ঐতিহাসিক বিভাজন দূর করতে হবে -অধ্যাপক মীজানুর রহমান
রাজনীতিতে
চলমান সঙ্কট মীমাংসা করতে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন। কারণ রাজনীতিতে ঐতিহাসিক
কিছু বিভাজন বিদ্যমান। সেগুলো দূর করতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি
বদল করলেই সমস্যা দূর হবে- বিষয়টি এমন নয়। নির্বাচনকালীন সরকার বা
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে যারা গণভোটের কথা বলছেন তারা ভুল বলছেন। কারণ এই
গণভোট নেয়ার সুযোগ বর্তমান সংবিধানে নেই। এছাড়া, প্রশ্ন হচ্ছে এই গণভোট কার
অধীনে হবে? এটা কী শেখ হাসিনার অধীনে হবে? তা হলেও সারা দেশে আওয়ামী লীগের
লোকজন ভোট চুরি করেছেন এমন অভিযোগ উঠবে। তাই এগুলো হলো অবাস্তব প্রস্তাব।
মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মীজানুর রহমান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের স্টাফ রিপোর্টার নুর মোহাম্মদ।
অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার দিয়ে বর্তমান সন্ত্রাস দমন করা যাবে না। সাংস্কৃতিক বিপ্লব করতে হবে। সন্ত্রাসকে সাংস্কৃতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সংলাপে কোন সমাধান হবে না। তারপরও প্রধান কিছু ইস্যু নিয়ে সংলাপ করা উচিত। তবে এটি অবশ্যই গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে করতে হবে। কারণ গণতান্ত্রিক দলের নামে যারা অগণতান্ত্রিক কাজ করে তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়। তারা সেই অধিকারও রাখে না। যে দল নিজেই অগণতান্ত্রিক তাকে গণতান্ত্রিক অধিকার দেয়াও ঠিক হবে না। এবং দেয়াও হয় না। বিএনপির পক্ষে এই মুহূর্তে জামায়াত ছাড়া সম্ভব না। জামায়াত না ছাড়লে বিএনপির সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসা সম্ভব না। এই অবস্থায় সংলাপ হলেও এটি ফলপ্রসূ হবে না। কারণ খুব দ্রুত একটি নির্বাচন কিংবা সমস্যা দ্রুত সমাধান জামায়াতের এজেন্ডা না। তাদের এজেন্ডা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও দলকে বাঁচানো। অতএব জামায়াত আর বিএনপি একসঙ্গে সংলাপে আসতে পারবে না। জামায়াত বাদ দিয়ে বিএনপি আসলে ওয়েলকাম। তবে সব কিছুর আগে সন্ত্রাস বন্ধ করা উচিত। কারণ গণতান্ত্রিক অধিকার গণতান্ত্রিকভাবে আদায় সমর্থনযোগ্য।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় যে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল তা রাজনৈতিকভাবেই উত্তরণ ঘটেছে। বৃটিশ আমল, পাকিস্তান আমল, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক সঙ্কট রাজনৈতিকভাবে উত্তরণ ঘটেছে। আমাদের দেশে রাজনীতিতে চিরায়ত কিছু কালচার আছে। যেমন হরতাল, অবরোধ, মশাল মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, অনশন ধর্মঘট, দীর্ঘদিন এগুলো রাজনীতিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। এগুলোর মাধ্যমে রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায়ও হয়েছে। কিন্তু এবার রাজনীতিতে ঘৃণ্যতম উপাদান যুক্ত হয়েছে পেট্রলবোমার ব্যবহার। এই পেট্রলবোমাকে রাজনৈতিক কালচারের অংশ করা যাবে না।
মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মীজানুর রহমান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের স্টাফ রিপোর্টার নুর মোহাম্মদ।
অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার দিয়ে বর্তমান সন্ত্রাস দমন করা যাবে না। সাংস্কৃতিক বিপ্লব করতে হবে। সন্ত্রাসকে সাংস্কৃতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সংলাপে কোন সমাধান হবে না। তারপরও প্রধান কিছু ইস্যু নিয়ে সংলাপ করা উচিত। তবে এটি অবশ্যই গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে করতে হবে। কারণ গণতান্ত্রিক দলের নামে যারা অগণতান্ত্রিক কাজ করে তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়। তারা সেই অধিকারও রাখে না। যে দল নিজেই অগণতান্ত্রিক তাকে গণতান্ত্রিক অধিকার দেয়াও ঠিক হবে না। এবং দেয়াও হয় না। বিএনপির পক্ষে এই মুহূর্তে জামায়াত ছাড়া সম্ভব না। জামায়াত না ছাড়লে বিএনপির সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসা সম্ভব না। এই অবস্থায় সংলাপ হলেও এটি ফলপ্রসূ হবে না। কারণ খুব দ্রুত একটি নির্বাচন কিংবা সমস্যা দ্রুত সমাধান জামায়াতের এজেন্ডা না। তাদের এজেন্ডা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও দলকে বাঁচানো। অতএব জামায়াত আর বিএনপি একসঙ্গে সংলাপে আসতে পারবে না। জামায়াত বাদ দিয়ে বিএনপি আসলে ওয়েলকাম। তবে সব কিছুর আগে সন্ত্রাস বন্ধ করা উচিত। কারণ গণতান্ত্রিক অধিকার গণতান্ত্রিকভাবে আদায় সমর্থনযোগ্য।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় যে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল তা রাজনৈতিকভাবেই উত্তরণ ঘটেছে। বৃটিশ আমল, পাকিস্তান আমল, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক সঙ্কট রাজনৈতিকভাবে উত্তরণ ঘটেছে। আমাদের দেশে রাজনীতিতে চিরায়ত কিছু কালচার আছে। যেমন হরতাল, অবরোধ, মশাল মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, অনশন ধর্মঘট, দীর্ঘদিন এগুলো রাজনীতিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। এগুলোর মাধ্যমে রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায়ও হয়েছে। কিন্তু এবার রাজনীতিতে ঘৃণ্যতম উপাদান যুক্ত হয়েছে পেট্রলবোমার ব্যবহার। এই পেট্রলবোমাকে রাজনৈতিক কালচারের অংশ করা যাবে না।
No comments