প্রকৌশলীকে বদির কিলঘুষি
বিতর্কিত
সাংসদ আবদুর রহমান বদি এবার পেটালেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার স্থানীয়
সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীকে। তাঁর নাম মোস্তফা
মিনহাজ। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে
নিজের সংসদীয় এলাকার মোট ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর
করলেন বদি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সরকারি কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের কয়েকজন বলেন, বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় সভা শুরু হয়। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আবদুর রহমান বদি এই মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় সভার উপদেষ্টা। উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছেনুয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যান্যের সঙ্গে তিনিও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী সাম্প্রতিক বন্যায় তাঁর এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো ভেঙে পড়ার চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় আরও কয়েকজন চেয়ারম্যান তাঁদের এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দেন। সাংসদ বদি তখন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর বক্তব্য শুনতে চান। এ সময় ইউএনও হিল্লোল বিশ্বাস সাংসদকে জানান, উপজেলা প্রকৌশলী সভায় অনুপস্থিত। এই সভায় উপজেলা প্রকৌশলী এর আগেও অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান। তখন সাংসদ সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে নিচতলায় উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজের কার্যালয়ে যান। উপজেলা প্রকৌশলী নিজের কক্ষে কাজ করছিলেন। সাংসদ প্রকৌশলীর কাছে সমন্বয় সভায় না যাওয়ার কারণ জানতে চান। তিনি কিছু না বলতেই তাঁর শার্টের কলার ধরে কিলঘুষি মারতে থাকেন বদি। টানা-হেঁচড়ায় প্রকৌশলীর শার্ট ছিঁড়ে যায়। এরপর ক্ষুব্ধ বদি সভায় না গিয়ে নিজের গাড়িতে উঠে কক্সবাজারের দিকে চলে যান। সভাও পণ্ড হয়ে যায়।
সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিল্লোল বিশ্বাস, পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, নুরুল কবির চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, গফুর উদ্দিন চৌধুরী, কামাল উদ্দিন এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ তাঁকে মারধরের বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করে বলেন, ‘অন্য সভাগুলো বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়। তাই অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। কিন্তু এর আগেই সাংসদ উপস্থিত হয়ে সভায় না যাওয়ার অজুহাত তুলে আমাকে মারধর করেন। এতে আমার শার্ট ছিঁড়ে যায়। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
জানতে চাইলে এলজিইডির কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি শুনেছি। কেন তাঁকে মারধর করা হয়েছে, সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।’
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘যদি সাংসদ মারধর করে থাকেন, তা দুঃখজনক। প্রকৌশলীর সভায় না যাওয়াটাও দুঃখজনক।’
প্রকৌশলীর ওপর হামলার প্রসঙ্গ জানার জন্য একাধিকবার ফোন করেও সাংসদ আবদুর রহমান বদির বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনটি গতকাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরমতে, এ নিয়ে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী, মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী, বন কর্মকর্তা, শিক্ষকসহ ১৯ জন সাংসদ বদির হামলার শিকার হলেন। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কক্সবাজারের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম, উখিয়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা গোলামুর রহমান, কক্সবাজারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম আবদুর রহমান, টেকনাফের মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, টেকনাফের শামলাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল মঞ্জুর, টেকনাফ পৌরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল জলিল ও পুলিন দে, কক্সবাজারের আইনজীবী রাখাল মিত্র, ইসলামী ব্যাংকের টেকনাফের সহকারী ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফের বন বিট কর্মকর্তা মুজিবুল হক, সাবরাং উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ দৌল্লা, টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার, মীর কামরুজ্জামান, কক্সবাজারের ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম ও কক্সবাজার আদালত পুলিশের কনস্টেবল রতন অন্যতম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সরকারি কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের কয়েকজন বলেন, বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় সভা শুরু হয়। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আবদুর রহমান বদি এই মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় সভার উপদেষ্টা। উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছেনুয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যান্যের সঙ্গে তিনিও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী সাম্প্রতিক বন্যায় তাঁর এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো ভেঙে পড়ার চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় আরও কয়েকজন চেয়ারম্যান তাঁদের এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দেন। সাংসদ বদি তখন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর বক্তব্য শুনতে চান। এ সময় ইউএনও হিল্লোল বিশ্বাস সাংসদকে জানান, উপজেলা প্রকৌশলী সভায় অনুপস্থিত। এই সভায় উপজেলা প্রকৌশলী এর আগেও অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান। তখন সাংসদ সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে নিচতলায় উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজের কার্যালয়ে যান। উপজেলা প্রকৌশলী নিজের কক্ষে কাজ করছিলেন। সাংসদ প্রকৌশলীর কাছে সমন্বয় সভায় না যাওয়ার কারণ জানতে চান। তিনি কিছু না বলতেই তাঁর শার্টের কলার ধরে কিলঘুষি মারতে থাকেন বদি। টানা-হেঁচড়ায় প্রকৌশলীর শার্ট ছিঁড়ে যায়। এরপর ক্ষুব্ধ বদি সভায় না গিয়ে নিজের গাড়িতে উঠে কক্সবাজারের দিকে চলে যান। সভাও পণ্ড হয়ে যায়।
সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিল্লোল বিশ্বাস, পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, নুরুল কবির চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, গফুর উদ্দিন চৌধুরী, কামাল উদ্দিন এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ তাঁকে মারধরের বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করে বলেন, ‘অন্য সভাগুলো বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়। তাই অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। কিন্তু এর আগেই সাংসদ উপস্থিত হয়ে সভায় না যাওয়ার অজুহাত তুলে আমাকে মারধর করেন। এতে আমার শার্ট ছিঁড়ে যায়। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
জানতে চাইলে এলজিইডির কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি শুনেছি। কেন তাঁকে মারধর করা হয়েছে, সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।’
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘যদি সাংসদ মারধর করে থাকেন, তা দুঃখজনক। প্রকৌশলীর সভায় না যাওয়াটাও দুঃখজনক।’
প্রকৌশলীর ওপর হামলার প্রসঙ্গ জানার জন্য একাধিকবার ফোন করেও সাংসদ আবদুর রহমান বদির বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনটি গতকাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরমতে, এ নিয়ে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী, মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী, বন কর্মকর্তা, শিক্ষকসহ ১৯ জন সাংসদ বদির হামলার শিকার হলেন। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কক্সবাজারের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম, উখিয়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা গোলামুর রহমান, কক্সবাজারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম আবদুর রহমান, টেকনাফের মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, টেকনাফের শামলাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল মঞ্জুর, টেকনাফ পৌরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল জলিল ও পুলিন দে, কক্সবাজারের আইনজীবী রাখাল মিত্র, ইসলামী ব্যাংকের টেকনাফের সহকারী ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফের বন বিট কর্মকর্তা মুজিবুল হক, সাবরাং উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ দৌল্লা, টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার, মীর কামরুজ্জামান, কক্সবাজারের ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম ও কক্সবাজার আদালত পুলিশের কনস্টেবল রতন অন্যতম।
No comments