বিমানবন্দরে পণ্য ছিনতাই: আসামিদের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ!
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক কর্মকর্তাদের মারধর করে পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার দুই দিন পার হলেও আট আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বিমানবন্দর থানা পুলিশের দাবি, মামলার প্রধান আসামি বদরুল আলম ওরফে শ্যামল ও তাঁর ভাই ফখরুল আলম ওরফে প্রিন্সকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালালেও তাঁদের ধরা যায়নি। গত সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর কাস্টমের কার্গো কমপ্লেক্সের কুরিয়ার ইউনিটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা তিনটি ট্রলিতে করে ১৫ কার্টন পণ্য ছিনিয়ে নেয়। দেশের প্রধান বিমানবন্দরে গত চার মাসে এটি এ ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা। গত মে মাসে এ রকম আরেকটি ঘটনা ঘটিয়েছিল এই গোষ্ঠীটি। ওই ঘটনায় তখন মামলা হলে বিমানবন্দর থানা এখনো অভিযোগপত্র দেয়নি।
বিমানবন্দরের ভিডিও ফুটেজ দেখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সোমবার হামলার নেতৃত্ব দেন এসএমআই ওয়ার্ল্ডওয়াইড কুরিয়ার সার্ভিসের মালিক ও যুবলীগের নেতা পরিচয় দেওয়া শ্যামল ও তাঁর ভাই প্রিন্স। ওই দিন বিকেলে বিমানবন্দর থানার পুলিশ শ্যামলের উত্তরার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে শুল্ক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ছিনতাই করা মালামাল জব্দও করে। পরদিন মঙ্গলবার বিমানবন্দর থানায় শ্যামল, তাঁর ভাই ফখরুলসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও শ্যামলসহ কোনো আসামিকে ধরা যায়নি। শ্যামল ও প্রিন্সকে ধরার জন্য তাঁদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলায় অভিযান চালাতে সংশ্লিষ্ট থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে।
বিমানবন্দর কাস্টমের কার্গো কমপ্লেক্সের কুরিয়ার ইউনিটে গতকাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। লেনদেন ও পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ আগের মতোই চলছে বলে জানান ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, আসামিদের ধরার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আসামি ধরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব।
তবে উৎকণ্ঠায় আছেন শুল্ক বিভাগের ভালো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, হয়তো মাস দেড়েক নির্বিঘ্নে কাজ করা যাবে। এরপর ওরা (হামলাকারীরা) আবারও ফিরে আসবে।
আর বিমানবন্দরের মাধ্যমে বিদেশে জরুরি কুরিয়ার সার্ভিস সেবা প্রদানকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রথম আলোকে বলেছেন, কিছুদিন পর পর এই গোষ্ঠীটি এ ধরনের ঘটনা ঘটানোয় তাঁরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে সমস্যা হওয়ায় দেশীয় কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতার বাজারে বিদেশি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের কাছে মার খাচ্ছে। আবার এ ধরনের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিমানবন্দরে কোনো কোনো মহল তুলনামূলক ভালো কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে।
প্রতিবাদ: ‘শাহজালাল বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে পণ্য ছিনতাই’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বদরুল আলম শ্যামল। তিনি দাবি করেন, হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এ ধরনের ঘটনায় তাঁকে জড়ানো হচ্ছে। কুরিয়ার গেটের মালামালও তাঁর নয় বলে দাবি করেন তিনি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: শুল্ক কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজে শ্যামল ও তাঁর ভাই প্রিন্সকে দেখা গেছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় মঙ্গলবার শুল্ক কর্তৃপক্ষের করা মামলায় এই দুজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনেই ঘটনার বিষয়ে শ্যামলের বক্তব্য ছাপা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানা পুলিশের দাবি, মামলার প্রধান আসামি বদরুল আলম ওরফে শ্যামল ও তাঁর ভাই ফখরুল আলম ওরফে প্রিন্সকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালালেও তাঁদের ধরা যায়নি। গত সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর কাস্টমের কার্গো কমপ্লেক্সের কুরিয়ার ইউনিটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা তিনটি ট্রলিতে করে ১৫ কার্টন পণ্য ছিনিয়ে নেয়। দেশের প্রধান বিমানবন্দরে গত চার মাসে এটি এ ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা। গত মে মাসে এ রকম আরেকটি ঘটনা ঘটিয়েছিল এই গোষ্ঠীটি। ওই ঘটনায় তখন মামলা হলে বিমানবন্দর থানা এখনো অভিযোগপত্র দেয়নি।
বিমানবন্দরের ভিডিও ফুটেজ দেখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সোমবার হামলার নেতৃত্ব দেন এসএমআই ওয়ার্ল্ডওয়াইড কুরিয়ার সার্ভিসের মালিক ও যুবলীগের নেতা পরিচয় দেওয়া শ্যামল ও তাঁর ভাই প্রিন্স। ওই দিন বিকেলে বিমানবন্দর থানার পুলিশ শ্যামলের উত্তরার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে শুল্ক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ছিনতাই করা মালামাল জব্দও করে। পরদিন মঙ্গলবার বিমানবন্দর থানায় শ্যামল, তাঁর ভাই ফখরুলসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও শ্যামলসহ কোনো আসামিকে ধরা যায়নি। শ্যামল ও প্রিন্সকে ধরার জন্য তাঁদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলায় অভিযান চালাতে সংশ্লিষ্ট থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে।
বিমানবন্দর কাস্টমের কার্গো কমপ্লেক্সের কুরিয়ার ইউনিটে গতকাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। লেনদেন ও পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ আগের মতোই চলছে বলে জানান ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, আসামিদের ধরার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আসামি ধরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব।
তবে উৎকণ্ঠায় আছেন শুল্ক বিভাগের ভালো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, হয়তো মাস দেড়েক নির্বিঘ্নে কাজ করা যাবে। এরপর ওরা (হামলাকারীরা) আবারও ফিরে আসবে।
আর বিমানবন্দরের মাধ্যমে বিদেশে জরুরি কুরিয়ার সার্ভিস সেবা প্রদানকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রথম আলোকে বলেছেন, কিছুদিন পর পর এই গোষ্ঠীটি এ ধরনের ঘটনা ঘটানোয় তাঁরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে সমস্যা হওয়ায় দেশীয় কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতার বাজারে বিদেশি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের কাছে মার খাচ্ছে। আবার এ ধরনের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিমানবন্দরে কোনো কোনো মহল তুলনামূলক ভালো কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে।
প্রতিবাদ: ‘শাহজালাল বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে পণ্য ছিনতাই’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বদরুল আলম শ্যামল। তিনি দাবি করেন, হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এ ধরনের ঘটনায় তাঁকে জড়ানো হচ্ছে। কুরিয়ার গেটের মালামালও তাঁর নয় বলে দাবি করেন তিনি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: শুল্ক কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজে শ্যামল ও তাঁর ভাই প্রিন্সকে দেখা গেছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় মঙ্গলবার শুল্ক কর্তৃপক্ষের করা মামলায় এই দুজনসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনেই ঘটনার বিষয়ে শ্যামলের বক্তব্য ছাপা হয়েছে।
No comments