ছাড় দিতেও প্রস্তুত বিএনপি by হাবিবুর রহমান খান
চলমান
সংকট নিরসনে ছাড় দিতে প্রস্তুত বিএনপি। নতুন নির্বাচনের দাবিতে সরকার একটি
কার্যকরী সংলাপের দৃশ্যমান উদ্যোগ নিলে চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহারের
চিন্তাভাবনা রয়েছে দলটির। এমনকি পর্দার আড়ালে দুই পক্ষের সমঝোতা হলেও শিথিল
বা স্থগিত করা হতে পারে কর্মসূচি। শুধু তাই নয়, নির্বাচনকালীন সরকার
ব্যবস্থা- নির্দলীয় বা অন্য কোনো নতুন ফর্র্মুলার প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা
করতে প্রস্তুত বিএনপি। তবে সব রাজনৈতিক দলের সম্মতির ভিত্তিতেই হতে হবে
নতুন ফর্মুলা। সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি অথবা দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহলের
মাধ্যমে সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই ছাড় দেয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক
ঘোষণা দেবে দলটির হাইকমান্ড। তবে শেষ পর্যন্ত সংলাপ আয়োজনে ক্ষমতাসীনরা
ইতিবাচক সাড়া না দিলে দাবি আদায়ে রাজপথেই থাকবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয়
জোট। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সূত্র জানায়, চলমান আন্দোলনে কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসতে বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপির হাইকমান্ডকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আলোচনার পথ তৈরি করতে কোন ধরনের ছাড় দেয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এরই অংশ হিসেবে আন্দোলন অব্যাহত থাকলেও সহিংসতার মাত্রা কিছুটা কমে আসে। সরকারের আচরণেও কিছুটা নমনীয়তা প্রমাণ মেলে। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও গুলশান কার্যালয় তল্লাশির নির্দেশ দেয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সেটি কার্যকর হয়নি। এমন অবস্থায় দল ও জোটের অবস্থান স্পষ্ট করতে ৫২ দিন পর শুক্রবার গণমাধ্যমে মুখোমুখি হন খালেদা জিয়া। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যেও সংকট নিরসনে ছাড় দেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি ক্ষমতাসীনদের হাতে। সংকট নিরসনের মাধ্যমে সরকার জাতীয় ঐক্যের পথ খুলে দিতে পারে। তাহলেই আমরা সংকটমুক্ত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারব। সভা-সমাবেশ, কার্যালয়ের তালা খুলে দেয়াসহ স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খালেদা জিয়ার এমন আহ্বানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তাদের মতে, আলোচনার উদ্যোগ নিলে চলমান আন্দোলন থেকে বিএনপির সরে আসা কঠিন কিছু নয়।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমরা শুরু থেকেই সংলাপের কথা বলে আসছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের নিরসন করতে হবে। শুক্রবার দলের চেয়ারপারসন তার বক্তব্যে তা আরও স্পষ্ট করেছেন। আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে বা দুই দলের মধ্যে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হলে অনেক কিছুই ছাড় দেয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, বিএনপি তো ছাড় দিয়েই আছে। সবশেষ দলের চেয়ারপারসনও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকার আলোচনায় বসলেই তো সব সমাধান হয়ে যায়। ক্ষমতাসীনদের আন্তরিকতা ছাড়া কখনোই সংকট নিরসন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নীতিনির্ধারক। সূত্র জানায়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যে অনড় অবস্থানে রয়েছে, সেখান থেকেও সরে আসার চিন্তাভাবনা রয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডের। বিগত সময়ে নানা মাধ্যমে তারা এমন বার্তাও দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদ কয়েকবারই বলেছেন, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠকেও খালেদা জিয়া এমন আভাস দিয়েছেন। সবশেষ শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে যে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছেন সেখানেও এ বিষয়ে ইঙ্গিত করেছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায় সরকারের দাবির পরিবর্তে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য- এমন সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সংলাপের আহ্বান জানান তিনি। তার এমন ঘোষণাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, নতুন নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের একটি যৌক্তিক পরিণতি চাচ্ছেন বিএনপির হাইকমান্ড। শুরুর দিকে দাবি আদায়ে হার্ডলাইনেও থাকলেও নানামুখী চাপে সেখান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশেষ করে চলমান আন্দোলনে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের দায়ভার বিএনপির কাঁধে চাপানোর চেষ্টা চলে। বিষয়টি তারা অস্বীকার করলেও এর দায় থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাচ্ছে না দলটি। সংকট নিরসনে দেশী-বিদেশী নানা উদ্যোগের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সহিংসতা। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে সব পক্ষ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায়। সহিংসতা কমিয়ে কিভাবে আন্দোলন করা যায় তার উপায় বের করতেও কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে আহ্বান জানানো হয়। সরকারও এ কৌশলকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। সহিংসতা বন্ধ না হলে কোনো আলোচনা নয় বলে প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন পক্ষের এমন আহ্বানে বিএনপির হাইকমান্ডও নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও কর্মসূচি যাতে সহিংস না হয় সেদিকে নজর দেয়। আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এমন বার্তাও পৌঁছে দেয়া হয়। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিফলনও দেখা যায়। বিগত সময়ে বিশেষ করে কূটনৈতিকরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সহিংসতার মাত্রা কিছুটা কমে আসে। সারা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং হলেও বড় ধরনের কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র জানায়, চলমান আন্দোলনে কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসতে বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপির হাইকমান্ডকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আলোচনার পথ তৈরি করতে কোন ধরনের ছাড় দেয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এরই অংশ হিসেবে আন্দোলন অব্যাহত থাকলেও সহিংসতার মাত্রা কিছুটা কমে আসে। সরকারের আচরণেও কিছুটা নমনীয়তা প্রমাণ মেলে। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও গুলশান কার্যালয় তল্লাশির নির্দেশ দেয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সেটি কার্যকর হয়নি। এমন অবস্থায় দল ও জোটের অবস্থান স্পষ্ট করতে ৫২ দিন পর শুক্রবার গণমাধ্যমে মুখোমুখি হন খালেদা জিয়া। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যেও সংকট নিরসনে ছাড় দেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি ক্ষমতাসীনদের হাতে। সংকট নিরসনের মাধ্যমে সরকার জাতীয় ঐক্যের পথ খুলে দিতে পারে। তাহলেই আমরা সংকটমুক্ত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারব। সভা-সমাবেশ, কার্যালয়ের তালা খুলে দেয়াসহ স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খালেদা জিয়ার এমন আহ্বানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। তাদের মতে, আলোচনার উদ্যোগ নিলে চলমান আন্দোলন থেকে বিএনপির সরে আসা কঠিন কিছু নয়।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমরা শুরু থেকেই সংলাপের কথা বলে আসছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের নিরসন করতে হবে। শুক্রবার দলের চেয়ারপারসন তার বক্তব্যে তা আরও স্পষ্ট করেছেন। আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে বা দুই দলের মধ্যে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হলে অনেক কিছুই ছাড় দেয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, বিএনপি তো ছাড় দিয়েই আছে। সবশেষ দলের চেয়ারপারসনও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকার আলোচনায় বসলেই তো সব সমাধান হয়ে যায়। ক্ষমতাসীনদের আন্তরিকতা ছাড়া কখনোই সংকট নিরসন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নীতিনির্ধারক। সূত্র জানায়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যে অনড় অবস্থানে রয়েছে, সেখান থেকেও সরে আসার চিন্তাভাবনা রয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডের। বিগত সময়ে নানা মাধ্যমে তারা এমন বার্তাও দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদ কয়েকবারই বলেছেন, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠকেও খালেদা জিয়া এমন আভাস দিয়েছেন। সবশেষ শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে যে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছেন সেখানেও এ বিষয়ে ইঙ্গিত করেছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায় সরকারের দাবির পরিবর্তে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য- এমন সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সংলাপের আহ্বান জানান তিনি। তার এমন ঘোষণাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, নতুন নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের একটি যৌক্তিক পরিণতি চাচ্ছেন বিএনপির হাইকমান্ড। শুরুর দিকে দাবি আদায়ে হার্ডলাইনেও থাকলেও নানামুখী চাপে সেখান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশেষ করে চলমান আন্দোলনে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের দায়ভার বিএনপির কাঁধে চাপানোর চেষ্টা চলে। বিষয়টি তারা অস্বীকার করলেও এর দায় থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাচ্ছে না দলটি। সংকট নিরসনে দেশী-বিদেশী নানা উদ্যোগের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সহিংসতা। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে সব পক্ষ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায়। সহিংসতা কমিয়ে কিভাবে আন্দোলন করা যায় তার উপায় বের করতেও কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে আহ্বান জানানো হয়। সরকারও এ কৌশলকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। সহিংসতা বন্ধ না হলে কোনো আলোচনা নয় বলে প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন পক্ষের এমন আহ্বানে বিএনপির হাইকমান্ডও নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও কর্মসূচি যাতে সহিংস না হয় সেদিকে নজর দেয়। আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এমন বার্তাও পৌঁছে দেয়া হয়। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিফলনও দেখা যায়। বিগত সময়ে বিশেষ করে কূটনৈতিকরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সহিংসতার মাত্রা কিছুটা কমে আসে। সারা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং হলেও বড় ধরনের কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।
No comments