মিসরে নতুন রাজধানীর পরিকল্পনা
মিসরে কায়রোর বদলে নতুন একটি রাজধানী তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সেদেশের সরকার। কায়রোর পূর্ব দিকে ওই রাজধানীতে পার্লামেন্ট, মন্ত্রীদের কার্যালয় আর দূতাবাসগুলো থাকবে। ৭০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট শহরটিতে প্রায় পঞ্চাশ লাখ মানুষ বসবাস করতে পারবে। আগামী ৪০ বছরের মধ্যে কায়রোর ওপর জনসংখ্যার চাপ, যানজট ও পরিবেশ দূষণ কমানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ কাজ শেষ করতে ৫-৭ বছর সময় লেগে যেতে পারে।মিসরের অর্থনীতিবিষয়ক একটি সংবাদ সম্মেলনে নতুন রাজধানী তৈরির এ ঘোষণাটি দেয়া হয়। কায়রো আর লোহিতসাগরের মাঝামাঝি কোনো স্থানে নতুন শহরটি গড়া হবে। তবে এখনও শহরটির কোনো নাম ঠিক করা হয়নি।নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এর মধ্যেই ১২শ’ কোটি ডলার সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেছে বলে সরকার বলছে।
কুয়েত, সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরাত এ অর্থ দেবে।মিসর থেকে সংবাদদাতারা বলছেন, কায়রোর ভিড় আর পরিবেশের ওপর চাপ কমাতেই নতুন এ রাজধানী তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শহরটির পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত আলাব্বর নামের একজন কর্মকর্তা বলছেন, নতুন শহরটি হবে অনেক বেশি জনবান্ধব।পুরনো কায়রোর ঐতিহ্য ও নকশার ওপর ভিত্তি করেই নতুন শহরটি তৈরি করা হবে এবং সেখানে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাই থাকবে।এই শহরটি তৈরি হলে তা মিসরের অর্থনীতির জন্য সুবাতাস আনবে বলে কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।কারণ, এ প্রকল্প ১০ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। হিথরোর চেয়ে বড় একটি বিমানবন্দরও সেখানে থাকবে। আবাসন ব্যবসায়ীরা জানান, শহরটিতে ২ হাজার স্কুল ও ৬০০ হাসপাতাল থাকবে।সংবাদদাতারা বলছেন, অতীতেও মিসরে এ রকম বড় প্রকল্প নেয়া হলেও, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেগুলো শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পায়নি। তবে বর্তমান সরকার এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেবে। কারণ অর্থনীতির গতি ফেরাতে না পারলে মিসরের সংকট আরও বাড়বে।অনেকেই বলছেন, আরব গণজাগরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই মিসরে বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে। সেই বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতেই সরকার নতুন এ শহর স্থাপনসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিবিসি।
No comments