রংতুলিতে সে রাতের কাহিনি: বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানালেন শিল্পীরা by জাহাঙ্গীর আলম
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে ছবি আঁকছেন দেশের বরেণ্য শিল্পীরা। আয়োজনটির নাম ‘রংতুলিতে শোকগাথা’ l প্রথম আলো |
তাঁরা
আঁকছিলেন ছবি। রং আর তুলিতে ফুটে উঠছিল বঙ্গবন্ধুর অবয়ব। প্রাধান্য
পেয়েছিল ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ রাতের ঘটনা। শোকার্ত দিনটি মূর্ত হয়ে উঠছিল
বরেণ্য শিল্পীদের ক্যানভাসে ক্যানভাসে।
আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী স্মরণ করে ছিল গত বুধবারের এই আয়োজন। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘রংতুলিতে শোকগাথা’। এটি ছিল ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে চিত্রশিল্পীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। অর্ধশতাধিক শিল্পী এদিন ছবি এঁকে বাংলাদেশের স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
মুস্তাফা মনোয়ার, সমরজিৎ রায়চৌধুরী, আবুল বারক আলভী, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, আবদুল মান্নান, বীরেন সোম, জামাল আহমেদ, শামসুদ্দোহা, নিসার হোসেন, শেখ আফজাল, মো. মনিরুজ্জামান, খালিদ মাহমুদ মিঠু, কনকচাঁপা চাকমা, অশোক কর্মকার, হেলাল উদ্দিন সরকার, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, বিপাশা হায়াত প্রমুখ শিল্পীর উপস্থিতিতে এ আয়োজন পেয়েছিল শৈল্পিক ভাষা। এ ভাষা শোকের, এ ভাষা শ্রদ্ধার।
এক মনে আঁকছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায়চৌধুরী। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে কেমন লাগছে—এ প্রশ্ন নিয়ে দাঁড়ালাম তাঁর সামনে। প্রবীণ শিল্পী বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চল্লিশতম প্রয়াণবার্ষিকীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেওয়ার ব্যাপারটা আমাকে আলোড়িত করেছে। এতসংখ্যক শিল্পী সাধারণত সব ধরনের অনুষ্ঠানে যান না। যাঁদের অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা প্রায় সকলেই এসেছেন। শিল্পীরা শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ছবি এঁকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যেন চিরস্থায়ী হয়ে থাকে তা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকী এলেই শিল্পীরা সব সময় রংতুলি দিয়ে স্মরণ করেন। শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অনুরাগের কথা মাথায় রেখেই শিল্পীরা সব সময় এগিয়ে আসেন। সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেটা এক নিদারুণ হৃদয়বিদারক ব্যাপার।’
একই প্রশ্নের উত্তর দিলেন আবুল বারক আলভী, ‘১৫ আগস্ট সকলকে নাড়া দিয়ে যায় সব সময়। শিল্পীসমাজকেও তা একইভাবে আঘাত করে। এবার একেবারেই মনের তাগিদে সব শিল্পী বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকীতে ছবি এঁকে ১৫ আগস্টকে স্মরণ করলাম। যে ১৫ আগস্টকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা দীর্ঘদিন চলে আসছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে শিল্পীসমাজ আরও অনেক বেশি উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করেছে।’
শিল্পী বীরেন সোম বিষয়বস্তু হিসেবে নিয়েছেন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতকে, যার প্রতিচ্ছবি ছিল ১৫ আগস্ট। তিনি বললেন, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বিশ্বমানের নেতাকে নিয়ে অনেকে মিলে এ রকম ছবি আকার সুযোগ আগে সে রকমভাবে হয়নি। যে ভবনে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, সেই ভবনে এসে ছবি আঁকার সময় অন্য রকম একটা আবেগ কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে ভালো লাগা ও কষ্ট—দুই ধরনের অনুভূতিই কাজ করছে।
স্পেনপ্রবাসী শিল্পী মনিরুল ইসলাম বললেন, ‘বঙ্গবন্ধু বড়মাপের মানুষ ছিলেন। আমরা শিল্পীরা রং-তুলি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মকে তুলে আনার চেষ্টা করছি।’
শিল্পের কোনো ভাষা নেই। এখানে আজ যেসব শিল্পী বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, তাঁদের কারও ওপর কোনো কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। যে যাঁর মতো করে বঙ্গবন্ধুকে তাঁরা তুলে এনেছেন।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাহাবুব উল আলম হানিফ ছবি এঁকে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী স্মরণ করে ছিল গত বুধবারের এই আয়োজন। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘রংতুলিতে শোকগাথা’। এটি ছিল ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে চিত্রশিল্পীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। অর্ধশতাধিক শিল্পী এদিন ছবি এঁকে বাংলাদেশের স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
মুস্তাফা মনোয়ার, সমরজিৎ রায়চৌধুরী, আবুল বারক আলভী, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, আবদুল মান্নান, বীরেন সোম, জামাল আহমেদ, শামসুদ্দোহা, নিসার হোসেন, শেখ আফজাল, মো. মনিরুজ্জামান, খালিদ মাহমুদ মিঠু, কনকচাঁপা চাকমা, অশোক কর্মকার, হেলাল উদ্দিন সরকার, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, বিপাশা হায়াত প্রমুখ শিল্পীর উপস্থিতিতে এ আয়োজন পেয়েছিল শৈল্পিক ভাষা। এ ভাষা শোকের, এ ভাষা শ্রদ্ধার।
এক মনে আঁকছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায়চৌধুরী। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে কেমন লাগছে—এ প্রশ্ন নিয়ে দাঁড়ালাম তাঁর সামনে। প্রবীণ শিল্পী বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চল্লিশতম প্রয়াণবার্ষিকীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেওয়ার ব্যাপারটা আমাকে আলোড়িত করেছে। এতসংখ্যক শিল্পী সাধারণত সব ধরনের অনুষ্ঠানে যান না। যাঁদের অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা প্রায় সকলেই এসেছেন। শিল্পীরা শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ছবি এঁকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যেন চিরস্থায়ী হয়ে থাকে তা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকী এলেই শিল্পীরা সব সময় রংতুলি দিয়ে স্মরণ করেন। শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অনুরাগের কথা মাথায় রেখেই শিল্পীরা সব সময় এগিয়ে আসেন। সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেটা এক নিদারুণ হৃদয়বিদারক ব্যাপার।’
একই প্রশ্নের উত্তর দিলেন আবুল বারক আলভী, ‘১৫ আগস্ট সকলকে নাড়া দিয়ে যায় সব সময়। শিল্পীসমাজকেও তা একইভাবে আঘাত করে। এবার একেবারেই মনের তাগিদে সব শিল্পী বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকীতে ছবি এঁকে ১৫ আগস্টকে স্মরণ করলাম। যে ১৫ আগস্টকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা দীর্ঘদিন চলে আসছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে শিল্পীসমাজ আরও অনেক বেশি উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করেছে।’
শিল্পী বীরেন সোম বিষয়বস্তু হিসেবে নিয়েছেন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতকে, যার প্রতিচ্ছবি ছিল ১৫ আগস্ট। তিনি বললেন, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বিশ্বমানের নেতাকে নিয়ে অনেকে মিলে এ রকম ছবি আকার সুযোগ আগে সে রকমভাবে হয়নি। যে ভবনে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, সেই ভবনে এসে ছবি আঁকার সময় অন্য রকম একটা আবেগ কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে ভালো লাগা ও কষ্ট—দুই ধরনের অনুভূতিই কাজ করছে।
স্পেনপ্রবাসী শিল্পী মনিরুল ইসলাম বললেন, ‘বঙ্গবন্ধু বড়মাপের মানুষ ছিলেন। আমরা শিল্পীরা রং-তুলি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মকে তুলে আনার চেষ্টা করছি।’
শিল্পের কোনো ভাষা নেই। এখানে আজ যেসব শিল্পী বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, তাঁদের কারও ওপর কোনো কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। যে যাঁর মতো করে বঙ্গবন্ধুকে তাঁরা তুলে এনেছেন।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাহাবুব উল আলম হানিফ ছবি এঁকে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
No comments