মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদের ১৩ বছর কারাদণ্ড
মালদ্বীপের
সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা
নেয়া হয়। শুক্রবার এ সাজা ঘোষণা করেন রাজধানী মালের একটি আদালত। বর্তমান
প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের কার্যালয় থেকে সাবেক প্রেসিডেন্টের ১৩ বছর
সাজা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই রাজধানী মালের
ধুনিধু কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে। নাশিদের বিচার ও তার
সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
খবর এএফপি, আল জাজিরা।
এদিকে নাশিদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নাশিদের সমর্থকরা বলছেন, ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নাশিদ যাতে নামতে না পারেন, সে জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এ অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ মামলায় কোনো রাজনৈতিক প্ররোচনা নেই বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। নাশিদের কার্যালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিচার ‘অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবেই রাজনৈতিক’। নাশিদকে তার অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করা এবং আপিলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট নাশিদ ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১২ সালে প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছিলেন। সেই আদেশ যথাযথ ছিল না বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন নাশিদ। বিতর্কিত পরিস্থিতির জন্য তিন বছরের মাথায় তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এরপর একটি বিতর্কিত নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।
বিচারপতিকে দেয়া গ্রেফতারের আদেশ নিয়ে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগে ফেব্রুয়ারিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার রায়ে বিচারক আবদুল্লাহ দিদি বলেন, নাশিদ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছিলেন, এরপর তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গিরিফুশি দ্বীপে আটকে রেখেছিলেন। বিচারিক সাক্ষ্যপ্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায়ে কোনো দ্বিমত ছিল না।
এর আগে নাশিদকে গ্রেফতারের ঘোষণা শুনে হাজার হাজার মানুষ মালের রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
ক্ষমতায় কম সময় থাকলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাশিদের জয় ইয়ামিনের সৎ ভাই মামুন আবদুল গাইয়ুমের ৩০ বছরের একনায়কত্বের অবসান ঘটিয়েছিল।
এদিকে নাশিদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নাশিদের সমর্থকরা বলছেন, ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নাশিদ যাতে নামতে না পারেন, সে জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এ অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ মামলায় কোনো রাজনৈতিক প্ররোচনা নেই বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। নাশিদের কার্যালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিচার ‘অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবেই রাজনৈতিক’। নাশিদকে তার অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করা এবং আপিলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট নাশিদ ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১২ সালে প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছিলেন। সেই আদেশ যথাযথ ছিল না বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন নাশিদ। বিতর্কিত পরিস্থিতির জন্য তিন বছরের মাথায় তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এরপর একটি বিতর্কিত নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।
বিচারপতিকে দেয়া গ্রেফতারের আদেশ নিয়ে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগে ফেব্রুয়ারিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার রায়ে বিচারক আবদুল্লাহ দিদি বলেন, নাশিদ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছিলেন, এরপর তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গিরিফুশি দ্বীপে আটকে রেখেছিলেন। বিচারিক সাক্ষ্যপ্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের রায়ে কোনো দ্বিমত ছিল না।
এর আগে নাশিদকে গ্রেফতারের ঘোষণা শুনে হাজার হাজার মানুষ মালের রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
ক্ষমতায় কম সময় থাকলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাশিদের জয় ইয়ামিনের সৎ ভাই মামুন আবদুল গাইয়ুমের ৩০ বছরের একনায়কত্বের অবসান ঘটিয়েছিল।
No comments