ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ক্লাস–পরীক্ষা চালুর দাবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা l প্রথম আলো |
অবিলম্বে
ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে
গতকাল শনিবার মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া না হলে অনশনের হুমকি
দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বাসের চাপায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় টানা ৩৭ দিন বন্ধ থাকে। পরে এ বছরের ৮ জানুয়ারি ক্যাম্পাস খোলা হয়। তবে অবরোধের সমর্থনে ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে আবাসিক হলসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম।
টানা সাড়ে তিন মাস ধরে বন্ধ থাকায় ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দ্রুত ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির সামনে জড়ো হন। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশ এতে বাধা দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর ও প্রধান ফটকের মাঝামাঝি এসে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। ১৭ মার্চের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১৮ মার্চ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
তনা রায় নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমনিতেই সেশনজটে আছি। সেটিও আবার দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা চালু না হলে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ নাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ত ম লোকমান হাকিমের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এ জন্য মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে ত ম লোকমান হাকিম বলেন, ‘তাঁদের (শিক্ষার্থীদের) কার্যক্রমে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। আর ক্যাম্পাসে প্রশাসনের কোনো কর্তাব্যক্তি না থাকায় আমি তাঁদের আগামী বুধবার ভিসি, প্রো-ভিসির সঙ্গে দেখা করতে বলেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলে তারপর মানববন্ধন করতে বলেছি।’
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হরতাল-অবরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ১০টি ও ভাড়া করা ৩৫টি গাড়ি আছে। গাড়িগুলো যখন ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া অভিমুখে যায়, তখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন থাকেন। তাই তাঁরা ক্যাম্পাস খোলার তারিখ ঘোষণা দিতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কেউই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘ক্যাম্পাস খোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগির ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বাসের চাপায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় টানা ৩৭ দিন বন্ধ থাকে। পরে এ বছরের ৮ জানুয়ারি ক্যাম্পাস খোলা হয়। তবে অবরোধের সমর্থনে ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে আবাসিক হলসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম।
টানা সাড়ে তিন মাস ধরে বন্ধ থাকায় ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দ্রুত ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির সামনে জড়ো হন। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশ এতে বাধা দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর ও প্রধান ফটকের মাঝামাঝি এসে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। ১৭ মার্চের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১৮ মার্চ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
তনা রায় নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমনিতেই সেশনজটে আছি। সেটিও আবার দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা চালু না হলে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ নাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ত ম লোকমান হাকিমের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এ জন্য মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে ত ম লোকমান হাকিম বলেন, ‘তাঁদের (শিক্ষার্থীদের) কার্যক্রমে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। আর ক্যাম্পাসে প্রশাসনের কোনো কর্তাব্যক্তি না থাকায় আমি তাঁদের আগামী বুধবার ভিসি, প্রো-ভিসির সঙ্গে দেখা করতে বলেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলে তারপর মানববন্ধন করতে বলেছি।’
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হরতাল-অবরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ১০টি ও ভাড়া করা ৩৫টি গাড়ি আছে। গাড়িগুলো যখন ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া অভিমুখে যায়, তখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন থাকেন। তাই তাঁরা ক্যাম্পাস খোলার তারিখ ঘোষণা দিতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কেউই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘ক্যাম্পাস খোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগির ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হবে।’
No comments