তারা পুলিশের ব্ল্যাকশিপ
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পুলিশের নাকের ডগায় ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ
হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক
উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি দায়িত্বে গাফিলতির জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের
ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমি অনেকগুলো কেসের কথা জানি, যেখানে কর্তব্যরত
পুলিশকে বলা হয়েছে- ওমুক জায়গায় ঘটনা ঘটছে একটু সহযোগিতা করুন। তারা আসে
নাই। যারা করছে না, আমি ধরে নেবো তারা এই সার্ভিসের ‘ব্ল্যাকশিপ’। এদের
খুঁজে বের করুন, শাস্তি দিন। তাহলে পুলিশের ওপর গণমানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনও হবে না। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট ভবনে
বেসরকারি সংগঠন ‘জার্নি’র উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান এবং
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ
মন্তব্য করেন। এসব মন্তব্যের সময় পুলিশের আইজিপি শহীদুল হক ছাড়াও পুলিশের
অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া
উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান,
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, একাত্তরে মুজিবনগর সরকারের গার্ড অব অনার
প্রদানকারী মাহবুব উদ্দিন আহমেদ শহীদ, পুলিশকন্যা ফারজানা শাহনাজ মজিদ
প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, অভিজিৎ হত্যার বর্ণানা দিয়ে বলেন, কয়েক গজ দূরে পুলিশের অবস্থানের মধ্যেই অভিজিতের ওপর হামলা হলো এবং সেখানে তাকে কুপিয়ে জখম করছে। কিন্তু এ ঘটনার পুলিশ যে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেটি কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়। লেখক-অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দিতে না পারার ফল লেখক অভিজিৎকে হত্যা। আমরা আর কোন ব্যর্থতা মেনে নিতে পারি না। হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার মামলাটি যথাযথভাবে তদন্ত করে যদি শাস্তি দেয়া যেত, তাহলে মনে হয়, অভিজিতের ঘটনা ঘটতো না। যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ও দশম সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২০১৩ সালে পুলিশের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, থানায় আক্রমণ হয়েছে, সেসব ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও তাগিদ দেন তিনি। অভিজিতের মতো আর কেউ যাতে এ ধরনের হামলার শিকার না হন তার জন্যই এগুলোর সুরাহা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। জার্নির প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন।
এইচ টি ইমাম বলেন, অভিজিৎ হত্যার বর্ণানা দিয়ে বলেন, কয়েক গজ দূরে পুলিশের অবস্থানের মধ্যেই অভিজিতের ওপর হামলা হলো এবং সেখানে তাকে কুপিয়ে জখম করছে। কিন্তু এ ঘটনার পুলিশ যে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেটি কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়। লেখক-অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দিতে না পারার ফল লেখক অভিজিৎকে হত্যা। আমরা আর কোন ব্যর্থতা মেনে নিতে পারি না। হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার মামলাটি যথাযথভাবে তদন্ত করে যদি শাস্তি দেয়া যেত, তাহলে মনে হয়, অভিজিতের ঘটনা ঘটতো না। যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ও দশম সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২০১৩ সালে পুলিশের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, থানায় আক্রমণ হয়েছে, সেসব ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও তাগিদ দেন তিনি। অভিজিতের মতো আর কেউ যাতে এ ধরনের হামলার শিকার না হন তার জন্যই এগুলোর সুরাহা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। জার্নির প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন।
No comments