সরকারের পোড়ামাটি নীতির কারণেই রাজনৈতিক সঙ্কট : রফিকুল ইসলাম খান
জামায়াতে
ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা
রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকারের পোড়ামাটি নীতির কারণেই রাজনৈতিক সঙ্কট
তৈরি হয়েছে। চলমান দুঃশাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ অবিলম্বে সরকারের
পদত্যাগ। আজ রোববার এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিবিৃতিতে ২০ দলের অবরোধ ও
হরতাল কর্মসূচি সফল করায় মহানগরবাসীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিরোধীজোটের আপোষহীন সংগ্রামে দিশেহারা সরকার ক্ষমতা আকড়ে রাখতেই নিষ্ঠুর আতঙ্কবাদী শাসন চালাচ্ছে। গুম-খুন-গণহত্যা-গণগ্রেফতারকে রাষ্ট্রীয় কর্তব্যে পরিণত করেছে। সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু করে ছাত্র-তরুন এমনকি শিশুদেরকেও গুম-খুনের শিকার হতে হচ্ছে। এসবই এক গভীর অশনি সঙ্কেত। উন্মত্ত স্বৈরাচারের আন্ধা কানুনের কারণেই দেশ আজ মৃত্যুপূরিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের এই পোড়ামাটি নীতির কারণেই রাজনৈতিক সঙ্কট এক ঘোর অন্ধকারের আবর্তের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। চলমান দুঃশাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ।
মাওলানা খান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদল নির্মূলের জন্য শক্তির পথ বেছে নিয়েছেন। গুম খুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্মম রসিকতা করছেন। সাবেকমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে উদ্ধারের বিষয়ে আদালতের রুলের বিষয়ে সরকার নির্বিকার। ক্ষমতা ধরে রাখতে জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এই সংঘাত দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে, ক্ষমতাসীনদেরই বা পরিণতি কি হতে যাচ্ছে শাসকগোষ্ঠী কে তা অনুধাবন করতে হবে।
সরকারের তীব্র বাঁধা, জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার সত্ত্বেও অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ মগবাজার, রমনা, পল্টন, মতিঝিল, মিরপুর, উত্তরা, বাড্ডা, বনানী, শাহজাহানপুর, কলাবাগান, ধানমন্ডি, ডেমরা, যাত্রাবাড়ি, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও এলাকায় অবরোধ সমর্থনে জামায়াতের কর্মীরা মিছিল, পিকেটিং ও রাজপথ অবরোধ করে। এছাড়া অবৈধ সরকার পতনের দাবিতে ২০ দলের আহবানে চলমান অবরোধ এবং ৭২ ঘণ্টা লাগাতার হরতালের প্রথম দিনের প্রতিটি কর্মসূচিতে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগরবাসীকে অভিনন্দন জানান মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। সেই সাথে গণতন্ত্র ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করতে তিনি কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, সাংবাদিক, শিক্ষক-ছাত্র, আইনজীবী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারক ও ব্যাংক-বীমার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষকে মাঠে নেমে আসার পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল মিথ্যাচার ও কারসাজিকে মোকাবিলা করে তাদের হৃত অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে অটল থাকার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, বিরোধীদলের আন্দোলন ঠেকানোর জন্য পুলিশ যখন দেখামাত্রই গুলি করছে, তখন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলছেন, গুলি করে মারলে কষ্ট কম হয়। কতটা বিকৃত রুচির উম্মাদরা এখন দেশ চালাচ্ছে তা দেশবাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। এই দুঃশাসন থেকে উদ্ধার পাবার একটাই পথ, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশবাসীকে একসাথে রাজপথে নেমে আসতে হবে। জালেম সরকারের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জামায়াত নেতা আরো বলেন, পুলিশ বাহিনী এখন পতন উন্মুখ স্বৈরাচারের রক্ষায় খুনি বাহিনীর ভূমিকা পালন করছে। সিলেটে পুলিশের বাসা থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহৃত শিশু আবু সাইদের অ্যাসিডে পোড়া বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে পুলিশ-র্যাব নিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচেছ। সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের যে গৌরব ছিল তা ভয়ানক রকম ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দখলদার সরকারের পতনের জন্য এখনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। কার্যকর প্রতিরোধ লড়াই গড়ে তুলতে পারলে গণহত্যা, গুপ্তহত্যা ও গণতন্ত্রহত্যাকারী এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন সুনিশ্চিত। প্রতিটি এলাকায় ২০দলীয় জোটের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটির মাধ্যমে সর্বাত্বক হরতালের পিকেটিংয়ে নিজ নিজ এলাকাকে মুক্তঅঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। জনতার রুদ্ররোষে দখলদার বাহিনীর আস্তানা ও গণদুশমনদের গুড়িযে দিতে হবে। দেশপ্রেম ও সাহসিকতার সাথেই গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের সংগ্রামকে বিজয়ী করে হারিযে যাওয়া মৌলিক, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশে চলমান গুম ও বিচারবহির্র্ভূত হত্যা বন্ধে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান তিনি। সরকার সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী মানবিক সংগঠনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিরোধীজোটের আপোষহীন সংগ্রামে দিশেহারা সরকার ক্ষমতা আকড়ে রাখতেই নিষ্ঠুর আতঙ্কবাদী শাসন চালাচ্ছে। গুম-খুন-গণহত্যা-গণগ্রেফতারকে রাষ্ট্রীয় কর্তব্যে পরিণত করেছে। সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু করে ছাত্র-তরুন এমনকি শিশুদেরকেও গুম-খুনের শিকার হতে হচ্ছে। এসবই এক গভীর অশনি সঙ্কেত। উন্মত্ত স্বৈরাচারের আন্ধা কানুনের কারণেই দেশ আজ মৃত্যুপূরিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের এই পোড়ামাটি নীতির কারণেই রাজনৈতিক সঙ্কট এক ঘোর অন্ধকারের আবর্তের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। চলমান দুঃশাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ।
মাওলানা খান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদল নির্মূলের জন্য শক্তির পথ বেছে নিয়েছেন। গুম খুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্মম রসিকতা করছেন। সাবেকমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে উদ্ধারের বিষয়ে আদালতের রুলের বিষয়ে সরকার নির্বিকার। ক্ষমতা ধরে রাখতে জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এই সংঘাত দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে, ক্ষমতাসীনদেরই বা পরিণতি কি হতে যাচ্ছে শাসকগোষ্ঠী কে তা অনুধাবন করতে হবে।
সরকারের তীব্র বাঁধা, জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার সত্ত্বেও অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ মগবাজার, রমনা, পল্টন, মতিঝিল, মিরপুর, উত্তরা, বাড্ডা, বনানী, শাহজাহানপুর, কলাবাগান, ধানমন্ডি, ডেমরা, যাত্রাবাড়ি, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও এলাকায় অবরোধ সমর্থনে জামায়াতের কর্মীরা মিছিল, পিকেটিং ও রাজপথ অবরোধ করে। এছাড়া অবৈধ সরকার পতনের দাবিতে ২০ দলের আহবানে চলমান অবরোধ এবং ৭২ ঘণ্টা লাগাতার হরতালের প্রথম দিনের প্রতিটি কর্মসূচিতে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগরবাসীকে অভিনন্দন জানান মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। সেই সাথে গণতন্ত্র ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করতে তিনি কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, সাংবাদিক, শিক্ষক-ছাত্র, আইনজীবী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারক ও ব্যাংক-বীমার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষকে মাঠে নেমে আসার পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল মিথ্যাচার ও কারসাজিকে মোকাবিলা করে তাদের হৃত অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে অটল থাকার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, বিরোধীদলের আন্দোলন ঠেকানোর জন্য পুলিশ যখন দেখামাত্রই গুলি করছে, তখন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলছেন, গুলি করে মারলে কষ্ট কম হয়। কতটা বিকৃত রুচির উম্মাদরা এখন দেশ চালাচ্ছে তা দেশবাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। এই দুঃশাসন থেকে উদ্ধার পাবার একটাই পথ, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশবাসীকে একসাথে রাজপথে নেমে আসতে হবে। জালেম সরকারের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জামায়াত নেতা আরো বলেন, পুলিশ বাহিনী এখন পতন উন্মুখ স্বৈরাচারের রক্ষায় খুনি বাহিনীর ভূমিকা পালন করছে। সিলেটে পুলিশের বাসা থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহৃত শিশু আবু সাইদের অ্যাসিডে পোড়া বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে পুলিশ-র্যাব নিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচেছ। সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের যে গৌরব ছিল তা ভয়ানক রকম ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দখলদার সরকারের পতনের জন্য এখনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। কার্যকর প্রতিরোধ লড়াই গড়ে তুলতে পারলে গণহত্যা, গুপ্তহত্যা ও গণতন্ত্রহত্যাকারী এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন সুনিশ্চিত। প্রতিটি এলাকায় ২০দলীয় জোটের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটির মাধ্যমে সর্বাত্বক হরতালের পিকেটিংয়ে নিজ নিজ এলাকাকে মুক্তঅঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। জনতার রুদ্ররোষে দখলদার বাহিনীর আস্তানা ও গণদুশমনদের গুড়িযে দিতে হবে। দেশপ্রেম ও সাহসিকতার সাথেই গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের সংগ্রামকে বিজয়ী করে হারিযে যাওয়া মৌলিক, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশে চলমান গুম ও বিচারবহির্র্ভূত হত্যা বন্ধে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান তিনি। সরকার সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী মানবিক সংগঠনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
No comments