জাইকার ঋণ সহায়তা প্রত্যাহারের জন্য বিটিসিএল দায়ী -সংসদীয় কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন
নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপনের প্রকল্প থেকে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার ঋণ সহায়তা প্রত্যাহারের ঘটনার জন্য বিটিসিএলকে দায়ী করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। তদন্তে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গত মঙ্গলবার এই তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেয় মন্ত্রণালয়। তবে প্রতিবেদনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়নি। এ নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিরবচ্ছিন্ন অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্প (লট-বি) থেকে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী-সংস্থা জাইকার ২০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা প্রত্যাহারের বিষয়ে গত ১৯ মে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ৭ মে অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) এক চিঠিতে জাইকা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শুধু তা-ই নয়, এর থেকে শিক্ষা নিতেও বলেছিল সংস্থাটি।
অবশ্য দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি এবং তাদের অপরাধ শাস্তিযোগ্য কি না, তা যাচাই করতে সংসদীয় কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে আহ্বায়ক করে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছে কমিটি।
এই সুপারিশের ২৪ ঘণ্টার মাথায় গতকাল বুধবার অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার মণ্ডল ও পরিচালক মো. সাহাবুদ্দীনকে প্রকল্প থেকে প্রত্যাহার করে বিটিসিএলের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ গতকাল প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদীয় কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে জাইকার ঋণ সহায়তা প্রত্যাহারের জন্য বিটিসিএলকে দায়ী করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনটি ভালো করে পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত করবে। দায়ী ব্যক্তিরা যাতে শাস্তি পায়, সেই সুপারিশও করবে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বিটিসিএল সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও জাইকার অনুরোধ উপেক্ষা করে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে চার বছর ধরে প্রকল্পটি ঝুলিয়ে রাখে। তদন্তে বলা হয়েছে, প্রকল্পে অহেতুক সময় নষ্ট করে বিটিসিএল তাদের অদক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। এ জন্য বিটিসিএলের সাবেক তিন এমডি আজিজুল ইসলাম, কলিম উল্যা ও মাহফুজ উদ্দীন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার মণ্ডল ও পরিচালক সাহাবুদ্দীনকে দায়ী করা হয়।
দেশের ভেতর ও আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোর নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপনের জন্য টেলিযোগাযোগ সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। যাতে একাধিক কেব্ল কাটা পড়লেও স্বয়ংক্রিয় বিকল্প পথে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হবে। জাইকা শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ সুদে প্রকল্পটির জন্য ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিতে রাজি ছিল।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গত মঙ্গলবার এই তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেয় মন্ত্রণালয়। তবে প্রতিবেদনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়নি। এ নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিরবচ্ছিন্ন অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্প (লট-বি) থেকে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী-সংস্থা জাইকার ২০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা প্রত্যাহারের বিষয়ে গত ১৯ মে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ৭ মে অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) এক চিঠিতে জাইকা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শুধু তা-ই নয়, এর থেকে শিক্ষা নিতেও বলেছিল সংস্থাটি।
অবশ্য দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি এবং তাদের অপরাধ শাস্তিযোগ্য কি না, তা যাচাই করতে সংসদীয় কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে আহ্বায়ক করে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছে কমিটি।
এই সুপারিশের ২৪ ঘণ্টার মাথায় গতকাল বুধবার অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার মণ্ডল ও পরিচালক মো. সাহাবুদ্দীনকে প্রকল্প থেকে প্রত্যাহার করে বিটিসিএলের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ গতকাল প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদীয় কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে জাইকার ঋণ সহায়তা প্রত্যাহারের জন্য বিটিসিএলকে দায়ী করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনটি ভালো করে পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত করবে। দায়ী ব্যক্তিরা যাতে শাস্তি পায়, সেই সুপারিশও করবে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বিটিসিএল সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও জাইকার অনুরোধ উপেক্ষা করে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে চার বছর ধরে প্রকল্পটি ঝুলিয়ে রাখে। তদন্তে বলা হয়েছে, প্রকল্পে অহেতুক সময় নষ্ট করে বিটিসিএল তাদের অদক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। এ জন্য বিটিসিএলের সাবেক তিন এমডি আজিজুল ইসলাম, কলিম উল্যা ও মাহফুজ উদ্দীন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার মণ্ডল ও পরিচালক সাহাবুদ্দীনকে দায়ী করা হয়।
দেশের ভেতর ও আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোর নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপনের জন্য টেলিযোগাযোগ সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। যাতে একাধিক কেব্ল কাটা পড়লেও স্বয়ংক্রিয় বিকল্প পথে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হবে। জাইকা শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ সুদে প্রকল্পটির জন্য ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিতে রাজি ছিল।
No comments