্ষার্থী এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছি।’
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, উপজেলার হাড়িটানা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাবেয়া, সপ্তম শ্রেণির নিলুফা ও লামিয়ার হাত-পায়ে খিঁচুনি দেখা দেয় এবং তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে একই বিদ্যালয়ে আটজন ও মঙ্গলবার পাঁচ শিক্ষার্থী অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা শহরের তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমির আরও তিন শিক্ষার্থী একইভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসব শিক্ষার্থীকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আজ দুপুর পর্যন্ত ১৩ জন চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরে গেছে।
হাড়িটানা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল কুমার মিত্রের ভাষ্যমতে, তিন দিনে তাঁর বিদ্যালয়ে ১৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরা হলো ষষ্ঠ শ্রেণির রাবেয়া ও কারিমা আক্তার, সপ্তম শ্রেণির রুমানা আক্তার, নিলুফা, লামিয়া আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌসী ও সানজিদা আক্তার, অষ্টম শ্রেণির নাহিদা আক্তার, মাইমুনা আক্তার ও মুন্নি আক্তার, নবম শ্রেণির আফরোজা আক্তার, কানিজ ফাতিমা ও দশম শ্রেণির নাদিরা আক্তার।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণমনস্তাত্ত্বিক (হিস্টিরিয়া) জনিত কারণে এসব শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছি। অতিরিক্ত পড়াশোনা, মানসিক চাপ, শারীরিক দুর্বলতার কারণে এমনটা হতে পারে।’
হাড়িটানা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস খান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক দূর করতে আজ দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় এক জরুরি সভায় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত তিন দিনে এসব শিক্ষার্থী গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। মানসিক অবসাদ, আতঙ্ক, দুর্বলতার কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। এসব শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আরও কোনো শিক্ষার্থী এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছি।’
No comments