বগুড়ার টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ভবনধসের আশঙ্কা, বারান্দায় পাঠদান
বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের দেয়াল বছর খানেক আগে ধসে পড়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয় বারান্দায়। গত বুধবার তোলা ছবি l প্রথম আলো |
শতাধিক
বছরের পুরোনো বিদ্যালয়। ভবনের দেয়াল ধসে গেছে, টিনের চালা দিয়ে পানি
পড়ে। কবে শেষ বিদ্যালয় ভবনটি সংস্কার হয়েছে কেউ জানেন না। এ অবস্থায়
ভবনধসের ভয় আর বৃষ্টিতে বই-খাতা ভেজার আশঙ্কায় দুই বছর ধরে শ্রেণিকক্ষের
বারান্দায় চলছে পাঠদান। এই চিত্র বগুড়া সদর উপজেলার ১ নম্বর টেংরা সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, বারান্দায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, শীতের দিনে বারান্দায় ক্লাস করতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। আবার বর্ষায় বৃষ্টিতে বই-খাতা ভিজে যায়। গরমে রোদের তাপে টেকা যায় না। আর ধুলাবালি তো আছেই। সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বারান্দায় পাঠদান করানোয় শিশুদের পড়ায় মন বসে না। বাইরে উঁকি মারে। বৃষ্টি ও ধুলাবালিতে শিশুদের জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৮৯৬ সালে টিনের ছাউনী ও ইটের দেয়ালঘেরা পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে প্রথমে ভবনের একটি কক্ষের পেছনের দেয়াল ধসে যায়। সময়মতো মেরামত না করায় পরে তিনটি শ্রেণিকক্ষের পেছনের দেয়াল এবং কক্ষগুলোকে আলাদা করা দেয়ালগুলো ধসে যায়। ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। চালার টিন নষ্ট হয়ে ভবনের কোনো শ্রেণিকক্ষে বসার অবস্থা নেই। শুধু একটি কক্ষ শিক্ষকদের অফিস হিসেবে রেখে বারান্দায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধান শিক্ষক হামিদুর রশিদ জানান, পেছনের দেয়াল ধসে পড়ার পরই ২০১৩ সালে প্রথমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি মেরামতের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় গত বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রকৌশলী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভবনটি মেরামত বা নতুন করে নির্মাণে কোনো সাড়া মেলেনি। চরম শঙ্কা-উৎকণ্ঠা নিয়ে বিদ্যালয় চালাতে হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, বিদ্যালয়টির সমস্যা অনেক জটিল। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করুণ অবস্থা উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় একাধিকবার তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ভবন মেরামতে নাকি ঠিকাদারের মাধ্যমে এক দফায় দেড় লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। তারপর কাজ ওই পর্যন্ত গিয়ে আটকে আছে বলে কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদানের বিষয়টি আবারও শিক্ষা কমিটিতে তোলা হয়েছে। তবে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হওয়ায় আর কথা এগোয়নি।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী (বর্তমানে অন্যত্র বদলি হয়েছেন) দেলোয়ার হোসেন জানান, ভবনটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দুই মাস আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অধিদপ্তরে লেখালেখি করলে দ্রুত বিষয়টির একটি সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, বারান্দায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, শীতের দিনে বারান্দায় ক্লাস করতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। আবার বর্ষায় বৃষ্টিতে বই-খাতা ভিজে যায়। গরমে রোদের তাপে টেকা যায় না। আর ধুলাবালি তো আছেই। সহকারী শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বারান্দায় পাঠদান করানোয় শিশুদের পড়ায় মন বসে না। বাইরে উঁকি মারে। বৃষ্টি ও ধুলাবালিতে শিশুদের জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৮৯৬ সালে টিনের ছাউনী ও ইটের দেয়ালঘেরা পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে প্রথমে ভবনের একটি কক্ষের পেছনের দেয়াল ধসে যায়। সময়মতো মেরামত না করায় পরে তিনটি শ্রেণিকক্ষের পেছনের দেয়াল এবং কক্ষগুলোকে আলাদা করা দেয়ালগুলো ধসে যায়। ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। চালার টিন নষ্ট হয়ে ভবনের কোনো শ্রেণিকক্ষে বসার অবস্থা নেই। শুধু একটি কক্ষ শিক্ষকদের অফিস হিসেবে রেখে বারান্দায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধান শিক্ষক হামিদুর রশিদ জানান, পেছনের দেয়াল ধসে পড়ার পরই ২০১৩ সালে প্রথমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি মেরামতের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় গত বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রকৌশলী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভবনটি মেরামত বা নতুন করে নির্মাণে কোনো সাড়া মেলেনি। চরম শঙ্কা-উৎকণ্ঠা নিয়ে বিদ্যালয় চালাতে হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, বিদ্যালয়টির সমস্যা অনেক জটিল। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করুণ অবস্থা উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় একাধিকবার তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ভবন মেরামতে নাকি ঠিকাদারের মাধ্যমে এক দফায় দেড় লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। তারপর কাজ ওই পর্যন্ত গিয়ে আটকে আছে বলে কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদানের বিষয়টি আবারও শিক্ষা কমিটিতে তোলা হয়েছে। তবে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হওয়ায় আর কথা এগোয়নি।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী (বর্তমানে অন্যত্র বদলি হয়েছেন) দেলোয়ার হোসেন জানান, ভবনটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দুই মাস আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অধিদপ্তরে লেখালেখি করলে দ্রুত বিষয়টির একটি সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
No comments