দুই ছেলের কাকে কিডনি দেবেন মা?
নাড়ি ছেঁড়া ধন দুই ছেলে। দুজনেরই এমন এক সমস্যা, যা তাদের কিডনিগুলোকে একপর্যায়ে অকার্যকর করে দেবে। এ পরিস্থিতিতে মা পারেন তাঁর একটি কিডনি দিতে। কিন্তু দুই সন্তানের মধ্যে কাকে সে কিডনিটা দেবেন?
এমন জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছেন চীনের লিয়ান রংহুয়া (৫১)। লিয়ানের দুই ছেলে লি হাইকিং (২৬) ও হাইসং (২৪)। দুজনই কিডনির জটিল রোগে ভুগছেন। বাঁচতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। মায়ের কাছ থেকে পাওয়া যাবে একটি মাত্র কিডনি। প্রয়োজন আরেকটি কিডনির। সে ক্ষেত্রে বাবার কিডনিও নিতে পারছেন না তাঁরা। তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী।
মা লিয়ান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘জানি না কেন আমার দুই ছেলের এমন অসুখ হলো! ’
লি হাইকিং অবশ্য ছোট ভাইকে মায়ের কিডনি দেওয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছোট ভাইকে কিডনিটি দিতে চাই। ওর বয়স কম। তাই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
অসুস্থতার কারণে মেডিকেলের পড়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন লি হাইকিং। তিনি আশা করেন, খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই কারও না কারও কাছ থেকে তিনি কিডনি পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘যদি না পাই, তাহলে আমাকে ডায়ালাইসিস করাতে হবে।’
চীন গত কয়েক বছর ধরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে এ চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। বিশ্বজুড়ে এর কঠোর নিন্দা শুরু হলে এ বছরের শুরুর দিকে এভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন যারা স্বেচ্ছায় অঙ্গ দান করতে চায়, তাদের অঙ্গই কেবল নেওয়া হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জাতীয় ব্যাংক। যাদের অঙ্গ অন্যদের সঙ্গে বেশি খাপ খাপে এবং যেসব অঙ্গ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, এসব অঙ্গ সংগ্রহের জন্য এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এতে অঙ্গ দানে মানুষের ওপর জোরজুলুম বাড়বে।
সরকার জানায়, এ বছর দেশে ১২ হাজার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রয়োজন তিন লাখ মানুষের। এ চাহিদাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে কালোবাজার। কয়েক সপ্তাহ অনুসন্ধান চালিয়ে বিবিসি এর প্রমাণ পেয়েছে। দেখা গেছে, ২১ বছরের এক তরুণ জুয়া খেলতে গিয়ে ধার করা অর্থ পরিশোধে নিজের একটি কিডনি সাত হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই যুবক জানান, পাচারকারীরা অনলাইনে এই বেচাকেনার কাজটি সারে গোপনে। তাঁর তথ্যমতে, তাঁকে প্রথমে একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁকে কয়েক সপ্তাহ একটি হোটেলে রাখা হয়। এরপর একদিন তাঁর চোখ বেঁধে তাঁকে একটি গাড়িতে করে একটি খামারবাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে, নিজেকে অন্য একটি খামারবাড়িতে আবিষ্কার করেন।
এমন জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছেন চীনের লিয়ান রংহুয়া (৫১)। লিয়ানের দুই ছেলে লি হাইকিং (২৬) ও হাইসং (২৪)। দুজনই কিডনির জটিল রোগে ভুগছেন। বাঁচতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। মায়ের কাছ থেকে পাওয়া যাবে একটি মাত্র কিডনি। প্রয়োজন আরেকটি কিডনির। সে ক্ষেত্রে বাবার কিডনিও নিতে পারছেন না তাঁরা। তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী।
মা লিয়ান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘জানি না কেন আমার দুই ছেলের এমন অসুখ হলো! ’
লি হাইকিং অবশ্য ছোট ভাইকে মায়ের কিডনি দেওয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছোট ভাইকে কিডনিটি দিতে চাই। ওর বয়স কম। তাই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
অসুস্থতার কারণে মেডিকেলের পড়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন লি হাইকিং। তিনি আশা করেন, খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই কারও না কারও কাছ থেকে তিনি কিডনি পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘যদি না পাই, তাহলে আমাকে ডায়ালাইসিস করাতে হবে।’
চীন গত কয়েক বছর ধরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে এ চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। বিশ্বজুড়ে এর কঠোর নিন্দা শুরু হলে এ বছরের শুরুর দিকে এভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন যারা স্বেচ্ছায় অঙ্গ দান করতে চায়, তাদের অঙ্গই কেবল নেওয়া হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জাতীয় ব্যাংক। যাদের অঙ্গ অন্যদের সঙ্গে বেশি খাপ খাপে এবং যেসব অঙ্গ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, এসব অঙ্গ সংগ্রহের জন্য এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এতে অঙ্গ দানে মানুষের ওপর জোরজুলুম বাড়বে।
সরকার জানায়, এ বছর দেশে ১২ হাজার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রয়োজন তিন লাখ মানুষের। এ চাহিদাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে কালোবাজার। কয়েক সপ্তাহ অনুসন্ধান চালিয়ে বিবিসি এর প্রমাণ পেয়েছে। দেখা গেছে, ২১ বছরের এক তরুণ জুয়া খেলতে গিয়ে ধার করা অর্থ পরিশোধে নিজের একটি কিডনি সাত হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই যুবক জানান, পাচারকারীরা অনলাইনে এই বেচাকেনার কাজটি সারে গোপনে। তাঁর তথ্যমতে, তাঁকে প্রথমে একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁকে কয়েক সপ্তাহ একটি হোটেলে রাখা হয়। এরপর একদিন তাঁর চোখ বেঁধে তাঁকে একটি গাড়িতে করে একটি খামারবাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে, নিজেকে অন্য একটি খামারবাড়িতে আবিষ্কার করেন।
No comments