সওজের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ by কামরান পারভেজ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কলতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফটকের পাশে সওজের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো |
ময়মনসিংহের
গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সড়ক ও
জনপথের (সওজ) জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
শাহ রফিকুল ইসলাম এ স্থাপনা তৈরি করাচ্ছেন।
রফিকুল স্থানীয় সাংসদ মজিবুর রহমান ফকিরের ভাতিজা। সাংসদের সম্মতি নিয়েই এ নির্মাণকাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কলতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ফটক ঘেঁষে সওজের আনুমানিক ৪০ ফুট জায়গায় মোট আটটি দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ফটকের অপর পাশে বিদ্যালয় ভবনের সঙ্গে আরও একটি দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। দোকানঘর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় দুজন বাসিন্দা বলেন, দোকানঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, সওজের জায়গাটি তারা মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। মাঠে পাকা দোকান নির্মাণের ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার জায়গা অনেক কমে গেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কথা বলতে চাননি। একজন সহকারী শিক্ষক এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতিকে জিজ্ঞেস করতে বলেন। বিদ্যালয়ের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে প্রধান শিক্ষক বদলি হয়ে যান। নতুন প্রধান শিক্ষক এখনো যোগ দেননি।
রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে মহাসড়ক। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয় দোকান ঘেঁষে হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে। তবে দোকান নির্মাণের জন্য সওজ বা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এমপি স্যার (মজিবুর রহমান) সবকিছু জানেন। আপনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন।’
এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার রাতে প্রথম আলোর ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান ফকিরকে ফোন করলে তিনি বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। আপনি (সাংবাদিক) এসে দেখেন। আর ওই জমি সওজের নয়। আমি তাদের এসে মাপজোখ করতে বলেছি।’ তাহলে এই জমি আপনার এবং আপনিই সেখানে দোকান নির্মাণ করাচ্ছেন—প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন, ‘জমি আমার না, দোকানও আমি বানাই না।’
ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠে দোকান তৈরি হচ্ছে জানতে পেরে আমি গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খবর নিতে বলেছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, ওই জায়গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের।’
মহাসড়কের ওই অংশ কিশোরগঞ্জ সওজের অধীন। কিশোরগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে কেউ কোনো বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি করতে পারে না। ইতিমধ্যে ওই মহাসড়কে স্থাপনা তৈরির অভিযোগে আটটি মামলা করেছে সওজ। এ বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
রফিকুল স্থানীয় সাংসদ মজিবুর রহমান ফকিরের ভাতিজা। সাংসদের সম্মতি নিয়েই এ নির্মাণকাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কলতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ফটক ঘেঁষে সওজের আনুমানিক ৪০ ফুট জায়গায় মোট আটটি দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ফটকের অপর পাশে বিদ্যালয় ভবনের সঙ্গে আরও একটি দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। দোকানঘর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় দুজন বাসিন্দা বলেন, দোকানঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, সওজের জায়গাটি তারা মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। মাঠে পাকা দোকান নির্মাণের ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার জায়গা অনেক কমে গেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কথা বলতে চাননি। একজন সহকারী শিক্ষক এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতিকে জিজ্ঞেস করতে বলেন। বিদ্যালয়ের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে প্রধান শিক্ষক বদলি হয়ে যান। নতুন প্রধান শিক্ষক এখনো যোগ দেননি।
রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে মহাসড়ক। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয় দোকান ঘেঁষে হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে। তবে দোকান নির্মাণের জন্য সওজ বা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এমপি স্যার (মজিবুর রহমান) সবকিছু জানেন। আপনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন।’
এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার রাতে প্রথম আলোর ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান ফকিরকে ফোন করলে তিনি বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। আপনি (সাংবাদিক) এসে দেখেন। আর ওই জমি সওজের নয়। আমি তাদের এসে মাপজোখ করতে বলেছি।’ তাহলে এই জমি আপনার এবং আপনিই সেখানে দোকান নির্মাণ করাচ্ছেন—প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন, ‘জমি আমার না, দোকানও আমি বানাই না।’
ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠে দোকান তৈরি হচ্ছে জানতে পেরে আমি গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খবর নিতে বলেছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, ওই জায়গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের।’
মহাসড়কের ওই অংশ কিশোরগঞ্জ সওজের অধীন। কিশোরগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে কেউ কোনো বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি করতে পারে না। ইতিমধ্যে ওই মহাসড়কে স্থাপনা তৈরির অভিযোগে আটটি মামলা করেছে সওজ। এ বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
No comments