বিজ্ঞাপনে বিব্রত by শাহীন হাসনাত
গত রাতে বাসায় ফিরছি। বাসভরা লোক। হঠাৎ ৫-৬ বছরের একটি ছেলে সঙ্গে থাকা মাকে প্রশ্ন করছে_ মা, যৌন রোগ কী? আমিও মোটা হওয়ার জন্য এক ফাইল খাব। ছেলের কথা শুনে মা লজ্জায় অস্থির হয়ে বাচ্চার মুখে হাত চাপা দিয়ে কুলরক্ষার চেষ্টায় লিপ্ত; আর বাসসুদ্ধ যাত্রীরা রীতিমতো হতবাক।
এ ঘটনা থেকেই অনুমান করা যায় বিজ্ঞাপন ও বিজ্ঞাপনের ভাষা নিয়ে অভিভাবক মহল কতটা আতঙ্কে আছেন। কখন না জানি কোন সন্তান কোন প্রশ্ন করে বসে!
প্রচারেই প্রসার। তাই মানুষ এখন ছুটছে প্রচারের পেছনে। প্রচারমাধ্যম বলতে টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা, বিলবোর্ড ও পোস্টার-লিফলেটকেই বোঝায়। কিছু পত্রিকা শালীনতা বজায় রেখে বিজ্ঞাপন ছাপলেও টেলিভিশনের কথা আলাদা। বিশেষ করে কেবল অপারেটরদের নিজস্ব চ্যানেল। তারা কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছাড়াই বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে।
মানব জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপকরণ টেলিভিশন। খবর, খেলাধুলা আর বিনোদনের জন্য টেলিভিশন মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র ভরসা। সারাদিনের কাজ শেষে দেশের পরিস্থিতি, খেলার আপডেট বা জনপ্রিয় কোনো অনুষ্ঠান দেখার জন্য টেলিভিশনের সামনে বসে প্রকারান্তরে লজ্জিত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের কারণে। এক কথায়, বিজ্ঞাপনে বিব্রত দর্শক সমাজ।
কেবল নেটওয়ার্কের নিজস্ব ভিডিও চ্যানেলে কথিত হারবাল ও হোমিও ঔষধালয়ের অশ্লীল চটকদার বিজ্ঞাপন। এসব বিজ্ঞাপনের ভাষা ও উপস্থাপনায় ভদ্র রুচিশীল দর্শক অতিষ্ঠ। ভয়ের কথা হলো, প্রতিনিয়ত প্রচারিত এসব বিজ্ঞাপনের কথা শুনে শুনে কোমলমতি শিশুরা না বুঝেই যেখানে-সেখানে আবৃত্তি করে বসে। এতে চরম লজ্জায় পড়েন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
শুধু টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে বিব্রত হলে কথা ছিল। এখন বিব্রত হতে হচ্ছে সর্বত্র। বাস স্টপেজে বাস দাঁড়ালে হারবালের বিজ্ঞাপন ছুড়ে মারা হচ্ছে গায়ে, ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটছেন, আপনার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে হোমিও ঔষধালয়ের বিজ্ঞাপন। বাসে ওঠেও শান্তি নেই। সেখানেও মহিলাদের বসার স্থান থেকে শুরু করে বাসজুড়েই লাগিয়ে রাখা হয়েছে এসব ঔষধালয়ের বিজ্ঞাপন। এসব বিজ্ঞাপনের অশ্লীল শব্দমালায় বিব্রত সাধারণ মানুষ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে গেছে এসব বিজ্ঞাপনের দরুন। ওপরের ঘটনা তারই একটি উদাহরণ।
প্রায়ই শোনা যাচ্ছে, এমন চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সমস্যাগ্রস্ত মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। এসব কোম্পানি সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে। সবার নজরে বিষয়টি এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নীতি-নৈতিকতা ও ভদ্রতাবর্জিত এসব বিজ্ঞাপন প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। না হলে সুস্থধারার মানসম্মত বিজ্ঞাপন শিল্প লোপ পাবে। বিজ্ঞাপনের প্রতি মানুষের আস্থা ওঠে যাবে। এ ক্ষেত্রে সুস্থধারার বিজ্ঞাপন নির্মাণ সংস্থার কর্ণধারদের এগিয়ে আসা দরকার।
আরেকটি কথা, সরকার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জনগণের জন্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকারি ব্যবস্থাপনাকে অবজ্ঞা করে অবৈজ্ঞানিক ও মানহীন কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করা হলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে নজর দেওয়া আবশ্যক।
প্রচারেই প্রসার। তাই মানুষ এখন ছুটছে প্রচারের পেছনে। প্রচারমাধ্যম বলতে টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা, বিলবোর্ড ও পোস্টার-লিফলেটকেই বোঝায়। কিছু পত্রিকা শালীনতা বজায় রেখে বিজ্ঞাপন ছাপলেও টেলিভিশনের কথা আলাদা। বিশেষ করে কেবল অপারেটরদের নিজস্ব চ্যানেল। তারা কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছাড়াই বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে।
মানব জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপকরণ টেলিভিশন। খবর, খেলাধুলা আর বিনোদনের জন্য টেলিভিশন মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র ভরসা। সারাদিনের কাজ শেষে দেশের পরিস্থিতি, খেলার আপডেট বা জনপ্রিয় কোনো অনুষ্ঠান দেখার জন্য টেলিভিশনের সামনে বসে প্রকারান্তরে লজ্জিত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের কারণে। এক কথায়, বিজ্ঞাপনে বিব্রত দর্শক সমাজ।
কেবল নেটওয়ার্কের নিজস্ব ভিডিও চ্যানেলে কথিত হারবাল ও হোমিও ঔষধালয়ের অশ্লীল চটকদার বিজ্ঞাপন। এসব বিজ্ঞাপনের ভাষা ও উপস্থাপনায় ভদ্র রুচিশীল দর্শক অতিষ্ঠ। ভয়ের কথা হলো, প্রতিনিয়ত প্রচারিত এসব বিজ্ঞাপনের কথা শুনে শুনে কোমলমতি শিশুরা না বুঝেই যেখানে-সেখানে আবৃত্তি করে বসে। এতে চরম লজ্জায় পড়েন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
শুধু টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে বিব্রত হলে কথা ছিল। এখন বিব্রত হতে হচ্ছে সর্বত্র। বাস স্টপেজে বাস দাঁড়ালে হারবালের বিজ্ঞাপন ছুড়ে মারা হচ্ছে গায়ে, ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটছেন, আপনার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে হোমিও ঔষধালয়ের বিজ্ঞাপন। বাসে ওঠেও শান্তি নেই। সেখানেও মহিলাদের বসার স্থান থেকে শুরু করে বাসজুড়েই লাগিয়ে রাখা হয়েছে এসব ঔষধালয়ের বিজ্ঞাপন। এসব বিজ্ঞাপনের অশ্লীল শব্দমালায় বিব্রত সাধারণ মানুষ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে গেছে এসব বিজ্ঞাপনের দরুন। ওপরের ঘটনা তারই একটি উদাহরণ।
প্রায়ই শোনা যাচ্ছে, এমন চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সমস্যাগ্রস্ত মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। এসব কোম্পানি সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে। সবার নজরে বিষয়টি এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নীতি-নৈতিকতা ও ভদ্রতাবর্জিত এসব বিজ্ঞাপন প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। না হলে সুস্থধারার মানসম্মত বিজ্ঞাপন শিল্প লোপ পাবে। বিজ্ঞাপনের প্রতি মানুষের আস্থা ওঠে যাবে। এ ক্ষেত্রে সুস্থধারার বিজ্ঞাপন নির্মাণ সংস্থার কর্ণধারদের এগিয়ে আসা দরকার।
আরেকটি কথা, সরকার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জনগণের জন্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকারি ব্যবস্থাপনাকে অবজ্ঞা করে অবৈজ্ঞানিক ও মানহীন কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করা হলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে নজর দেওয়া আবশ্যক।
No comments