পুলিশের বাসায় মিলল অপহৃত শিশুর লাশ
সিলেটের রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদের লাশ এক পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে |
সিলেট
নগরের কুমারপাড়ায় পুলিশের এক সদস্যের বাসা থেকে গতকাল শনিবার রাত ১১টার
দিকে অপহৃত স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপহরণ
করে হত্যার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত শিশুর নাম আবু সাঈদ (১০)। তাঁর বাবার নাম মতিন মিয়া। সাঈদ রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
এ ঘটনায় আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমান, র্যাবের কথিত ‘সোর্স’ গেদা মিয়া ও ওলামা লীগের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে সাঈদকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর ওই দিন রাতেই সাঈদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর পরিবার সাঈদের অপহরণের ব্যাপারটি পুলিশকে জানায়। তখন সাঈদকে উদ্ধার করতে তার পরিবারের পূর্বপরিচিত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর ও র্যাবের কথিত ‘সোর্স’ গেদা মিয়া মুক্তিপণ দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। এবাদুর ও গেদা মিয়া ওই পরিবারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন।
রহমত উল্লাহর ভাষ্য, এবাদুরের তৎপরতায় সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় এবাদুর ও গেদা মিয়ার মোবাইল ফোনে কলট্র্যাপ করে পুলিশ। তখন হত্যার সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার ব্যাপারটি জানা যায়। এবাদুরের বাসা থেকে উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায়। এরপর রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় সাঈদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছয়টি চটের বস্তায় লাশটি জড়িয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া লাশটির শরীরে অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ ছিটানো ছিল। তিন-চার দিন আগে সাঈদকে হত্যা করা হতে পারে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সাঈদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সাঈদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত শিশুর নাম আবু সাঈদ (১০)। তাঁর বাবার নাম মতিন মিয়া। সাঈদ রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
এ ঘটনায় আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমান, র্যাবের কথিত ‘সোর্স’ গেদা মিয়া ও ওলামা লীগের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে সাঈদকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর ওই দিন রাতেই সাঈদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর পরিবার সাঈদের অপহরণের ব্যাপারটি পুলিশকে জানায়। তখন সাঈদকে উদ্ধার করতে তার পরিবারের পূর্বপরিচিত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর ও র্যাবের কথিত ‘সোর্স’ গেদা মিয়া মুক্তিপণ দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। এবাদুর ও গেদা মিয়া ওই পরিবারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন।
রহমত উল্লাহর ভাষ্য, এবাদুরের তৎপরতায় সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় এবাদুর ও গেদা মিয়ার মোবাইল ফোনে কলট্র্যাপ করে পুলিশ। তখন হত্যার সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার ব্যাপারটি জানা যায়। এবাদুরের বাসা থেকে উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানায়। এরপর রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় সাঈদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছয়টি চটের বস্তায় লাশটি জড়িয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া লাশটির শরীরে অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ ছিটানো ছিল। তিন-চার দিন আগে সাঈদকে হত্যা করা হতে পারে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সাঈদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সাঈদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
No comments