নিছক বাণিজ্যিক যেন না হয়ে যায়-স্কুলে কোচিং
সার্টিফিকেটের জন্য বিদ্যালয় আর ভালো ফলের জন্য প্রাইভেট টিউটর কিংবা কোচিং—এমনটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার ভেতরের চিত্র। যত ভালো স্কুলই হোক না কেন, কোচিং যেন লাগবেই। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের বাইরে পরীক্ষার আগে বিশেষ কোচিংও চালু হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, এই কোচিং শিক্ষকদের দায়িত্বের অংশ, নাকি বাড়তি কাজ হিসেবে এর জন্য তাঁরা অর্থ নিতে পারবেন।
অতীতেও বড় পরীক্ষার আগে গ্রাম-শহরের বিদ্যালয়গুলোতে বিশেষত, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়া হতো। অতীতে শিক্ষকেরা এটাকে তাঁদের দায়িত্ব মনে করতেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বাড়তি শ্রম ও সময় দিতেন। বর্তমানে এই বাড়তি যত্নটুকু কোচিং সেন্টারে অর্থের বিনিময়ে কিনতে হয়। সম্প্রতি রাজধানীর ভালো ভালো স্কুলে বিশেষত, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী ও বৃত্তি পরীক্ষা সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের এসব বাড়তি ক্লাস করানো হচ্ছে। বিতর্ক উঠেছে, এর জন্য শিক্ষার্থীরা বাড়তি অর্থ দেবে কি না? একদিকে এটি মানহীন কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে সহায়ক, অন্যদিকে অর্থের বিনিময়ে হওয়ায় এটা কোচিং-বাণিজ্যের নতুন সংস্করণ কি না, সেই অভিযোগও উঠে যায়।
শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়া কিংবা বাইরের কোচিংয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত এই বাড়তি ক্লাসের বিকল্প নেই। আবার বাড়তি কাজের জন্য বাড়তি পারিশ্রমিকও শিক্ষকেরা চাইতে পারেন। যদিও গত সোমবারের প্রথম আলোয় এ বিষয়ক সংবাদে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘বিষয়টির সঙ্গে টাকা-পয়সার লেনদেনের সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।’ কার্যত সেটাই হওয়া উচিত। কিন্তু আজকের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বাড়তি পাঠদানে শিক্ষকদের উৎসাহিত করতে হলে তাঁদের আর্থিক সুবিধা দেওয়াও বাঞ্ছনীয়। তবে এটিকে নিয়মের মধ্যে বেঁধে দেওয়াই সংগত। তার জন্য এই বাড়তি খরচ কীভাবে সরকার অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকেই মূলত দেওয়া যায়, সে বিষয়ে নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নিতে হলে তা যেন নামমাত্র হয়, সেটাও দেখা উচিত।
পরীক্ষার আগে বাড়তি ক্লাস নেওয়া উত্তম, তবে একে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকভাবে দেখার সুযোগ না থাকাই ভালো।
অতীতেও বড় পরীক্ষার আগে গ্রাম-শহরের বিদ্যালয়গুলোতে বিশেষত, পঞ্চম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়া হতো। অতীতে শিক্ষকেরা এটাকে তাঁদের দায়িত্ব মনে করতেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বাড়তি শ্রম ও সময় দিতেন। বর্তমানে এই বাড়তি যত্নটুকু কোচিং সেন্টারে অর্থের বিনিময়ে কিনতে হয়। সম্প্রতি রাজধানীর ভালো ভালো স্কুলে বিশেষত, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী ও বৃত্তি পরীক্ষা সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের এসব বাড়তি ক্লাস করানো হচ্ছে। বিতর্ক উঠেছে, এর জন্য শিক্ষার্থীরা বাড়তি অর্থ দেবে কি না? একদিকে এটি মানহীন কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে সহায়ক, অন্যদিকে অর্থের বিনিময়ে হওয়ায় এটা কোচিং-বাণিজ্যের নতুন সংস্করণ কি না, সেই অভিযোগও উঠে যায়।
শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়া কিংবা বাইরের কোচিংয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত এই বাড়তি ক্লাসের বিকল্প নেই। আবার বাড়তি কাজের জন্য বাড়তি পারিশ্রমিকও শিক্ষকেরা চাইতে পারেন। যদিও গত সোমবারের প্রথম আলোয় এ বিষয়ক সংবাদে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘বিষয়টির সঙ্গে টাকা-পয়সার লেনদেনের সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।’ কার্যত সেটাই হওয়া উচিত। কিন্তু আজকের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বাড়তি পাঠদানে শিক্ষকদের উৎসাহিত করতে হলে তাঁদের আর্থিক সুবিধা দেওয়াও বাঞ্ছনীয়। তবে এটিকে নিয়মের মধ্যে বেঁধে দেওয়াই সংগত। তার জন্য এই বাড়তি খরচ কীভাবে সরকার অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকেই মূলত দেওয়া যায়, সে বিষয়ে নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নিতে হলে তা যেন নামমাত্র হয়, সেটাও দেখা উচিত।
পরীক্ষার আগে বাড়তি ক্লাস নেওয়া উত্তম, তবে একে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকভাবে দেখার সুযোগ না থাকাই ভালো।
No comments