পৌনে চার কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ: সাড়ে তিন মাসেই ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি by সাইফুর রহমান
ছাদ চুইয়ে পানি পড়ায় নতুন কক্ষটি যেন পুরোনো কক্ষে রূপ নিয়েছে |
ঝকঝকে
ভবনটি মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এখনই এর ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে। স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে অধিকাংশ কক্ষ। ভেঙে
গেছে প্রবেশপথের সড়ক।
এই চিত্র বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের। ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। অথচ এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল পৌনে চার কোটি টাকা।
সম্প্রতি নগরের নথুল্লাবাদে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই কার্যালয়ে ঢোকার কংক্রিটের সড়কটি ভেঙে দেবে গেছে। মূল চত্বরের অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সীমানাপ্রাচীরের পাশের মাটি দেবে ফাঁকা হয়ে গেছে। দ্বিতীয় তলার সভাকক্ষ দেখে মনে হয়েছে, কয়েক যুগ আগে নির্মাণ করা হয়েছে। ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে পুরো ছাদ কালো হয়ে গেছে। তিনতলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কক্ষে পানি ঢুকছে ছাদ চুইয়ে। একই অবস্থা তিনতলার অন্য সব কক্ষের।
গণপূর্ত বিভাগ বরিশাল কার্যালয় সূত্র জানায়, ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল ভবনটি হস্তান্তর করা হয়।
নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ভবন নির্মাণসংক্রান্ত কোনো বিষয় গণপূর্ত বিভাগ তাঁদের জানায়নি। এমনকি কাজ তদারকির দায়িত্বেও ছিল গণপূর্ত বিভাগ। ফলে নিম্নমানের কাজ করে তা যেনতেনভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১৩ জুলাই ভবন নির্মাণে ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে গণপূর্ত বিভাগকে।
এই চিত্র বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের। ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। অথচ এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল পৌনে চার কোটি টাকা।
সম্প্রতি নগরের নথুল্লাবাদে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই কার্যালয়ে ঢোকার কংক্রিটের সড়কটি ভেঙে দেবে গেছে। মূল চত্বরের অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সীমানাপ্রাচীরের পাশের মাটি দেবে ফাঁকা হয়ে গেছে। দ্বিতীয় তলার সভাকক্ষ দেখে মনে হয়েছে, কয়েক যুগ আগে নির্মাণ করা হয়েছে। ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে পুরো ছাদ কালো হয়ে গেছে। তিনতলার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কক্ষে পানি ঢুকছে ছাদ চুইয়ে। একই অবস্থা তিনতলার অন্য সব কক্ষের।
গণপূর্ত বিভাগ বরিশাল কার্যালয় সূত্র জানায়, ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল ভবনটি হস্তান্তর করা হয়।
নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ভবন নির্মাণসংক্রান্ত কোনো বিষয় গণপূর্ত বিভাগ তাঁদের জানায়নি। এমনকি কাজ তদারকির দায়িত্বেও ছিল গণপূর্ত বিভাগ। ফলে নিম্নমানের কাজ করে তা যেনতেনভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১৩ জুলাই ভবন নির্মাণে ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে গণপূর্ত বিভাগকে।
ছাদের খোয়া নরম মাটির মতো উঠে যাচ্ছে |
ভবন
বুঝে নেওয়ার জন্য গঠন করা কমিটির প্রধান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.
আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবন নির্মাণ হওয়ার পর এর নির্মাণ ত্রুটি
সম্পর্কে বলা মুশকিল। তারপরও গুণগত মান নিয়ে কয়েকটি ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা
বলেছি। কিন্তু ভবন বুঝে নেওয়ার পর ছাদ দিয়ে পানি পড়তে পারে এমন ধারণা
আমাদের ছিল না। দরজা-জানালা ফিটিংস যথাযথ হয়নি, মাঠ দেবে যাওয়া ইত্যাদি
বিষয় তুলে ধরেছি। সেগুলো ঠিক করে দেওয়ার কথাও বলেছে গণপূর্ত বিভাগ।’
গণপূর্ত বিভাগ, বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নিম্নমানের কাজ হয়েছে, এটা ঠিক নয়। তবে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার পর বলা যাবে। অতি বৃষ্টিতে থাই গ্লাসের পাশ দিয়ে পানি চুইয়ে যেতে পারে।’
এদিকে গত মঙ্গলবার প্রকৌশলীসহ ওই কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ছাদে ব্যবহার করা খোয়া নরম মাটির মতো পায়ের সঙ্গে উঠে যাচ্ছে। নির্মাণসামগ্রী নিম্নমানের ব্যবহার করায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ভবন নির্মাণের পর নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়ে থাকলে তা বের করার প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি বরিশালে নেই। তবে ছাদের পানি অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা উচিত। সেটা রাখা হয়নি। পানি পড়া বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে আড়াই ইঞ্চি পুরু জলছাদ করতে হবে।
গণপূর্ত বিভাগ, বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নিম্নমানের কাজ হয়েছে, এটা ঠিক নয়। তবে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার পর বলা যাবে। অতি বৃষ্টিতে থাই গ্লাসের পাশ দিয়ে পানি চুইয়ে যেতে পারে।’
এদিকে গত মঙ্গলবার প্রকৌশলীসহ ওই কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ছাদে ব্যবহার করা খোয়া নরম মাটির মতো পায়ের সঙ্গে উঠে যাচ্ছে। নির্মাণসামগ্রী নিম্নমানের ব্যবহার করায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ভবন নির্মাণের পর নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়ে থাকলে তা বের করার প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি বরিশালে নেই। তবে ছাদের পানি অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা উচিত। সেটা রাখা হয়নি। পানি পড়া বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে আড়াই ইঞ্চি পুরু জলছাদ করতে হবে।
নিম্নমানের কাজ করায় বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের নতুন ভবনের সামনের রাস্তাটিও ভেঙে গেছে l প্রথম আলো |
No comments