হল-মার্ক কেলেঙ্কারি: নন-ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধান শুরু by মোর্শেদ নোমান
অবশেষে হল-মার্ক কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড অংশের দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি কমিশনের বিশেষ সভায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, সংস্থার উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযোগটির অনুসন্ধান করবে। দলে আর কারা থাকছেন, তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
একই কর্মকর্তার নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল হল-মার্ক কেলেঙ্কারির ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ করে। ওই দলের অধিকাংশ কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকার বাইরে দুদকের বিভিন্ন কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই হল-মার্ক কেলেঙ্কারির নন ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধানে আগের সদস্যরাই থাকবেন, না দল পুনর্গঠন করা হবে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেনি দুদক সূত্র।
দুদকের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থায়ন বিভাগ থেকে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের কাছে প্রায় ছয় হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে এক হাজার ৫৮১ বিলের বিপরীতে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর ২২ জুন কমিশনের নিয়মিত সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো হল-মার্কের নন-ফান্ডেড অংশের তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তৈরি করে কমিশনের কাছে উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সারসংক্ষেপ কমিশনের বৈঠকে উপস্থাপিত হওয়ার পর হল-মার্ক কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
দুদক সূত্র জানায়, হল-মার্কসহ ছয়টি কোম্পানি সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ৩ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ কেলেঙ্কারি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে ২০১২ সালে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের পরিশোধ করা ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা অনুসন্ধান শেষে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হল-মার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ডিজিএম এ কে এম আজিজুর রহমানসহ ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা করে দুদক। হল-মার্কের এমডি তানভীরসহ কয়েকজন আসামি বর্তমানে কারাগারে। এ কে এম আজিজুর রহমান মারা গেছেন। এসব মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। ৩৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাকি পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ২৭টি।
কিন্তু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে হল-মার্ককে মালামাল সরবরাহের নামে নন-ফান্ডেড দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে এত দিন অনুসন্ধান শুরু করা যায়নি। এ কারণে দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান আজও শেষ করা যায়নি।
হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে হল-মার্কের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ ছাড়ের পাশাপাশি হল-মার্ক গ্রুপকে পণ্য সরবরাহের নামে কিছু বিলের বিপরীতে ৩৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও অর্থ তুলে নেওয়া হয়। বিলগুলোর বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ওই সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে স্বীকৃতিপত্র দেওয়া হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে হল-মার্কের নামে যে পরিমাণ অর্থ ছাড় হয়েছে, সেটা ফান্ডেড। আর এ প্রক্রিয়ায় অন্য ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের কাছে যা পাবে, তা নন-ফান্ডেড। সোনালী ব্যাংকের তদন্তে নন-ফান্ডেড অংশের দেড় হাজার কোটি টাকার বিপরীতে মোট ২ হাজার ১৮৬টি বিল জাল-জালিয়াতিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব বিলের বিপরীতে ৩৭টি ব্যাংকের ১১০টি শাখা থেকে তুলে নেওয়া হয় সেই দেড় হাজার কোটি টাকা। তবে বিলের বিপরীতে অর্থ ছাড় করা হয়নি, যা সোনালী ব্যাংকের জন্য নন-ফান্ডেড।
সোনালী ব্যাংক সূত্র জানায়, দুদক একাধিকার চিঠি দিয়ে ওই প্রতিবেদন চেয়েছিল। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থেই ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ১ হাজার ৫৮১টি বিলের প্রতিবেদন দুদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি-সম্পর্কিত নন-ফান্ডেড অংশের আর কোনো প্রতিবেদন তাদের কাছে নেই।
জানা গেছে, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি ধরা পড়ার পর সোনালী ব্যাংক নন-ফান্ডেড অংশের দেড় হাজার কোটি টাকার হিসাব বের করলেও এখন বলছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্য থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে দুদকে। কারণ হিসেবে ব্যাংকটি বলেছে, তাদের স্থানীয় ও বৈদেশিক শাখা মিলে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে বাকি ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিশোধ করা ২২৫ বিলের বিপরীতে ৭৫ কোটি টাকাও রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) ইউনিফর্ম কাস্টমস অ্যান্ড প্র্যাকটিস ফর ডকুমেন্টারি ক্রেডিটসের (ইউসিপিডিসি) বিধানে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে নন-ফান্ডেড অর্থ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। তবে, ফ্রড (ভুয়া) বিলের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য নয়। এ ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংকের আইনজীবীরা জালিয়াতিপূর্ণ বিলগুলোর বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তির পরামর্শ দিয়েছেন।
দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, সংস্থার উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযোগটির অনুসন্ধান করবে। দলে আর কারা থাকছেন, তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
একই কর্মকর্তার নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল হল-মার্ক কেলেঙ্কারির ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ করে। ওই দলের অধিকাংশ কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকার বাইরে দুদকের বিভিন্ন কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই হল-মার্ক কেলেঙ্কারির নন ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধানে আগের সদস্যরাই থাকবেন, না দল পুনর্গঠন করা হবে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেনি দুদক সূত্র।
দুদকের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থায়ন বিভাগ থেকে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের কাছে প্রায় ছয় হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে এক হাজার ৫৮১ বিলের বিপরীতে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর ২২ জুন কমিশনের নিয়মিত সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো হল-মার্কের নন-ফান্ডেড অংশের তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তৈরি করে কমিশনের কাছে উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সারসংক্ষেপ কমিশনের বৈঠকে উপস্থাপিত হওয়ার পর হল-মার্ক কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
দুদক সূত্র জানায়, হল-মার্কসহ ছয়টি কোম্পানি সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ৩ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ কেলেঙ্কারি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে ২০১২ সালে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের পরিশোধ করা ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা অনুসন্ধান শেষে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হল-মার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ডিজিএম এ কে এম আজিজুর রহমানসহ ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা করে দুদক। হল-মার্কের এমডি তানভীরসহ কয়েকজন আসামি বর্তমানে কারাগারে। এ কে এম আজিজুর রহমান মারা গেছেন। এসব মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। ৩৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাকি পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ২৭টি।
কিন্তু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে হল-মার্ককে মালামাল সরবরাহের নামে নন-ফান্ডেড দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে এত দিন অনুসন্ধান শুরু করা যায়নি। এ কারণে দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান আজও শেষ করা যায়নি।
হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে হল-মার্কের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ ছাড়ের পাশাপাশি হল-মার্ক গ্রুপকে পণ্য সরবরাহের নামে কিছু বিলের বিপরীতে ৩৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও অর্থ তুলে নেওয়া হয়। বিলগুলোর বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ওই সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে স্বীকৃতিপত্র দেওয়া হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে হল-মার্কের নামে যে পরিমাণ অর্থ ছাড় হয়েছে, সেটা ফান্ডেড। আর এ প্রক্রিয়ায় অন্য ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের কাছে যা পাবে, তা নন-ফান্ডেড। সোনালী ব্যাংকের তদন্তে নন-ফান্ডেড অংশের দেড় হাজার কোটি টাকার বিপরীতে মোট ২ হাজার ১৮৬টি বিল জাল-জালিয়াতিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব বিলের বিপরীতে ৩৭টি ব্যাংকের ১১০টি শাখা থেকে তুলে নেওয়া হয় সেই দেড় হাজার কোটি টাকা। তবে বিলের বিপরীতে অর্থ ছাড় করা হয়নি, যা সোনালী ব্যাংকের জন্য নন-ফান্ডেড।
সোনালী ব্যাংক সূত্র জানায়, দুদক একাধিকার চিঠি দিয়ে ওই প্রতিবেদন চেয়েছিল। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থেই ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ১ হাজার ৫৮১টি বিলের প্রতিবেদন দুদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি-সম্পর্কিত নন-ফান্ডেড অংশের আর কোনো প্রতিবেদন তাদের কাছে নেই।
জানা গেছে, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি ধরা পড়ার পর সোনালী ব্যাংক নন-ফান্ডেড অংশের দেড় হাজার কোটি টাকার হিসাব বের করলেও এখন বলছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্য থেকে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে দুদকে। কারণ হিসেবে ব্যাংকটি বলেছে, তাদের স্থানীয় ও বৈদেশিক শাখা মিলে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে বাকি ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিশোধ করা ২২৫ বিলের বিপরীতে ৭৫ কোটি টাকাও রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) ইউনিফর্ম কাস্টমস অ্যান্ড প্র্যাকটিস ফর ডকুমেন্টারি ক্রেডিটসের (ইউসিপিডিসি) বিধানে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে নন-ফান্ডেড অর্থ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। তবে, ফ্রড (ভুয়া) বিলের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য নয়। এ ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংকের আইনজীবীরা জালিয়াতিপূর্ণ বিলগুলোর বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তির পরামর্শ দিয়েছেন।
No comments